Ezoic কি ? ইজোয়িক থেকে আয় করার উপায় – বাংলা আইটি ব্লগ

ইজোয়িক কিঃ কিভাবে Ezoic থেকে আয় করা যায় । Ezoic  “ইজোয়িক”- শব্দটির সাথে আমিও তেমন পরিচিত ছিলাম না। কিন্তুু কয়েকদিন আগে, কিছু কারনবশত আমাকে Ezoic সম্পর্কে রিসার্চ করার প্রয়োজন পড়ে।

ই রিসার্চ থেকে ইজোয়িক সম্পর্কে যেসব তথ্য জানতে পেরেছি। সেই তথ্যগুলো নিয়ে আজকে বিস্তারিত লিখবো। তবে শুরুর দিকে আমি ইজোয়িক বলতে কোনো Advertising Network মনে করেছিলাম। কিন্তুু আমার ধারনা সম্পূর্ণ ভুল ছিলো।

ইজোয়িক কি ? Ezoic থেকে আয় করার উপায়
Ezoic থেকে আয় করার উপায়

কারন Ezoic হলো একটি Ad Optimizing Platform. যার মাধ্যমে আপনি কোনো Ad কে নিজের চাহিদা মতো অপটিমাইজ করতে পারবেন।

ওহহ, স্যরি! একটা কথা বলতে ভুলে গেছি। এই আর্টিকেল শুধুমাএ তাদের জন্য, যারা ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করেন। অন্যথায় আপনি এই আর্টিকেলটি Skip করতে পারেন। 

ইজোয়িক কি?

Ezoic হলো গুগল এডসেন্স এর মতো। গুগল এডসেন্স যেমন ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখায়। অপরদিকে ইজোয়িক সেই বিজ্ঞাপন গুলোকে অপটিমাইজ করে।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, “বিজ্ঞাপন অপটিমাইজ আবার কি জিনিস”? তাহলে শুনুন, যখন আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্স ব্যবহার করি। তখন এডসেন্স আমাদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রচার করে।

কিন্তুু সমস্যা হলো, যখন আপনি Auto Ads ব্যবহার করবেন। তখন গুগল আপনার ওয়েবসাইটের যেখানেই Free Space পাবে। সেখানেই তাদের বিজ্ঞাপন বসিয়ে দিবে।

আপনার জন্য আরো আর্টিকেল..

এর ফলে অনেক সময় দেখা যায় শুধুমাএ একটি পেজে ৩-৪ টি পর্যন্ত Ad Show করে। তো স্বাভাবিক ভাবে সেই পেজটি লোড নিতে অনেক সময় নিবে, তাইনা?

এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটের Loading Speed অনেক কমে যাবে। কিন্তুু আপনি নিজে একজন ভিজিটর হয়ে চিন্তা করে দেখুন। যখন কোনো ওয়েবপেজ লোড নিতে অনেক সময় নেয়। তখন আপনি কি করবেন?

নিশ্চই সেই ওয়েবসাইট থেকে অন্য ওয়েবসাইটে চলে যাবেন। কারন আপনার বিজ্ঞাপন দেখার জন্য তো কেউ আপনার ওয়েবসাইটে আসবে না।

ভিজিটর আসবে তাদের সমস্যার সমাধান খুজে পাওয়ার জন্য। কিন্তুু সমাধান খুজতে এসে যদি আপনার পেজটাই লোড না নেয়। তাহলে ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আসবে, এবং আসার পরেই আবার চলে যাবে।

এর ফলে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসা কমে যাবে অপরদিকে আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট অনেকগুন বেড়ে যাবে। যা এসইও তে বেশ নেগেটিভ ইফেক্ট ফেলবে।

কিন্তুু এই সমস্যা গুলো যেন না হয়। সেজন্য বিভিন্ন কোড/প্রোগ্রামিং ল্যাংঙ্গুয়েজের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের সেই বিজ্ঞাপন গুলোকে ডিভাইসভেদে অপটিমাইজ করার জন্য ইজোয়িক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

