ঘরে বসে অনলাইনে ডলার ইনকাম করার উপায়

অনলাইনে ডলার ইনকাম করার স্বপ্নটা আমরা প্রায় সবাই দেখে থাকি। কেননা যারা মূলত ঘরে বসে অনলাইনে চাকরি করে। তারা কিন্তুু বিশেষ ধরনের সুবিধা ভোগ করে থাকে।

আর এ কারনেই মূলত আমরা সবাই ডলার আয় করার স্বপ্ন দেখে থাকি। 

অনলাইনে ডলার ইনকাম করার উপায়
অনলাইনে ডলার ইনকাম করার উপায়

তো আপনার মনেও যদি এইরকম ঘরে বসে ডলার আয় করার ইচ্ছে থাকে। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে।

কেননা আজকে আমি যে টপিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। সেটি হলো কিভাবে ডলার ইনকাম করা যায়।

তবে আমি গত আর্টিকেল গুলোতে ঘরে বসে ডলার ইনকাম করার উপায় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। যেমন, 

তো এই আর্টিকেল গুলোতে আপনাদের বেশ সাড়া পেয়েছি। আর সেজন্যই মূলত আপনাদের জন্য আরও একটি ডেডিকেটেড আর্টিকেল লেখার সিন্ধান্ত নিয়েছি।

যেখানে আপনি অনলাইন ইনকাম সাইট গুলোতে কাজ করে ডলার ইনকাম করবেন। সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

যাইহোক আপনি যদি আমার সাইটের পুরাতন ভিজিটর হয়ে থাকেন। তাহলে আপনি এতোক্ষনে বুঝে গেছেন যে আমি আজকে কি বিষয়ে আলোচনা করবো।

তবে আপনি যদি আমার সাইটের নতুন ভিজিটর হয়ে থাকেন। তাহলে আপনাকে রিকুয়েষ্ট করবো আজকের এই আর্টিকেলটি একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ার। 

ডলার মানে কি? (What is dollar in bangla)

যেহুতু আজকে আমি কিভাবে ডলার ইনকাম করা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করবো। সেহুতু ডলার মানে কি সে নিয়ে একটু ধারনা নেয়া উচিত।

তাহলে আপনার পরবর্তী আলোচনা গুলো বুঝতে সুবিধা হবে।

সহজ কথায় ডলার হলো মানুষের দৈনন্দিন আর্থিক লেনদেন করার একটি মাধ্যম। আমরা যেমন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে লেনদেন করার জন্য টাকা ব্যবহার করি। ঠিক তেমনি ভাবে কিছু কিছু দেশে ডলার ব্যবহার করে।

আপনার জন্য আরো লেখা…

আপনি যদি ডলারের সাথে নতুন পরিচিতি হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জানা থাকা দরকার যে ১ ডলার সমান বাংলাদেশি টাকা ৮০-৯০ টাকা। 

আর আমার মনে হয় এ বিষয়টি আমরা কমবেশি সবাই জানি। তাই এ নিয়ে আর বিস্তারিত আলোচনা না করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। তো চলুন এবার অন্য বিষয়ে জেনে নেয়া যাক। 

ডলার ইনকাম করতে কত সময় লাগে?

যারা মূলত অনলাইনে টাকা আয় করার জন্য আসে। তাদের সবার মনে যে প্রশ্নটি আগে আসে সেটি হলো, ডলার ইনকাম করতে কত সময় লাগে।

তো এবার সে বিষয়টি নিয়ে একটু ক্লিয়ার ধারনা দেয়া উচিত।

দেখুন আপনি আসলে কতদিনে অনলাইন থেকে ডলার ইনকাম করতে পারবেন ৷ তা কিন্তুু সঠিকভাবে বলা সম্ভব না ৷ কেননা, এমন কিছু মানুষ আছেন, যারা মূলত অনলাইন থেকে ডলার ইনকাম করতে করতে ১ বছর লেগে যায়।

আবার কিছু মানুষ আছেন, যারা এক মাসেই ডলার ইনকাম করে থাকে।

তবে প্রশ্ন হলো যে, এই ডলার আয় করার পার্থক্য হওয়ার কারন কি?

