Google adsense কি ? গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়

Google adsense কি ? গুগল এডসেন্সের থেকে কিভাবে আয় করবেন ? গুগল এডসেন্স কিভাবে কাজ করে?  কিভাবে গুগল এডসেন্স পাবেন?

google adsense কি
google adsense কি

ইত্যাদি প্রশ্ন গুলো যদি আপনার মনে ঘুরপাক খায়। কিংবা আপনি এই প্রশ্ন গুলোর উওর খুজছেন। তাহলে আপনি একবারে সঠিক জায়গাতে চলে এসেছেন।

সহজ কথায় যদি বলি, তাহলে গুগল এডসেন্স হলো বিজ্ঞাপনদাতা এবং পাবলিশারদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের একটি মাধ্যম।বিজ্ঞাপনদাতারা গুগলকে অর্থ প্রদান করে তাদের নিজস্ব পন্যের প্রচারের জন্য।

গুগল পাবলিশারদের মাধ্যমে সেই পন্যের বিজ্ঞাপন প্রচার করে।এবং গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে পাবলিশারদের  কিছু পরিমান রেভিনিউ শেয়ার করে।

আমি গুগল এডসেন্স সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়াদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি জনাতে পারবেন, গুগল এডসেন্স কি, কিভাবে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করবেন এবং গুগল এডসেন্স নিয়ে আরো অনেক তথ্য।

গুগল এডসেন্স  কি ?

আমরা সবাই জানি Google পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে জায়েন্ট (বৃহৎ)  কোম্পানি। অনলাইন জগতে গুগলের যতো অনুসারী (ব্যবহারকারী) রয়েছে। এতো বেশি সংখ্যক ব্যবহারকারী পৃথিবীর অন্য  কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নেই। 

তাই কোনো কোম্পানি বা পন্যের প্রচার বা প্রসারের জন্য, সবাই গুগলকেই বেছে নেয়।বর্তমানে টপ রেটেড Ad Network এর দিক থেকেও গুগলের অবস্থান, সবার শীর্ষে। 

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের কোম্পানি বা পন্যের মালিকেরা, গুগলকে অর্থ প্রদান করে। তাদের কোম্পানি বা পন্যের বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য। এরপর গুগল সেই বিজ্ঞাপন গুলোকে প্রচার করে বিভিন্ন পাবলিশারদের মাধ্যমে। 

কিন্তু প্রশ্ন হলো, এখানে গুগল এডসেন্সের ভূমিকা কি?

ওয়েল, যখন আপনি গুগলের আন্ডারে একজন পাবলিশার হিসেবে কাজ করবেন। তখন গুগল আপনাকে একটা ভার্চুয়াল একাউন্ট প্রদান করবে।

যে একাউন্টে গুগল একজন পাবলিশারকে কি পরিমান রেভিনিউ শেয়ার করছে। তা দেখতে পারবেন। অর্থ্যাৎ আপনি কত $(ডলার) আয় করছেন। তা গুগল এডসেন্স থেকে দেখতে পারবেন। 

AdSense বিজ্ঞাপন ভিন্ন হয় কেন ?

বর্তমানে Online Sector এ অনেক Ad Network আছে। যেমন, Media.net,Propllarads সহো অনেক। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এতোগুলো এড নেটওয়ার্ক থাকার পরেও। মানুষ কেন এডসেন্সকে প্রাধান্য দেয়?

আরো পড়ুন…

এর উওর হলো, গুগল একটি বিশ্বস্ত কোম্পানি। যদি আপনি গুগলের গাইডলাইন মেনে কাজ করেন। তাহলে আপনার ইনকাম করা টাকার দায়িত্ব সম্পূর্ন বহন করবে গুগল নিজেই।

