Graphic ki | Graphic design ki | গ্রাফিক ডিজাইন করে টাকা আয় করুন

Graphic ki : আপনি হয়তো বা জেনে থাকবেন যে বর্তমান সময়টা হল ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপযুক্ত একটি যুগ।

আর এই যুগে যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন না থাকতো, তাহলে মার্কেটিং সেক্টরকে কেমন জানি একটা পানশে মনে হতো।

Graphic ki | Graphic design ki | গ্রাফিক ডিজাইন করে টাকা আয় করুন
Graphic ki | Graphic design ki ?

কারণ যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন না থাকতো, তাহলে মার্কেটিং সেক্টর গুলো পুরোপুরি ভাবে অচল হয়ে যেত।

আর ডিজিটাল মার্কেটিং যা কিছুর দরকার হয়, তার সবকিছুই কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়ে থাকে।

কারণ ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য বিভিন্ন বিষয়ের প্রয়োজন হয়ে থাকে।

যেমন,  সোশ্যাল মিডিয়া কভার,  কমার্শিয়াল পোস্টার, ব্যানার কিংবা বিলবোর্ড ইত্যাদি।

এই সবকিছুই কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইনের হাত ধরেই তৈরি করা হয়ে থাকে। আর সে কারণেই মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাহিদা ক্রমাগত ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আর সেই চাহিদার ওপর ভিত্তি করে আজকের এই আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে।

আজকের আর্টিকেলে আমি গ্রাফিক্স ডিজাইন রিলেটেড যে সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয় আছে। তার সবগুলো বিষয় কে নিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করার চেষ্টা করবো।

আপনি আরো দেখতে পারেন…

যদিওবা গ্রাফিক্স ডিজাইন কি ( graphics ki ) তা নিয়ে অলরেডি আমার ওয়েবসাইটে একটি আর্টিকেল পাবলিশ করা আছে। 

কিন্তু সেই আর্টিকেলে যেসব ঘাটতি আছে তার সবগুলোই আজকে পূরণ করার চেষ্টা করবো। তাহলে আর দেরি না করে চলুন সরাসরি মূল টপিকে ফিরে যাওয়া যাক।

আর graphic ki ( What is graphics design )  এবং graphic design ki?

আপনি যদি সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই আজকের পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

Graphic ki? ( What is graphic in bengali )

সবার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, graphic ki. যখন আপনি এই বিষয়টি বুঝতে পারবেন ৷

তখন আপনার পরবর্তী আলোচনা গুলো বুঝতে সুবিধা হবে।

তো সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনার কল্পনা বা অনুভবকে ভিজুয়ালাইজেশন এর মাধ্যমে প্রদর্শন করার বিশেষ একটি প্রক্রিয়ার নাম হলো graphic.

তবে বলা বাহুল্য গ্রাফিক মূলত ভিজুয়ালাইজেশন এবং টেক্সট এই দুটো নিয়েই কাজ করতে পারে।

সেজন্য বলা যায় যে গ্রাফিক মূলত টাইপোগ্রাফি, ফটোগ্রাফি এবং আইকন গ্রাফি এর মাধ্যমে আপনার কল্পনা বা অনুভব কে ভিজুয়ালাইজেশন হিসাবে প্রকাশ করতে পারে।

আর সহজ ভাষায় এই মাধ্যমকে বলা হয় Graphic বা গ্রাফিক।

Graphic design ki bangla ?

যখন আপনি আপনার কোনো অনুভব বা কল্পনা শক্তিকে ভিজুয়ালাইজেশন এর রুপ দিয়ে প্রকাশ করবেন।

তখন সেই ভিজুয়ালাইজেশন করার পদ্ধতিকে সহজভাবে বলা হবে  রাফিক।

আর সেই ভিজুয়ালাইজেশন কে কোন টেক্সট ফটো কিংবা আইকন এর মাধ্যমে মানুষের চোখের সাদৃশ্য করার বিশেষ একটি প্রক্রিয়াকে বলা হয় Graphic ডিজাইন

যেমন ধরুন, আমরা প্রত্যেকে মোবাইল অথবা কম্পিউটার  ব্যবহার করি।

এই ধরনের ডিভাইস গুলোতে আমরা যা কিছু দেখতে পাই তার প্রত্যেকটা জিনিস কিন্তু গ্রাফিক রে  সাহায্য ভিজুয়ালাইজেশন ভাবে সাজানো থাকে।

উদাহরণ হিসেবে বর্তমান সময়ের ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলোর কথাই ধরা যাক।