এর প্রধান কারন হলো, অনভিজ্ঞতা। কেননা, যখন একজন মানুষ অনলাইন ইনকাম জগতে নতুন পা ফেলে। তখন তাদের মূল ফোকাস থাকে টাকার উপর ৷

তারা যা কিছু করে না কেন। সবার আগে তারা শুধু টাকা আয় করার পেছনে ছুটে থাকে।

কিন্তুু আপনি একটা বিষয় চিন্তা করে দেখুন। আপনি অনলাইনে কাজ করুন অথবা অফলাইনে কাজ করুন। কেউ কি আপনাকে হুদাই টাকা দিবে? – না! বরং আপনাকে প্রথমে কোনো কাজ করতে হবে।

এবং এরপরই আপনি সেই কাজের বিনিময়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এখন আপনি যে কাজগুলো করবেন। সেগুলো আপনাকে শিখে নিতে হবে। আর এই কাজগুলো শিখে নেয়ার জন্য আপনি মোট কতটুকু সময় ব্যয় করবেন।

মূলত এটির উপরে নির্ভর করবে যে আপনার ডলার ইনকাম করতে মোট কতদিন সময় লাগবে।  

মোবাইল দিয়ে ডলার ইনকাম করা যাবে কি?

অনলাইনে কিভাবে ডলার ইনকাম করা যায়। এ বিষয়ে তো একটা ক্লিয়ার ধারনা পেয়ে গেছেন। তো এবার আপনার মনে আরও একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে।

সেটি হলো, মোবাইল দিয়ে কি ডলার ইনকাম করা যাবে কিনা। তো এবার সে নিয়েও আলোচনা করা যাক।

আমি গত বেশ কিছু আর্টিকেলে এ নিয়ে কথা বলেছি। যেগুলোতে মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

যেখানে আমি ষ্পষ্টভাবে ধারনা দেয়ার চেস্টা করেছি যে, কিভাবে আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোন দিয়ে অনলাইন থেকে আয় করতে পারবেন ৷

তো এটা সত্যি যে পূর্বের দিন গুলোতে মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করা ততোটা সহজ ছিলো না। কিন্তুু বর্তমান সময়ের মোবাইল ফোন গুলো অনেক বেশি উন্নত হয়েছে।

যার কারনে আজকের দিনের মোবাইল ফোন গুলো দিয়ে অনলাইনে থাকা অনেক কাজ করা যায়।

আর সেজন্যই আমি সবসময় একটা কথা বলি যে, আজকের দিনে যদি আপনার অনলাইন থেকে ইনকাম করার ইচ্ছে থাকে।

তাহলে বাড়িতে অযথা বসে না থাকে, আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। 

কিভাবে ডলার ইনকাম করা যায়?

যদি আপনি নিজের ঘরে বসে ডলার ইনকাম করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু কাজ করতে হবে। কেননা, আপনি অনলাইনের কাজগুলো করার বিনিময়েই অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে এই ঘরে বসে অনলাইন ইনকাম কথাটি শোনার পর অনেকেই মনে করে যে, হয়তবা শুধু ঘরে বসে থাকতে হবে। আর আপনার কাছে আকাশ থেকে ডলার উড়ে উড়ে আসবে।

বিষয়টি কিন্তুু এমন না রে ভাই। এই ডলার ইনকাম করার জন্যও আপনাকে অনেক শ্রম দিতে হবে ৷

তবে এই শ্রম আপনি নিজের ঘরে বসেই দিতে পারবেন। সেজন্য আপনাকে ঘরের বাইরে না গেলেও চলবে।

তো যেহুতু আজকে আমাদের মূল টপিক হলো, কিভাবে ডলার ইনকাম করা যায়। সেহুতু এবার সরাসরি মূল টপিকে ফিরে যাওয়া উচিত।

তো চলুন এবার জেনে নেয়া যাক, কিভাবে ডলার ইনকাম করা যায়

আপনার মনে যদি অনলাইন ইনকাম করার একান্ত ইচ্ছা থাকে। তাহলে আপনি বিভিন্ন প্রকার কাজের মাধ্যমে আপনার ডলার আয় করার ইচ্ছাকে পূরন করতে পারবেন। যেমনঃ 

০১| ব্লগিং করে ডলার ইনকাম

অনলাইন প্লাটফর্ম এর মধ্যে একটি মুক্ত পেশার নাম হলো ব্লগিং। যেখানে আপনার লেখালেখি করার দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিপুল পরিমান টাকা অনলাইন থেকে ইনকাম করে নিতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে আপনার মতো অনেক মানুষই এই সেক্টরে কাজ করে নিজের একটা সফল ক্যারিয়ার গড়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, এই ব্লগিং আবার কি জিনিস?-যদি আপনার মনে এমন প্রশ্ন জেগে থাকে।

তাহলে বলবো, ব্লগিং নিয়ে আমি অনেক আর্টিকেল পাবলিশ করেছি। যদি আপনি জানতে চান তাহলে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

তো যদি আপনি ব্লগিং থেকে ডলার ইনকাম করতে চান। তাহলে কিন্তুু আপনার বেশ কিছু বিষয়ে ধারনা থাকতে হবে। এবার সে বিষয় গুলো নিয়ে স্বল্প আকারে ধারনা দেয়ার চেস্টা করবো। 

ব্লগিং করার জন্য কি কি জানতে হবে?