এগুলো ছাড়াও এডসেন্সের জনপ্রিয়তার আরও বেশ কিছু কারন রয়েছে যেমনঃ

  • অপটিমাইজ এডঃ গুগল থেকে যে Add গুলো দেওয়া হয়। সেগুলো আগে থেকেই অপটিমাইজ করা থাকে। অর্থ্যাৎ আপনি যদি আপনার Blog/Website এ এডসেন্সের Add ব্যবহার করেন। তাহলে আপনার website এ তেমন একটা প্রভাব ফেলবে না। 
  • টার্গেটেড অডিয়্যান্সঃ সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, গুগলের সঠিক ব্যক্তিকে সঠিক Add প্রদর্শন করতে পারে। যেমন, আপনি যদি টেকনোলজি লাভার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে Tech জাতীয় Add দেখাবে। কারন গুগল তাদের প্রত্যেকটা ব্যাবহারকারীর তথ্যগুলো জমা করে রাখে। 
  • বিশ্বস্ততাঃ যখন আপনি অন্য কোনো Add Network এর সাথে কাজ করেন। তাহলে তারা আপনার পেমেন্ট দেয়ার সময় হেরফের করতে পারে। কিন্ত গুগল এমন একটি কোম্পানি, যেখানে আপনি নিশ্চিন্তে ইনকাম করতে পারবেন। এবং আপনার যতো টাকা ইনকাম হবে। আপনাকে ঠিক ততো টাকাই প্রদান করবে। 
  • সহজ পেমেন্ট মেথডঃ সবচেয়ে ভালো বিষয়, এডসেন্স থেকে টাকা উওলন করার সময়। আপনাকে তেমন কাঠঘর পোড়াতে হবে না। আপনাকে শুধু একটা Bank account এড করতে হবে। এরপর আপনার ইনকাম করা টাকা উওলনের জন্য Apply করলে। গুগল নিজে থেকেই আপনার Bank account এ টাকা পাঠিয়ে দিবে। 

গুগল এডসেন্স এর কাজ কি?

গুগল যেমন বিজ্ঞাপনদাতা আর পাবলিশারদের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে। ঠিক তেমনি পাবলিশারদের সাথে গুগলের সম্পর্ক স্থাপন করে google adsense.

যেহুতু গুগল পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ Ad Network. সেহেতু কোনো বিজ্ঞাপনদাতা যখন গুগলের মাধ্যমে কোনো পণ্যের প্রচার করে।

তখন গুগলকে হিউজ পরিমানে অর্থ প্রদান করে থাকে। বিজ্ঞাপন দাতারা গুগলকে যে পরিমান অর্থ প্রদান করে। সেখান থেকে ৩২% টাকা গুগল নিজের কাছে রেখে দেয়। আর বাকি ৬৮% টাকা রেভিনিউ শেয়ার করে পাবলিশারদের সাথে।

যখন আপনি গুগলের Partner Programme হিসেবে কাজ করবেন। তখন আপনাকে একটি গুগল কর্তৃত একটি Virtual account প্রদান করা হবে। 

যেখানে একজন পাবলিশার কি পরিমান ইনকাম করতে পারবে। তার পূর্নাঙ্গ ডিটেইলস দেখতে পারবে। এবং এডসেন্স একাউন্টে যে পরিমান $(Dollar) ইনকাম হবে। সেই $ গুলো নিজের Bank account এর মাধ্যমে উওলন করতে পারবে। 

গুগল এডসেন্স কিভাবে টাকা দেয় ?

যখন আপনি একজন পাবলিশার হিসেবে কাজ করবেন। তখন আপনি মূলত ২(দুই) ভাবে ইনকাম করতে পারবেন। 

  • CPC= Cost per click
  • RPM= Revenue per thousand impression 

এডসেন্স থেকে আপনি এই দুই পদ্ধতিতে ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু CPC বা RPM আসলে কি জিনিস? সেটি আপনাকে জানতে হবে।  

  • প্রশ্নঃ CPC কি? 

উওরঃ এটা খুব সাধারন একটা বিষয়।যে কেউ বুঝতে পারবে৷গুগলের একটা Add(বিজ্ঞাপন) – এ প্রতি Click এ আপনাকে যতো $(টাকা) দিবে। সেটি হলো CPC(সিপিসি)

  • প্রশ্নঃ RPM কি?