যেমন কেউ যদি আপনার ওয়েবসাইট মোবাইল থেকে ভিজিট করে। তাহলে ইজোয়িক সেই ভিজিটরকে এমনভাবে বিজ্ঞাপন দেখাবে, যাতে করে তার কোনো প্রকার পেজ লোডিং ইস্যু না হয়। এর সাথে বিজ্ঞাপনও দেখানো যায়।

মোট কথা ইজোয়িক হলো এমন একটি প্ল্যাটফর্ম। যেখানে আপনি বিজ্ঞাপনকে নিজের চাহিদা অনুযায়ী Size/Colour/Style পরিবর্তন করতে পারবেন। 

ইজোয়িক ও গুগল এডসেন্সের মধ্যে পার্থক্য

যারা ইজোয়িক ও গুগল এডসেন্সকে এক মনে করেন। তাদের জন্য এক বালতি সমবেদনা। কারন আপনি একটু রিসার্চ করলে এ দুটোর মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য লক্ষ করতে পারবেন। এবার সেই পার্থক্য গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

প্ল্যাটফর্ম

আমরা জানা উচিত যে, “ইজোয়িক এবং গুগল এডসেন্স”-এই দুটোই হলো ফ্রী প্ল্যাটফর্ম। তবে যদি আপনি এডসেন্সকে আপনার ওয়েবসাইটে যুক্ত হতে চান। তাহলে আপনাকে তেমন কোনো বাধানিষেধ থাকবে না।

অপরদিকে যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে ইজোয়িক এর সাথে যুক্ত করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বাধানিষেধ মানতে হবে। যেমন, আপনার ওয়েবসাইটে প্রতি মাসে মিনিমাম ১০ হাজার ইউনিক ভিজিটর থাকতে হবে। 

ড্যাশবোর্ড

যদি আপনি এডেসন্স ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে আপনি অবশ্যই এডসেন্সের ড্যাশবোর্ড সম্পর্কে জেনে থাকবেন।সাধারণত Clicks on ads, Cost per Click (CPC), Click through rate (CTR) এর মাধ্যমে এডসেন্সকে মনিটরিং করা যায়।

কিন্তুু যদি আপনি ইজোয়িক ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে এইসব এর কোনো কিছু দেখতে পারবেন না। আপনি শুধুমাএ প্রতি ১০০০ ভিউতে কত টাকা ইনকাম করতে পারলেন। সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। আর এই পদ্ধতিকে বলা হয়, EPMV.

পেমেন্ট

পেমেন্টের দিক থেকে এই দুটির মধ্যে বেশ মিল লক্ষ্য করা যায়। কারন গুগল এডসেন্স এবং ইজোয়িক থেকে আপনি যতো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তা আপনি প্রতি মাসে পেমেন্ট নিতে পারবেন।

তবে পার্থক্য হলো এটাই যে, এডসেন্স থেকে পেমেন্ট নিতে হলে। আপনার একাউন্টে ১০০$ থাকতে হবে। অপরদিকে ইজোয়িক একাউন্টে মাএ ২০$ ডলার থাকে। তাহলেও আপনি সেই টাকা উওলন করতে পারবেন। 

লে-আউট

যদি আপনি এডেসন্সের Auto Ad ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে আপনার জানা থাকবে যে, মাঝে মাঝে Auto Ad এর কারনে খুব বেশি পরিমানে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়।

যার ফলে ওয়েবসাইট এর Loading Speed অনেক কমে যায়। ফলে ওয়েবসাইটের CTR কমতে থাকে। পাশাপাশি ওয়েবসাইটের Bounch Rate অনেক বেড়ে যায়।

কিন্তুু যদি আপনি ইজোয়িক ব্যবহার করেন। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড নিয়ে তেমন ভাবতে হবেনা। কারন ইজোয়িক এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি আপনার চাহিদা অনুযায়ী Ad কে বসিয়ে দিতে পারবেন। 