এই ধরনের ই-কমার্স ওয়েবসাইট গুলোতে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর ছবি সাজিয়ে দেওয়া থাকে।

এবং এখানে যে প্রোডাক্ট এর ছবি গুলো থাকে সেগুলো কিন্তুু অরজিনাল  প্রোডাক্ট এর সঙ্গে হুবহু মিলে যায়।

আবার কখনো কখনো এইসব প্রোডাক্ট এর ছবিগুলো এতটাই উন্নত মানের করা হয়ে থাকে।

যার ফলে কাস্টমাররা সেই প্রোডাক্ট এর ছবিগুলো দেখেই উক্ত প্রডাক্ট কে কিনতে আগ্রহী হয়। আর এই সব কিছু কিন্তু সম্ভব হয় গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে।

আর সে কারনেই আমি উপরে একটা কথা বলেছি যে গ্রাফিক্স ডিজাইন ছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং একেবারেই অচল।

কেন গ্রাফিক ডিডাইন শিখবেন ?

উপরের আলোচনা থেকে graphic ki ( গ্রাফিক্স কি ) বিষয়টি জানার পর আপনার মনে একটা প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খেতে পারে।

সেটি হলো কেন আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবেন। আর আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখেন তাহলে কি কি বেনিফিট পাবেন।

তো চলুন এবার তাহলে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

০১| এটি একটি সৃজনশীল পেশা

গ্রাফিক্স ডিজাইন কে যদি একটি সৃজনশীল পেশার সঙ্গে তুলনা করা হয় তাহলে কোনভাবেই ভুল হবে না।

কারণ সৃজনশীলতাই হলো এই পেশার মুখ্য উদ্দেশ্য। হয়তোবা আপনার মধ্যে পুঁথিগত বিদ্যা থাকতে পারে।

এবং সেই বিদ্যার খাতিরে আপনি অনেক কিছুই করতে পারবেন।

কিন্তু গ্রাফিক্স ডিজাইন হলো এমন একটি সেক্টর যেখানে আপনার সৃজনশীলতা না থাকলে আপনার কোন মূল্যায়ন থাকবে না।

যদি আপনার মধ্যে সৃজনশীলতার প্রতিভা থাকে, তাহলে আপনি আপনার এই প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে অনেক উন্নত উন্নত ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন।

এবং এই ডিজাইনগুলো কে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার ক্যারিয়ারকে একবারে সফলতার চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবেন।

আর সে কারণেই মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইনকে একটি সৃজনশীল পেশা হিসাবে ধরা হয়।

০২| চাহিদা সম্পন্ন একটি কাজ 

বর্তমান বিশ্ব যতটাই উন্নত হচ্ছে ঠিক ততটাই গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে অফলাইন এবং অনলাইন পর্যন্ত প্রায় সব কাজেই এখন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের চাহিদা রয়েছে।

কারণ এখন সব ক্ষেত্রেই ভিজুয়ালাইজ কনটেন্ট এর দরকার হয়ে থাকে।

তবে মজার বিষয় হলো যে এই সেক্টরের যে পরিমাণ চাহিদা রয়েছে, সেই পরিমাণ পেশাজীবী মানুষের সংখ্যা কিন্তু অনেক কম।

০৩| ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ 

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা মূলত ঘরে বসে টাকা আয় করতে চায়। তো এই মানুষগুলোর জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন হবে উপযুক্ত একটি মাধ্যম।

যেখানে আপনি ঘরে বসে কাজ করে বিপুল পরিমাণ টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

আর ঘরে বসে কাজ করার জন্য আপনার তেমন কোনো কিছুর প্রয়োজন হবে না।

সে জন্য শুধুমাত্র আপনার হাতে একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন করার প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার গুলো থাকলেই যথেষ্ট।

০৪| এই কাজে স্বাধীনতা আছে 

ব্যস্ততম জীবনের স্বাধীনতা আমরা সবাই ভোগ করতে চাই।  কিন্তু অন্যান্য কাজের স্বাধীনতা না মিললেও গ্রাফিক্স ডিজাইন এ আপনি যথেষ্ট প্রকার স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন।

আর সে দিক থেকে বিবেচনা করলে গ্রাফিক্স ডিজাইনকে যদি একটি উন্মুক্ত পেশার সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাহলেও কোন প্রকার ভুল হবে না।