উওরঃ সিপিসি তে যেমন, প্রতি ক্লিকে গুগল আপনাকে টাকা দিবে। কিন্তু RPM- একটু ভিন্ন। এখানে গুগলের Ad এ প্রতি ১০০০ ভিউয়ের জন্য। গুগল আপনাকে যে পরিমান $ দিবে। তাকে RPM বলা হয়।

এখন প্রশ্ন হলো, এডসেন্স আপনাকে কিভাবে টাকা দিবে। তাইতো?

আপনি বিজ্ঞাপন দেখিয়ে যতো টাকা ইনকাম করবেন। সেগুলো প্রথমে গুগল এডসেন্স এ জমা হবে। এডসেন্সের নিয়ম অনুযায়ী, যখন আপনার এডসেন্স একাউন্টে 100$ জমা হবে। তখন আপনি Bank Account এর মাধ্যমে সেই টাকা তুলতে পারবেন। 

এডসেন্সের জন্য apply কিভাবে করবো ?

শুনুন, Google adsense এপ্লাই কিভাবে করবেন৷ সেটি জানার আগে ভাবুন, গুগল কেন আপনাকে AdSense দিবে। গুগলের Partner Programme এ যুক্ত হতে চাইলে আপনার নিজস্ব একটা  Audience ( অনুসারী) থাকতে হবে। 

যেখানে আপনি গুগলের সেই বিজ্ঞাপন গুলো দেখাতে পারেন। হতে পারে, আপনার একটি Youtube Channel অথবা আপনার একটা Blog Site. 

যখন আপনার নিজস্ব অডিয়্যান্স থাকবে। তখন আপনি গুগলের পার্টনার প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারবেন৷ সেজন্য এই লিংক থেকে গুগল এডসেন্সে Sign Up করতে হবে। 

Sign Up করার সময় আপনার Blog site / YouTube চ্যানেলের লিংক দিতে হবে। এরপর গুগল ম্যানুয়ালি চেক করার পর। আপনার Request Accept করবে।

এডসেন্স থেকে Approval পাওয়ার পর। আপনি গুগলের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম করতে পারবেন। 

কিভাবে AdSense ব্যবহার করতে হয় ?

এডসেন্স ব্যবহার করার জন্য তেমন বেশি কিছু লাগে না। আপনার একটা Gmail account থাকলেই যথেষ্ট। যখন আপনি AdSense Approval পাবেন।

তখন আপনার Gmail একাউন্ট দিয়ে পুনরায় Log in করতে পারবেন। লগ ইন করলে আপনি আপনার ইনকাম ভিওিক যাবতীয় তথ্য দেখতে পারবেন। যেমন, 

আপনার সেই দিনে কতগুলো Page View হয়েছে।  গত সাতদিনের পেজ ভিউয়ের সংখ্যা। 

  • Google Ads এ কতগুলো ক্লিক পড়েছে। 
  • RPM Rate কতো? 
  • প্রতি Add এ CPC Rate 
  • Page view হিসেবে CTR কতো? 
  • Visitors Location 

সহ আরো বেশি কিছু বিষয় আছে। যেগুলো আপনি আপনার AdSense account থেকে দেখতে পারবেন। 

এডসেন্স একাউন্ট খোলার নিয়ম

আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার হাতে থাকা মোবাইল অথবা কম্পিউটার থেকে। গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে পারবেন ৷

তার জন্য শুধুমাত্র আপনার একটা Personal Gmail Accounts থাকলেই যথেষ্ট। যেভাবে আপনি এডসেন্স একাউন্ট খুলবেনঃ

জেনে রাখুনঃ Gmail id দিয়ে সাইন আপ করার সময়।গুগল থেকে কিছু সিকিউরিটি Question জিজ্ঞেস করতে পারে। আপনাকে সেই প্রশ্নগুলোর সঠিক উওর দিতে হবে।

  • সর্বশেষ ধাপে গুগলের একটি Form আসবে। যেখানে আপনার নাম,ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর দিতে হবে। 
  • তার পর আপনার ব্লগ সাইটে ১টা কোড দিয়ে ভেরিফিকেশন করতে বলবে।

মনে রাখবেন, আপনি এখানে আপনার সঠিক তথ্যগুলো নির্ভুলভাবে দিবেন। কেননা, আপনি যদি এখানে ভুল তথ্য দেন। তাহলে পরবর্তীতে আপনাকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে। 

কিভাবে গুগল এডসেন্স থেকে টাকা আয় করা যায়?