একাউন্ট সেফটি

গুগল এডসেন্স এর সবথেকে বড় অসুবিধা হলো একাউন্ট সেফটি। তবে আমি একাউন্ট হ্যাক হওয়ার কথা বলছি না। বরং একাউন্ট Banned (ব্যান) হওয়ার কথা বলছি।

দেখুন, গুগল এডসেন্স হলো এমন একটি প্ল্যাটফর্ম। যেখানে গুগল আপনার সামান্য ভুলের কারনেই আপনার একাউন্টকে Ban করে দিতে পারে। আর সেজন্য গুগল কোনো প্রকার নোটিশ ও প্রদান করেনা।

এই দিকে থেকে  Ezoic কে সবচেয়ে বেশি সেফ মনে হয়েছে আমার। কারন, এই প্ল্যাটফর্মে কাজ করার সময় যদি আপনি তাদের টার্মস এন্ড কন্ডিশন মেনে কাজ না করেন। তাহলে তারা প্রথমেই আপনার একাউন্টকে ব্যান করবে না।

বরং প্রথমে আপনাকে মেইল করে নোটিশ দিবে। আপনি যদি সেই মেইলের রিপ্লে না দিয়ে চুপ থাকেন ৷ তাহলে তারা আপনার একাউন্টকে ব্যান করবে।

কেন ইজোয়িক ব্যবহার করবেন?

আশা করি এতোক্ষনে আলোচিত বিষয় থেকে “ইজোয়িক” কি সে সম্পর্কে জেনে গেছেন। এবার আমরা জানবো যে, কেন আপনার ইজোয়িক ব্যবহার করা উচিত।

বেশিরভাগ ক্ষেএে ইজোয়িক প্ল্যাটফর্মকে দুইটি কারনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমনঃ

  1. অপটিমাইজেশন এবং
  2. ইনকাম বৃদ্ধির জন্য। 

যদি আপনার কোনো ওয়েবসাইট থাকে। তাহলে আপনাকে মূলত অপটিমাজ এবং আপনার ওয়েবসাইট থেকে যে ইনকাম করেন। সেই ইনকামকে বৃদ্ধা করার জন্য ইজোয়িক ব্যবহার করতে হবে। 

অপটিমাইজেশন

সাধারণত আমরা যেসব Ad Network এর বিজ্ঞাপন আমাদের ওয়েবসাইটে ব্যবহার করি। সেগুলো তেমন একটা অপটিমাজ থাকেনা। অর্থ্যাৎ আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন এবং লে-আউট অনুযায়ী পারফেক্ট নাও হতে পারে।

এইদিক থেকে ইজোয়িক আপনার এই সমস্যা সমাধানে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ইজোয়িক ব্যবহারের ফলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইন অনুযায়ী যেকোনো Ad কে নিজের মতো করে কাস্টমাইজ করতে পারবেন।

যেমন Ad এর Size কমবেশি করতে পারবেন, কোনো Ad এর Text অথবা Colour কে নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে পারবেন।

আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, সাইটের লোডিং স্পিড। যখন আমরা কোনো Ad network এর বিজ্ঞাপন ওয়েবসাইট সেটআপ করি। তখন সেই ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড অনেকাংশে কমে যায়। এর ফলে ভিজিটররা বেশ বিভ্রান্তিতে পড়ে যায়।

আপনি আরো পড়তে পারেন…

কারন ভিজিটররা কোনো তথ্য জানার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে আসবে৷ তখন যদি আপনার Ad এর কারনে ঠিকমতো পেজ লোড না নেয়। তাহলে সেই ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইট থেকে বের হয়ে অন্য ওয়েবসাইটে চলে যাবে।

এর ফলে আপনার সাইটের ভিজিটর কমে যাবে। এর সাথে সাথে আপনার সাইটের বাউন্স রেটও অনেক গুন বড়ে যাবে। যা আপনার এসইও তে বিশেষ ইফেক্ট ফেলবে।