আপনি চাইলেই বিভিন্ন ক্লায়েন্টের অর্ডার নিয়ে নিজের ঘরে বসে সেই ডিজাইনিং কাজগুলো করতে পারবেন।

অথবা আপনি চাইলে পূর্বেই কোনো না কোনো ডিজাইন তৈরি করে সেগুলো কে পোর্টফলিও হিসেবে রেখে দিয়ে বিভিন্ন ক্লায়েন্টের কাছে সেই দিনগুলো বিক্রি করতে পারবেন।

আর এই সব দিক বিবেচনা করেই মূলত গ্রাফিক্স ডিজাইনকে একটি মুক্ত পেশার সঙ্গে তুলনা করা হয়ে থাকে।

০৫| অনলাইনে আয় করার সুযোগ

আপনি যদি অনলাইনে থাকা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো তে একটু ঘোরাঘুরি করেন।

তাহলে আপনি দেখতে পারবেন যে গ্রাফিক্স ডিজাইন নামক এই পেশায় আপনার মত হাজার হাজার মানুষ যুক্ত আছে।

আর সেই মানুষগুলো বিভিন্ন দেশি-বিদেশি ক্লায়েন্টের কাজ করে প্রচুর পরিমাণ টাকা গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইন থেকে আয় করে আসছে।

আর সবচেয়ে অবাক করার মত বিষয় হল আপনি যদি একজন দক্ষতা সম্পন্ন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন। 

তাহলে আপনি অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে  ডিজাইনিং সার্ভিস প্রদান করে আপনি প্রতি ডিজাইনের বিনিময়ের 20 থেকে 100 ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

০৬| চাকরি পাওয়ার সুযোগ 

আপনি যদি একজন দক্ষ গ্রাফিক ডিজানার হয়ে থাকেন তাহলে অনলাইনে ইনকাম করার পাশাপাশি, আপনি অফলাইনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুযোগ পাবেন। 

তবে আপনি যদি এইভাবে অফলাইনে কোন প্রতিষ্ঠান গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাকরি করতে চান। তাহলে সেই সময় অবশ্যই আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হতে পারে।

এক্ষেত্রে আপনার বেশিরভাগ সময় গ্রাজুয়েট পাস সার্টিফিকেট হলেই তার যথেষ্ট বলে গণ্য করা হয়।

আপনি আরো পড়তে পারেন…

গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ কি কি ?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি graphic ki এবং কেন আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইন করা উচিত সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়েছেন।

কেননা আমি আর্টিকেলে শুরু থেকেই graphics ki  তা নিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করার চেষ্টা করেছি।

তো সেই ধারাবাহিকতায় এবার আপনাকে জানতে হবে যে গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি। চলুন এবার সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

বর্তমান সময়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।  যেমনঃ

  1. বিভিন্ন ধরনের এনিমেশন তৈরি করার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনে প্রয়োজন হয়ে থাকে।
  2. কোন টি শার্ট বা জামা কাপড়ের উপর ডিজাইন করার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনারের প্রয়োজন হয়ে থাকে।
  3. একটি জলের বোতলের গায়ের উপর থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রোডাক্ট এর প্যাকেটের উপরে আমরা যা কিছু ভিজুয়ালাইজ করি।
  4. সেগুলোর জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।
  5. কোন একটি ব্লগ বা কোন একটি ওয়েবসাইটের কিরকম ডিজাইন হবে সেটাও কিন্তু গ্রাফিক্স এর মাধ্যমে করতে হয়।
  6. বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, অ্যাডভার্টাইজমেন্ট করতে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর প্রয়োজন হয়।
  7. প্রিন্ট করা বিভিন্ন জিনিস যেমন, বই, পত্রিকা কিংবা ম্যাগাজিনকে আকর্ষণীয় করার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনে দরকার হয়ে থাকে।
  8. কোন একটি কোম্পানি তার নিজস্ব ব্রান্ড তৈরি করার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে লোগো তৈরি করার প্রয়োজন হয়।   
  9. বিজনেস কার্ড, ইনভাইটেশন কার্ড কিংবা ভিজিটিং কার্ড তৈরি করার সময় গ্রাফিক্স ডিজাইনারের প্রয়োজন হয়ে থাকে।

এগুলো ছাড়াও মূলত আরো অনেক ধরনের কাজ আছে, যে কাজগুলো করার জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনে প্রয়োজন হয়ে থাকে।

তবে আপনি যখন নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ভাবে এই গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরে যুক্ত করবেন তখন আপনি নিজে থেকেই এই ধরণের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।

কিভাবে এবং কোথায় graphics Design শিখবেন ?