গুগল এডসেন্স থেকে আপনি মূলত ২ ভাবে টাকা আয় করতে পারবেন। 

  • ব্লগ/ওয়েবসাইট থেকে
  • ইউটিউব চ্যানেল থেকে

আপাততো এই দুইটি পদ্ধতি থেকে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করা যায়। চলুন এবার এই পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করি। 

  • ব্লগ/ওয়েবসাইট থেকে আয়ঃ যদি আপনার লেখালেখির ক্রিয়েটিভিটি থাকে। তাহলে আপনি সেই ক্রিয়েটিভিটকে কাজে লাগিয়ে ব্লগ/ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। গুগল একটি থেকে প্রচুর পরিমানে ইনকাম করতে পারবেন। 

তবে ব্লগ/ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করতে হলে। প্রথমে আপনার ওয়েবসাইট কে মনিটাইজ করতে হবে। একটি ওয়েবসাইট কে মনিটাইজ করতে হলে। একটি ওয়েবসাইটে যা যা প্রয়োজনঃ

  • একটি ভালোমানের ব্লগ/ওয়েবসাইটঃ

Google Adsense Approval পেতে হলে। সর্বপ্রথম আপনার এটি মানসম্মত ওয়েবসাইট থাকতে হবে। এখানে আমি ভালো মানের ওয়েবসাইট বলতে বুঝিয়েছি। ওয়েবসাইট অবশ্যই ভালোমানের কন্টেন্ট থাকতে হবে। কোনো কপি করা কন্টেন্ট থাকবে না। এবং কন্টেন্টগুলো অবশ্যই ১৮+(Adult/Nudity) মুক্ত হতে হবে। 

  • কিছু দরকারী পেজঃ 

এডসেন্স এপ্রুভাল পেতে হলে আপনার ওয়েবসাইটে বেশ কিছু দরকারী পেজ থাকতে হবে। যেমন,Contact us/About us/Disclemar/Privacy Policy। যদি এই পেজগুলো না থাকে। তাহলে আপনার এডেসন্স রিকুয়েষ্ট  Rejected হওয়ার সম্ভাবনা ৬০%.

  •  ভিজিটরঃ 

কোনো ওয়েবসাইটে AdSense Approval পেতে হলে। ওয়েবসাইটে হিউজ পরিমান ভিজিটর থাকতে হবে। তেমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই৷ তবে অনেকেই বলে, ওয়েবসাইটে ভিজিটর না থাকলে, এডসেন্স এপ্রুভ হয়না। যা একেবারেই ভ্রান্ত ধারনা। 

কিন্তু যখন আপনার ওয়েবসাইটে মোটামুটি পর্যায়ে ভিজিটর থাকবে। ঠিক তখনি আপনার এডসেন্সের জন্য Apply করা উচিত ৷

কারন, আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভিজিটর ই না থাকে৷ তাহলে এডসেন্সের Ad (বিজ্ঞাপন) থেকেও আপনার ইনকাম হবেনা। 

ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে এডসেন্স থেকে আয়

এডসেন্স থেকে আয় করার আরেকটি পদ্ধতি হলো ইউটিউব চ্যানেল” এই পদ্ধতিতে সবচেয়ে বেশি পরিমানে এডসেন্স থেকে আয় করা সম্ভব।

যার প্রবনতা আজকের দিনে অনেক অংশেই বেড়ে গেছে। যদি আপনার মধ্যে ভিডিও তৈরি করার ক্রিয়েটিভিটি থাকে। তাহলে আপনি সেই ক্রিয়েটিভিটিকে কাজে লাগিয়ে ইউটিউব থেকে প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। 

তারজন্য আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকতে হবে৷ তারপর সেই চ্যানেলে ইউটিউব এর Community Guidelines এবং Privacy Policy মেনে ভিডিও আপলোড করতে হবে। যদি আপনার নতুন চ্যানেল হয়ে থাকে।

তাহলে আপনাকে সর্বশেষ ১২ মাসে ১ হাজার Subscriber এবং ৪ হাজার ঘন্টা Watch time থাকতে হবে। 