কিন্তুু যদি আপনি সেই Ad গুলোকে ইজোয়িকের মাধ্যমে নিজের মতো করে কাস্টমাইজ করতে পারেন। তাহলে আপনার এই জাতীয় কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।  

ইনকাম বৃদ্ধির জন্য

স্বভাবতই আমরা যা কিছুই করি না কেন, তার পেছনে একটাই উদ্দেশ্য থাকে। সেটি হলো ইনকাম করা। আর ইজোয়িক আপনার সেই উদ্দেশ্যকে সফল করতে অনেকটাই সহায়তা করবে।

প্রথমত তারা আপনার ভিজিটরের একটিভিটি খুব ভালো করে এনালাইস করবে। এরপর আপনার ভিজিটর এর Location ভেদে Ad শো করবে।

এরফলে আপনার CTR বাড়বে, Impression বাড়বে। যার ফলে আপনার ওয়েবসাইটের Ad এ ক্লিক বাড়বে। অপরদিকে যখন এইসব কিছুর কারনে আপনার ইনকামের পরিমানও বৃদ্ধি পাবে।

তো যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা বিজ্ঞাপন গুলোকে অপটিমাইজ করতে চান। এর পাশাপাশি বিপুল পরিমানে ইনকাম করতে চান। তাহলে আপনাকে অবশ্যই ইজোয়িক ব্যবহার করা উচিত। 

কিভাবে ইজোয়িক ব্যবহার করবেন?

আমরা জানি যে, Ezoic হলো একটি ফ্রি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম। কিন্তুু যদি আপনি ইজোয়িক ব্যবহার করতে চান। তাহলে তাদের দেয়া কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলার পর আপনি Ezoic ব্যবহার করতে পারবেন।

তো যতগুলো নিয়ম-কানুন আছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নিয়ম হলো, 

মনিটাইজ ওয়েবসাইট

যদি আপনি ইজোয়িক ব্যবহার করতে চান, তাহলে সর্বপ্রথম আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে। কেননা ওয়েবসাইট যদি না থাকে৷ তাহলে ইজোয়িক আপনার কোনো কাজে আসবে না।

শুধু ওয়েবসাইট থাকলেই হবে না। বরং এর পাশাপাশি আপনার ওয়েবসাইটটি কোনো এড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মনিটাইজ থাকতে হবে।

আর এই Ad Network এর মধ্যে গুগল এডসেন্সকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাই চেস্টা করবেন সর্বপ্রথম গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট কে মনিটাইজ করার। এরপর আপনাকে ইজোয়িক এর জন্য Apply করতে হবে। 

টার্গেটেড ভিজিটর

Ezoic Approval এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো টার্গেটেড ভিজিটর। অর্থ্যাৎ আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে ইজোয়িক ব্যবহার করতে চান ৷ তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট পরিমান ভিজিটর থাকতে হবে।

তাদের Terms and conditions অনুযায়ী আপনার ওয়েবসাইটে প্রতি মাসে ১০ হাজারের মতো ইউনিক ভিজিটর থাকতে হবে।যদি আপনার ওয়েবসাইটে প্রতি মাসে ১০ হাজার ভিজিটর থাকে।

তাহলে আপনি ইজোয়িক এর Approval পাবেন। অন্যথায় আপনার রিকুয়েষ্ট কে Reject করে দেয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। 

ইউনিক কন্টেন্ট

আমরা জানি, একটি ওয়েবসাইটের প্রান হলো কন্টেন্ট। কেননা কন্টেন্ট ছাড়া একটি ওয়েবসাইট তেমন একটা পূর্নতা পায়না। তবে ইজোয়িক এর ক্ষেএে বিষয়টি একটু অন্যরকম।

আপনার ওয়েবসাইটে শুধু কন্টেন্ট থাকলেই হবেনা ৷ বরং কন্টেন্ট পাবলিশ এর পাশাপাশি আপলোড করা সেই কন্টেন্ট গুলো অবশ্যই ইউনিক হতে হবে। তা নাহলে আপনি ইজোয়িক এ যুক্ত হতে পারবেন না। 

ইজোয়িক কেমন ওয়েবসাইট সাপোর্ট করে?