তো এই স্বল্প আলোচনা থেকে graphic ki সে সম্পর্কে আপনি পরিস্কার একটা ধারনা পেয়ে গেছেন ৷

এর পাশাপাশি গ্রাফিক্স ডিজাইনে কি কি কাজ করা হয়। সে নিয়ে আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি ৷

তো এখন আপনি যদি Graphic Design শিখতে চান। তাহলে আপনাকে কি কি করতে হবে, এবার সে নিয়ে আলোচনা করবো।

তো চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। 

০১| ইউটিউব থেকে শিখে নিতে পারবেন

বর্তমান সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে কোনো কিছু শিখার জন্য Youtube হল সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম।

যেখানে আপনি সব ধরনের টিউটরিয়াল একবারে বিনামূল্যে দেখতে পারবেন।

আজকের দিনে এমন অনেক ইউটিউব চ্যানেল আছে, যেখানে অনেক ভালো ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইন রিলেটেড  টিউটোরিয়াল ভিডিও আপলোড করা হয়েছে।

আপনি চাইলে ইউটিউবে আপলোড করা সেই টিউটোরিয়াল ভিডিওগুলো দেখে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে নিতে পারবেন।

০২| ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিখতে পারবেন

ইউটিউব এর পাশাপাশি এমন অনেক ধরনের ওয়েবসাইট আছে যেখানে গ্রাফিক্স ডিজাইন রিলেটেড অনেক আর্টিকেল পাবলিশ করা আছে।

আপনি চাইলে আর্টিকেল পাবলিশ করা সেই ওয়েবসাইট গুলো থেকে অনেক কিছু শিখে নিতে পারবেন।

এবং ইউটিউব এর মত এই ওয়েব সাইট গুলো থেকেও আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই বিভিন্ন টিউটরিয়াল সম্পর্কে জানতে পারবেন।

০৩| বিভিন্ন কোর্সের মাধ্যমে শিখতে পারবেন

ইউটিউব এবং ওয়েবসাইট এর বাইরে আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চান। তাহলে আপনাকে অনলাইনে থাকা বিভিন্ন কোর্সের উপর নির্ভর করতে হবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন এ অভিজ্ঞ এমন অনেক ব্যক্তি তাদের অনলাইনে বিভিন্ন রকম কোর্স তৈরি করেছেন।

আপনি চাইলে স্বল্প কিছু টাকা ব্যয় করে সেই কোর্স গুলো কিনে নিতে পারবেন। এবং সেই কোর্স থেকে নিজের ঘরে বসে গ্রাফিক ডিজাইন হাতে কলমে শিখতে পারবেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে মাসে কত টাকা আয় করা যায় ?

দেখুন একজন ব্যক্তি আসলে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে কত টাকা আয় করবে সেটা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়।

অনলাইন ইনকাম কিন্তু বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে। আর সেই বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো আপনার নিজস্ব দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা।

আপনি এই ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলো তে নিজেকে যতটা দক্ষ এবং অভিজ্ঞ করে  তুলতে পারবেন, আপনার  অনলাইন থেকে আয় এর পরিমাণ ঠিক ততই বেশি হবে।

তবে আমার দৃষ্টিতে থেকে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কাজ করে।

তারা তাদের প্রতিটি ডিজাইন থেকে প্রায় 20 থেকে 100 ডলার পর্যন্ত অনলাইন থেকে আয় করতে পারে।

কিন্তু আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন এ একবারে অনভিজ্ঞ হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর থেকে আপনার আয় করার সম্ভাবনা অনেক কম থাকবে।

তাই শুরুতে টাকার পিছনে না ছুটে নিজেকে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করুন।

যখন আপনি নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। তখন আপনাকে আর ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে টাকার পিছনে ছুটতে হবে না।

বরং টাকার নিজে থেকে আপনার কাছে চলে আসবে। আর যেসব ব্যক্তি নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যায়।

শুধুমাত্র সেই ব্যক্তিরা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো তে টিকে থাকতে পারে।

গ্রাফিক ডিজাইন শেখা সহজ না কঠিন ?