অবশ্যয় পড়ুন…

এরপর আপনার এডসেন্স একাউন্টকে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে কানেক্ট করে। ইউটিউবের Partner Programme অর্থ্যাৎ মনিটাইজেশন চালু করে খুব সহজেই বিপুল পরিমাণ অর্থ ইনকাম করতে পারবেন। 

যেভাবে ব্লগের জন্য এডসেন্স এর এপ্রোভাল পাবেন

সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, যদি আপনার একটি ব্লগ থাকে। যা Google Blogger দিয়ে তৈরি করা। এবং সেই ব্লগটি যদি blogspot.com ডোমেইন দিয়েও তৈরি করা হয়ে থাকে।

তারপরও আপনি সেই ব্লগ থেকে এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এখন প্রশ্ন হলো, কিভাবে? 

কিভাবে ব্লগে এডসেন্স এপ্রুভাল পাবেন৷ সেটি জানার আগে আপনাকে জানতে হবে, গুগল কেন আপনার ব্লগে এডসেন্স এপ্রুভ করবে।

আমরা সবাই জানি, Blogger হলো গুগলের নিজস্ব একটি প্রডাক্ট। যার হোস্ট করে গুগল নিজেই৷ যার কারনে কোনো টাকা-পয়সার ব্যয় ছাড়াই।

খুব সহজে ব্লগারের Sub Domain দিয়েই একটি ব্লগ তৈরি করতে পারবেন। এবং সেই ব্লগে এডসেন্সের সাহায্যে ইনকাম ও করতে পারবেন। 

ব্লগের মাধ্যমে এডসেন্স এপ্রুভাল পেতে হলে। আপনার ব্লগটিকে Unique Content থাকতে হবে। যে Content গুলো সম্পূর্ন নিজের লেখা হতে হবে ৷

অর্থ্যাৎ, কোথাও থেকে Copy করা কন্টেন্ট আপনার ব্লগে প্রকাশ করা সম্পূর্ন নিষিদ্ধ। এরপর আপনাকে আপনার ব্লগটি Google earch Console এ সাবমিট করতে হবে।

যখন গুগল থেকে আপনার ব্লগে মানসম্মত পরিমানে অর্গানিক ভিজিটর আসতে শুরু করবে। তখন আপনি আপনার ব্লগটিকে মনিটাইজ করে গুগল একটি থেকে ইনকাম করতে পারবেন।

যেভাবে ব্লগে এড ব্যবহার করবেন 

যখন আপনার লেখা ব্লগটি এডসেন্সে এপ্লাই করার উপযোগী হবে। তখন এপ্লাই করার পর যদি এডসেন্স আপনার Request Accept করে ৷ তখন কিভাবে আপনার ব্লগে গুগলের বিজ্ঞাপন দেখাবেন। এবার এই বিষয়ে জেনে নিন। 

আপনার এডসেন্স একাউন্টে Log in করে সেখান থেকে Ad Code কপি করে নিন। এরপর সরাসরি চলে যাবেন,আপনার Blogger Dashboard এ।

এবার ভালোভাবে লক্ষ্য করুন যে, আপনার ব্লগের টেমপ্লেট অনুযায়ী কোথায় কোথায় Ad বসালে সবচেয়ে বেশি Click পাওয়া সম্ভব। 

এরপর আপনি Blogger এর Layout অপশন থেকে সেই সেই জায়গা গুলোতে Weidght এড করবেন৷ এবং সেই উইজেডটি অবশ্যই  hlml/javascript হতে হবে।

সেই উইজেডে আপনার এডসেন্স থেকে কপি করা Ad কোড গুলো বসিয়ে দিবেন। এরপর আপনাকে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। কিছু সময়ের মধ্যেই আপনার ব্লগে Ad শো করা শুরু হবে। 

WordPress ব্লগসাইট হলেও একই সব কিছু করতে হবে যা উপরে আমরা আলোচনা করেছি। তবে গুগল এর এড বসানোর জন্য Ad insert plugin use করতে পারেন।