গুগল এডসেন্স যেমন সব ধরনের ক্যাটাগরির ওয়েবসাইটকে সমর্থন করেনা ৷ ঠিক তেমনি ইজোয়িক ব্যবহার করতে হলে আপনার নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরির ওয়েবসাইট থাকতে হবে।

শুধু এইটুকুই মনে রাখবেন, ১৮+(Adult) ওয়েবসাইট থেকে কখনই মনিটাইজ করা সম্ভব না। শুধু ইজোয়িক নয়, বরং বর্তমানে যেসব Ad Network এর জনপ্রিয়তা রয়েছে। তারা কেউ এই জাতীয় (Adult) ওয়েবসাইট কে সমর্থন করেনা।

ইজোয়িক সাপোর্ট করে, এমন কিছু ক্যাটাগরির লিষ্ট দেওয়া হলো। যেন আপনার বুঝতে সুবিধা হয় যে, Ezoic আসলে কেমন ক্যাটাগরির ওয়েবসাইটকে সাপোর্ট করে। 

  • হোম & গার্ডেন
  • অটোমোটিভ
  • স্পোর্টস 
  • হবিস
  • ট্রাভেল
  • ফুড & ড্রিংকস
  • হেলথ 
  • সাইন্স
  • ন্যাচার
  • বিজনেস
  • গেমস 
  • হিস্টোরি 
  • লাইফস্টাইল
  • টেকনোলজি 
  • ইডুকেশন
  • ফ্যামেলি

উপরে আলোচিত ক্যাটাগরি নিয়ে যেসব ওয়েবসাইট কাজ করে। সেসব ওয়েবসাইটে খুব দ্রুত ইজোয়িক এপ্রুভাল পাওয়া যায়।

এগুলো ছাড়াও আরও বেশ কিছু ক্যাটাগরি রয়েছে। যেসব ক্যাটাগরির ওয়েবসাইটকে Ezoic Support করে। যেমন, 

  • Independent publishers
  • Blogs
  • Online Tools website 
  • Niche sites
  • Affiliate sites
  • Online application sites
  • Web-based tools
  • Evergreen content

যদি আপনার ওয়েবসাইটটি উপরের যেকোনো একটি ক্যাটাগরির আওতায় থাকে। তাহলে মনে রাখবেন আপনার Ezoic Approval পেতে কোনো প্রকার সমস্যা হবে না। 

ইজোয়িক কিভাবে বিজ্ঞাপন দেখায়

গুগল এডসেন্সের Ad placement পদ্ধতি এবং ইজোয়িক এর Ad Placement পদ্ধতি কিছুটা একই রকম। গুগল যেমন প্রথমে ভিজিটরদের ডাটা কালেক্ট করে। এরপর সেই ডাটা অনুযায়ী সেই ভিজিটরের জন্য উপযুক্ত বিজ্ঞাপন প্রচার করে ৷

ঠিক তেমনি ইজোয়িক ও একই পদ্ধতি অনুসরন করে থাকে। যেমন, আপনার ওয়েবসাইটে যেসব ভিজিটর আসবে। সেই ভিজিটরদের সমস্ত ডাটা তারা কালেক্ট করে। এরপর সেগুলোকে তাদের ডাটাবেজে জমা করে রাখে ৷

আপনার জন্য আর্টিকেল…

এরপর তারা বিজ্ঞাপন গুলোকে অপটিমাইজ করার পর সেইসব বিজ্ঞাপন গুলোকে আপনার সামনে নিয়ে আসবে। যেসব বিষয়ে আপনার যথেষ্ট আগ্রহ আছে। অর্থ্যাৎ সঠিক মানুষকে সঠিক বিজ্ঞাপন দেখানোই হলো ইজোয়িক এর মূল কাজ।