আজকের লেখা graphic design ki আর্টিকেলের এই পর্যন্ত আসার পরে আপনার মনে বিশেষ একটি প্রশ্ন জাগতে পারে।

সেটি হল যে গ্রাফিক ডিজাইন শেখা কতটা কঠিন।  আর এই কঠিন প্রশ্ন কে সহজ করার জন্য এবার আমি ছোট আকারে একটু আলোচনা করবো।

এবং এই আলোচনা থেকেই আপনি বুঝতে পারবেন যে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখা টা কঠিন নাকি সহজ।

দেখুন আমি যদি বলি গ্রাফিক্স ডিজাইন কঠিন, তা হলে এই কথাটি ভূল হবে। আবার যদি আমি বলি যে, না গ্রাফিক ডিজাইন খুব সহজ।

তাহলে কিন্তুু এই কথাটিও বলা ভুল হবে। কারণ গ্রাফিক্স ডিজাইন কঠিন এবং সহজ এর মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান করে।

হয়তোবা বিষয়টি আপনি সঠিকভাবে বুঝতে পারেননি, তাই চলুন আর একটু উদাহরণ সহকারে বুঝিয়ে বলা যাক।

দেখুন আমরা ভাব সম্প্রসারণে পড়েছিলাম যে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন।

আর এই বিষয়টি আপনি তখনই হাড়ে হাড়ে টের পাবেন যখন আপনি নিজেকে গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরে নিযুক্ত করবেন। 

হয়তোবা গ্রাফিক ডিজাইন রিলেটেড যেসব সফটওয়্যার আছে, সেগুলো সম্পর্কে ধারণা নিতে আপনার ৬ মাস থেকে ১ বছর লাগবে।

কিন্তু গ্রাফিক্স রিলেটেড এই সফটওয়্যার গুলো সম্পর্কে ধারণা নেওয়া মানেই এই নয় যে আপনি একজন অভিজ্ঞ গ্রাফিক্স ডিজাইনার।

কারণ গ্রাফিক ডিজাইন হলো এমন একটি সেক্টর যেখানে আপনাকে প্রতিনিয়ত ও সৃজনশীলতার ওপর নির্ভর করতে হবে।

আপনার ডিজাইন শৈলীকে এতটাই আকর্ষণীয় করতে হবে, যেন সেখান থেকে নতুন কিছু পাওয়া যায়।

আপনি যত বেশি নিত্য নতুন ডিজাইন আইডিয়া বের করতে পারবেন,  গ্রাফিক্স ডিজাইন এ আপনার কদর ঠিক ততটাই বেশি হবে।

আপনার জন্য আরো লেখা আছে…

তো, এইসব বিষয়গুলো জানার পর এখন আপনি নিজে থেকে চিন্তা করুন যে গ্রাফিক ডিজাইন শেখার সহজ নাকি কঠিন।

আর আপনার চিন্তা থেকে যে ফলাফল আসবে সেটি অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।

আজকের আর্টিকেল এর উদ্দেশ্য কী ?

গ্রাফিক ডিজাইন কি এই নিয়ে আমার ওয়েবসাইটে অলরেডি একটি আর্টিকেল পাবলিশ করা আছে।

যেখানে গ্রাফিক্স ডিজাইনে এ টু জেট সম্পর্কে বলা হয়েছে।

কিন্তু কোনো একটা সময় কিওয়ার্ড রিসার্চ করার সময় দেখলাম যে মানুষ গ্রাফিক ডিজাইন শেখার জন্য গুগলে বিভিন্ন কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করে। যেমনঃ

  • graphics ki
  • grafix digain ki
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন কি
  • grafix dizain course
  • graphic design a to z
  • free graphic design course in bangladesh
  • graphic design meaning in bengali

তো সেই কারণে আমার গত আর্টিকেলে যে যে বিষয়গুলো ঘাটতি ছিল সেই বিষয় গুলোকে নিয়ে আরও একটি নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করছি।

আশা করি graphics ki নিয়ে লেখা আজকের এই আর্টিকেল থেকেও আপনি অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

Graphic design ki নিয়ে আমাদের শেষকথা

আজকের দিনে অনলাইন প্লাটফর্ম গুলোতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজের চাহিদা বাড়ছে।

আর সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে আমি আমার এই ওয়েবসাইটে প্রতিনিয়ত একটার পর একটা আর্টিকেল পাবলিশ করে যাচ্ছি।

যেমন আজকের আর্টিকেলে আমাদের মূল টপিক ছিল ( graphic ki )গ্রাফিক্স কি।

আর আপনি যদি সবার আগে সেই অজানা তথ্য গুলো কে সবার আগেই জানতে চান, তাহলে আমাদের সাথেই থাকবেন।

আর আর্টিকেল এই পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top