গুগল এডসেন্স পলিসি

এতোক্ষনে গুগল এডসেন্সের গুনাগুন এবং কিভাবে এডসেন্স Approvel পাবেন। সে সম্পর্কে কথা বলেছি। এবার জেনে নেয়া যাক, যদি আপনি গুগলের আন্ডারে একজন পাবলিশার হিসেবে কাজ করেন।

তাহলে আপনাকে গুগলের পলিসি মেনে কাজ করতে হবে। কি আছে সেই পলিসিতে, চলুন এবার সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। 

এডাল্ট(১৮+) কন্টেন্ট  

আমরা সবাই জানি, ১৮+ কন্টেন্টের জনপ্রিয়তা সবার শীর্ষে। Adult Content নিয়ে কাজ করে। খুব দ্রুত একটি Website / YouTube channel কে টপ Rank -এ নিয়ে আসা সম্ভব ৷

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে,গুগল কখনই ১৮+ (যৌন সুড়সুড়ি মূলক) কন্টেন্টকে সমর্থন করে না।

যদি আপনি এই টাইপের কন্টেন্ট নিয়ে কাজ করেন৷ তাহলে আপনি কখনই তা মনিটাইজ করতে পারবেন না। আর যদি বুদ্ধি খাটিয়ে কোনো ভাবে মনিটাইজ করেও থাকেন৷ তাহলে তা বেশিদিন স্থায়ী হবেনা। 

কপি কন্টেন্ট

ওয়েবসাইটে যদি কপি কন্টেন্ট রাখেন তাহলে এডসেন্স পাবেন না কারণ তাদের পলিসিতে কপি কন্টেন্ট এলাও করে না। আপনাকে অবশ্যয় ইউনিক আর্টিকেল বা কন্টেন্ট দিতে হবে।

এতে করে আপনার ওয়েবসাইট র‍্যাংক করবে প্লাস এডসেন্স ও পাবেন।

হ্যাকিং/ক্রাকিং কন্টেন্ট

আমরা যারা টেকনোলজি বিষয়ে একটু ভালো জানি৷ তাদের সবারই মনে কোনো না কোনো সময়ে নিজেকে হ্যাকার তৈরি করার একটা স্বপ্ন জেগে থাকে।

হ্যাকার হওয়ার এই স্বপ্ন পূরন হোক বা নাহোক। গুগল আপনার সেই স্বপ্নকে কখনই পূরন হতে দেবে না। কারন আপনি যদি Hacking/Cracking নিয়ে কাজ করেন।

তাহলে গুগল আপনাকে কখনই মনিটাইজেশন দেবে না। কারন,এইসব কন্টেন্ট সম্পূর্ন পলিসির বাইরে। 

গাইডলাইনঃ 

একজন পাবলিশারকে অবশ্যই গুগলের গাইডলাইন গুলো মেনে কাজ করতে হবে। যদি আপনি সেগুলো মানতে একটু ১৯/২০ করেন।

তাহলে আপনিও বাদ পড়ে যাবেন গুগলের Partner Programme থেকে। গুগলের গাইডলাইন গুলো এখানে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন। যেন পরবর্তীতে আপনার মনিটাইজেশনে কোনো সমস্যা না হয়।

এডসেন্স থেকে টাকা তোলার পদ্ধতি

এবার আসা যাক মূল বিষয়ে, আসলে এতোকিছু করে আপনি যে টাকা ইনকাম করবেন ৷ সেই টাকা কিভাবে  আপনার হাতে পাবেন।

কারন শুধু ইনকাম করলে তো হবে না। ইনকামের টাকা আপনার হাতে আসতে হবে,তাইতো। এবার সেই বিষয়ে জেনে নিন। 

আপনার এডসেন্স একাউন্টে ইনকাম হলেই আপনি টাকা হাতে পাবেন। আসলে বিষয়টা সেরকম নয়। এখানেও গুগলের কিছু নিয়ম-নীতি আছে।

সেগুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে। তবে জেনে রাখা ভালো, এডসেন্সের শুধুমাএ একটি পেমেন্ট মেথড রয়েছে। আপনি শুধুমাএ Bank Account এর মাধ্যমে আপনার অর্জিত টাকা উওলন করতে পারবেন। 

যখন আপনার AdSense একাউন্টে 100$ বা তার অধিক $ জমা হবে। তখন আপনি আপনার Bank account এ সেই $ Withdraw করতে পারবেন। অন্যথায় এডসেন্স একাউন্টে 100$ এর কম থাকলে। আপনি তা উওলন করতে পারবেন না। 

গুগল এডসেন্স থেকে কত টাকা আয় করা যায়?