আর যখন সঠিক ব্যক্তিকে উপযুক্ত বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। তখন সেই বিজ্ঞানী গুলোতে ক্লিক হওয়ার সম্ভাবনা অনেক গুন বেড়ে যায়।

ইজোয়িক থেকে পেমেন্ট নেয়ার উপায়

পেমেন্ট মেথডের দিক থেকে ইজোয়িক কে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। কারন এখান থেকে আপনি মাএ ৩০ দিনেই আপনার ইনকাম করা টাকা উওলন করতে পারবেন।

অর্থ্যাৎ যদি আপনি জানুয়ারি মাসে কাজ শুরু করেন। তাহলে পরবর্তী ফেব্রুয়ারী মাসেই সেই টাকা উওলন করতে পারবেন। আর একটা বিশেষ গুন হলো, যদি আপনি গুগল এডসেন্স নিয়ে কাজ করেন।

তাহলে সর্বপ্রথম আপনার AdSense একাউন্টে ১০০$ হতে হবে। তারপর আপনি সেই টাকা উইথড্র করতে পারবেন ৷ কিন্তুু অপরদিকে যদি আপনি ইজোয়িক নিয়ে কাজ করেন।

তাহলে আপনার Ezoic Account এ মাএ ২০$ হলেই আপনি সেই টাকা উইথড্র করতে পারবেন। যা আমার কাছে ভীষন ভালো লেগেছে।

এখন প্রশ্ন হলো যে, আমরা তো গুগল এডসেন্স থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা উইথড্র করি। কিন্তুু ইজোয়িক থেকে কিভাবে টাকা উইথড্র করা যাবে?

Ezoic থেকে উইথড্র করার জন্য অনেক গুলো পদ্ধতি রয়েছে। এডসেন্সের মতো শুধু ব্যাংক একাউন্ট নয়, বরং PayPal কিংবা Check এর মাধ্যমেও উইথড্র করতে পারবেন।

আর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমরা যারা গুগল এডসেন্স ব্যবহার করি। তাদেরকে এডসেন্সে ১০$ হতেই Pin Verification /Address Verify করতে হয়।

কিন্তুু যদি আপনি ইজোয়িক ব্যবহার করেন। তাহলে প্রথম উইথড্র করার আগে আপনাকে TEX info প্রদান করতে হবে। 

ইজোয়িক বাংলা সাপোর্ট করে?

আমরা যারা বাংলা ভাষায় ব্লগিং করি ৷ তাদের বেশিরভাগ একটা সমস্যা হয় যে, বাংলা ভাষা অনেকেই বুঝতে পারেনা। যার কারনে অনেক Ad Network থেকে এপ্রুভাল পাওয়া যায় না।

যেমন কয়েকবছর আগে আমাদের সবার পরিচিত গুগল এডসেন্স বাংলা ভাষায় Approval দিতো না। কিন্তুু কয়েক বছর ধরে গুগল এডসেন্স বাংলা ভাষাতেও এপ্রুভাল দিচ্ছে।

এখন আপনার যদি কোনো বাংলা ভাষার ব্লগ বা ওয়েবসাইট থাকে। এবং এই ওয়েবসাইটে যদি আপনি ইজোয়িক থেকে এপ্রুভাল নিতে চান। তাহলে Ezoic Approval পাওয়ার জন্য আপনাকে একটু বেশি পরিশ্রম করতে হবে।

কারন ইজোয়িক সবসময় যেই ওয়েবসাইট গুলো উন্নত দেশকে টার্গেট করে। সেই সব ওয়েবসাইটকে বেশি প্রাধান্য দেয়। শুধু ইজোয়িক নয়, বরং প্রত্যেকটা Ad নেটওয়ার্ক US, UK এর মতো দেশ গুলোকে বেশি প্রাধান্য দেয়।

যেহুতু আপনার ওয়েবসাইট বাংলা ভাষাতে ৷ অতএব আপনার টার্গেটেড অডিয়্যান্স হলো বাংলাদেশি। সেজন্য আপনাকে একটু বেশি পরিশ্রম করতে হবে।

যেমন, ইজোয়িক এর ভিজিটর লিমিট হলো ১০ হাজার। তো আপনার ওয়েবসাইটে যদি ১০ হাজারের বেশি ভিজিটর থাকে। তাহলে ইজোয়িক আপনার ওয়েবসাইটকে অবশ্যই Approval দিতে বাধ্য।

তবে এটা আবার ভাববেন না যে, ইজোয়িক বাংলা ভাষার ওয়েবসাইটকে সাপোর্ট করেনা ৷ এমন অনেক বাংলা ভাষার ওয়েবসাইট আছে। যারা ইজোয়িক নিয়ে কাজ করছে। উদাহরন হিসেবে Banglatech24 ওয়েবসাইটটি দেখতে পারেন।

তারা বাংলা ভাষা নিয়ে ব্লগিং করার পরও ইজোয়িক থেকে Approval পেয়েছে। যদি আপনিও Approval পেতে চান। তাহলে অন্য কিছুর দিকে না তাকিয়ে ভিজিটরের দিকে ফোকাস রাখুন। 

আমাদের শেষকথা

যদি আপনি এই পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন। তাহলে আমি নিশ্চিত যে ,আপনি এতক্ষণে  ইজোয়িক সম্পর্কে জেনে জেনে গেছেন।

তবে হ্যাঁ, শুধু জানলেই হবে না। বরং এইসব প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে কিভাবে বেশি পরিমানে ইনকাম করা যায়। সেটা নিয়েও ভাবতে হবে। কারন আপনার অর্জন করা জ্ঞান যদি কোথাও প্রয়োগ না করেন। তাহলে সেই জ্ঞান অর্জন করাটাই বৃথা।

আমাদের আর্টিকেল যদি ভাল লাগে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন। এতে করে আমাদের নতুন কন্টেন্ট দিতে আগ্রহ আরো বেড়ে যায়।

সবশেষে এটাই বলবো যে, যেহুতু আপনি ইজোয়িক নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছুক। সেহুতু আপনার কোনো না কোনো সময় নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যদি আপনি নিজে থেকে সেই সমস্যা গুলোর সমাধান করতে না পারেন। তাহলে আমাদের জানান। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো আপনাকে হেল্প করার।

আজ আর নয়, দেখা হবে পরবর্তী আর্টিকেলে আপনার ব্লগিং গাইডের বাংলা আইটি ব্লগে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ!

17 thoughts on “Ezoic কি ? ইজোয়িক থেকে আয় করার উপায় – বাংলা আইটি ব্লগ”

  1. আমার ওয়েবসাইট ইজোয়িক এ এড করার পর এডসেন্স থেকে আর টাকা তুলতে পারবো না?

  2. নাইমুল ইসলাম

    আমাকে Ezoic এপ্রুভাল মেইল পাঠাইছে। আমি এ নিয়ে আপনার জিমেইলে সাময়িক কথা বার্তা বলতে চাই। কিছু জানার ছিল। সময় হলে অবশ্যই জানাবেন রিপ্লে করে।

  3. ভাই, বাংলা কন্টেন্টে এডসেন্স ভালো নাকি এজুইক?