খুব গভীর একটা প্রশ্ন, আসলে আপনি সর্বোচ্চ কত টাকা এডসেন্স থেকে আয় করতে পারবেন৷ গুগলের এরকম কোনো নিয়ম আছে নাকি। এবার সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। 

আসলে গুগল থেকে সেরকম কোনো নিয়ম নেই। সহজ কথায় বললে, আপনি আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন।এডসেন্স থেকে আপনি যতো টাকা ইনকাম চাইবেন। আপনি ততো টাকাই ইনকাম করতে পারবেন।

সেরকম কোনো বাধ্যবাধকতা নেই যে, আপনি 100$  অথবা, 500$ এর উপরে আর ইনকাম করতে পারবেন না। 

আপনি যদি গুগলের সকল Privacy Policy মেনে কাজ করে 10000$ ইনকাম করতে পারেন। এতে গুগলের কোনো সমস্যা নেই। আপনি যতো বেশি ইনকাম করবেন। গুগল আপনাকে সব টাকা দিতে সদা সর্বদা প্রস্তুত।

আপনার জন্য আর…

গুগল এডসেন্স এর চিঠি কিভাবে হাতে পাবেন?

কথিত আছে, গুগল এডসেন্স সোনার হরিণ।এই কথার মর্মার্থ তখনই বুঝতে পারবেন। যখন গুগল এডসেন্সের চিঠি আপনার দরজায় কড়া নাড়বে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, গুগল এডসেন্স কেন,কখন,কিভাবে আপনার কাছে চিঠি পাঠাবে। 

যখন আপনার এডসেন্স একাউন্টে ১০$(ডলার) জমা হবে।তখন এডসেন্স একাউন্টে Log in করলেই “Verify Your Belling Address”.

তখন গুগল আপনাকে ভেরিফিকেশন করতে চাইবে ৷ কারন, আপনি যে তাদের Partner Programme এ যুক্ত হয়েছেন। আপনি আসলে মানুষ না রোবট।

সেটি Check করার জন্য গুগল থেকে আপনার এডসেন্সে দেওয়া ঠিকানায় একটি চিঠি পাঠাবে। এই চিঠিতে কি থাকে? 

এই চিঠিতে তেমন কিছই থাকেনা ৷ শুধু একটি কোড থাকে। যেই কোডটি আপনাকে এডসেন্সে বসিয়ে দিতে এড্রেস ভেরিফিকেশন করতে হবে। 

আমাদের শেষ কথা

যাক অবশেষে গুগল এডসেন্স সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জেনে গেছেন। সবশেষে বলবো, যদি এডসেন্স থেকে সঠিক উপায়ে ইনকাম করতে পারেন।

তাহলে আপনি খুব সহজেই নিজের মানসম্মত একটা ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। মানুষ যেমন চাকরি করে নিজের জীবিকা নির্বাহ করছে।

আপনি অনলাইনের মাধ্যমে নিঁখুতভাবে এডসেন্সের ইনকাম থেকেও নিজের জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন।

আমার বাংলা আইটি ব্লগ সম্পর্কে কিছু বলার থাকলে বা আর্টিকেল নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জিজ্ঞাসা করে ফেলেন। আমরা খুব দ্রুত আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব।

2 thoughts on “Google adsense কি ? গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়”

  1. MOHAMMAD SULTAN UDDIN

    Sure a good article, thanks brother.

    এখন আমাকে বলুন আমি কোন ট্রেনিং ছাড়া কিভাবে গুগল এডসেন্স এ কাজ করবো, আপনি কি ইহার সকল বিষয়ে সাহায্য করবেন?

    IF YOU WANT TO HELP AS YOUR BROTHER KINDLY TELL ME OVER MY WHATSAPP: +880 1705846921
    THANKS
    SULTAN UDDON

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top