    1. ইজোইক এর পাওয়ার জন্য আপনার ওয়েবসাইটে প্রতিমাসে ১০ হাজার পেজ ভিউ দেখাতে হবে আর সেই দিক থেকে গুগল এডসেন্স বেস্ট ।

      এডসেন্স ভিউ নিয়ে পেড়া দেইনা।

  4. Md. Faruk Hossain

    মনিটাইজেশন পেতে হবে, তারপর এজুইক ব্যবহার করতে হবে। কথাটি ক্লিয়ার বুঝতে পারছি না। আমরা যেমন সাইটকে সরাসরি এডসেন্স এ আবেদন করি, তারা সাইট ভিজিট করে, শর্তাবলী অনুসরণ করতে এ্যাপ্রুভ দেয়। পূর্বেই মনিটাইজেশনের প্রয়োজন পড়ে না। এখানে ভিন্নতা। তো মনিটাইজেশনটা কোথা থেকে পেতে হবে? আশাকরি উত্তর মিলবে। ধন্যবাদ।

    1. গুগোল অ্যাডসেন্সে এপ্রুভ করা না থাকলেও আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আবেদন করতে পারবেন ।
      তবে বলে রাখা ভালো যে আপনার ব্লগ সাইটে ওয়ার্ডপ্রেস এবং সেটি যদি নেমচিপ হোস্টিং করা থাকে তাহলে আপনার বেশিরভাগ সময়ে ওয়েবসাইটে ডাউন থাকবে।

  5. আমার ওয়েবসাইটে এডসেন্স এপ্রুভ আছে । আমি কি ইজোইক ব্যবহার করলে এডেসেন্স এর কোন সমস্যা হবে । আমি কি দুইটাই একসাথে ব্যবহার করতে পারব ?

  6. Mohammad Salauddin

    বিষয়টা সম্পর্কে একেবারেই ধারণা ছিলো না আমার। আপনার এই তথ্যবহুল আর্টিকেল পড়ে অনেক কিছু জানলাম। তবে কিভাবে আবেদন করতে করতে হয়, এটি দেখালে ভালো হতো। শুকরিয়া।

    1. আসলে আমরা শুধু ধারনা দিয়েছি আর আপনি স্টেপ বাই স্টেপ ফলো করলে নিজেই বোঝতে পারবেন। আর না পারলে হিন্দিতে কিছু ভিডিও পাবেন সেগুলা দেখলে ধারণা পাবেন।

  7. আমার সাইটে যদি অর্গানিক ট্রাফিকের চেয়ে সোশ্যাল ট্রাফিক বেশি হয় এবং সাইটে তেমন কিওয়ার্ড রিসার্চ না করা থাকে তবে ইজোয়িক কি প্রবলেম করবে?

  8. আমি আমার ওয়েভ সাইটে অনেক দিন ধরে কাজ করতেছি। কিন্তু কোন ভাবেই এডসেন্স এপ্রোভ পাচ্ছি না। একজন বিগেনার ফিসেবে কোন কোন নিশে কাজ করলে দ্রুত এডসেন্স পাওয়া যয় এই সম্পর্কে যদি বলতেন তাহলে অনেক উপকৃত হতাম।

    1. আপনার ওয়েবসাইটটিতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি থাকতে হবে।

      আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্টটি ভালো মানের এবং তথ্যপূর্ণ হতে হবে।
      আপনার ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু প্রাসঙ্গিক এবং আকর্ষক হতে হবে।
      আপনার ওয়েবসাইটের বিষয়বস্তু সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) এর জন্য অপ্টিমাইজ করা লাগবে।
      আপনার ওয়েবসাইটে পর্যাপ্ত পরিমাণে মূল্যবান কন্টেন্ট থাকতে হবে।
      আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত নতুন কন্টেন্ট পাবলিশ করতে হবে।

      আর আপনার ওয়েবসাইট রিস্পন্সিব ডিজাইন এবং কপিমুক্ত আর্টিকেল থাকতে হবে তার সাথে প্রয়োজনীয় ৩-৳ পেজ থাকতে হবে।

  9. পোস্টটিতে বিস্তারিত ভাবে উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ! এর আগে কিছুটা ধারণা থাকলে এ সম্পর্কে পূর্ণ ধারনা ছিল না। পোস্টটি উপকারী একটি পোস্ট।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top