যদি আপনি অনলাইন থেকে আয় করার জন্য ব্লগিং সেক্টরকে বেছে নেন। তাহলে আপনার মধ্যে বেশ কিছু গুনাবলি থাকতে হবে। যেমনঃ 

  • প্রথমত আপনার লেখালেখি করার মতো দক্ষতা থাকতে হবে। কেননা, একটি ব্লগ তখনি স্বয়ংসম্পূর্ণতা পাবে। যখন সেখানে নিয়মিত লেখালেখি করা হবে। 
  • এখন আপনি শুধু লেখালেখি করলেই হবে না। বরং সেই লেখা গুলোকে হাজার হাজার মানুষের সামনে পৌঁছে দিতে হবে। আর আপনার লেখাকে মানুষের নিকট পৌছে দেয়ার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো SEO. যা সম্পর্কে আপনার যথেষ্ট ধারনা থাকতে হবে।  
  • মনে রাখবেন Blogging থেকে আপনি তখনি বেশি পরিমানে টাকা আয় করে নিতে পারবেন। যখন আপনি আপনার তৈরি করা ব্লগে হিউজ পরিমানে পাঠক নিয়ে আসতে পারবেন। 
  • আর যখন আপনি আপনার তৈরি করা ব্লগে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর নিয়ে আসতে পারবেন। তখন আপনার অনলাইন থেকে ডলার আয় করারও অনেক গুলো রাস্তা খুলে যাবে।

তো যদি আপনি উপরোক্ত দক্ষতার সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারেন। তাহলে বলবো Blogging সেক্টরে আপনাকে স্বাগতম।

অন্যথায় আপনি নিচের কাজ গুলো করেও ডলার ইনকাম করতে পারবেন। 

০২| ইউটিউব চ্যানেল বানিয়ে ডলার ইনকাম

আমরা সবাই জানি যে বর্তমান সময়ে পুরো বিশ্বের মধ্যে ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম হিসেবে Youtube সবার শীর্ষে রয়েছে।

কথিত নয় বরং এটা বাস্তব যে, কোনো একটি শিশু জন্ম নেয়ার পর থেকে মৃত্যু পর্যন্ত শুধু ইউটিউব এর ভিডিও দেখে। তারপরও সেই শিশুটি Youtube এর ভিডিও দেখে শেষ করতে পারবে না ৷

সবচেয়ে অবাক করার মতো বিষয় হলো। ইউটিউবে যেসব ভিডিও আমরা দেখতে পাই। সেগুলো কিন্তুু youtube নিজে থেকে তৈরি করে না।

আপনি আরো পড়ুন…

বরং আমাদের মতো আমজনতা এই ভিডিও গুলো তৈরি করে থাকে। তবে এখন প্রশ্ন উঠছে যে, মানুষ কেন শ্রম এবং সময় দিয়ে ইউটিউব এ ভিডিও তৈরি করে।

এর প্রধান কারন হলো টাকা। হুমম! আপনি ঠিকি দেখেছেন। বর্তমানে আপনি যদি ইউটিউবে একটি চ্যানেল তৈরি করেন। এবং সেই চ্যানেলে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করেন।

তাহলে আপনি সেই চ্যানেল থেকে বিপুল পরিমান ডলার আয় করে নিতে পারবেন।

আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন। কারন বর্তমান প্রজন্ম কোনো প্রকার চাকরি বাকরি না করে। শুধু ইউটিউবে কাজ করার মাধ্যমে নিজের একটা সফল ক্যারিয়ার গড়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।

তাই চাইলে আপনিও ইউটিউবে কাজ করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারবেন। 

ইউটিউব থেকে কিভাবে ডলার ইনকাম করা যায়? 

যদি আপনি অনলাইন এর ইউটিউব প্লাটফর্ম থেকে ডলার আয় করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। যেমনঃ 

  • সবার আগে আপনাকে কোনো বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। মানে আপনি যে বিষয়ে ভিডিও তৈরি করবেন৷ সে বিষয়ে আগে আপনাকে যথেষ্ট দক্ষ হতে হবে। 
  • এরপর আপনাকে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে। 
  • মনে রাখবেন ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার সময় আরও কিছু রুলস মেনে চলতে হয়। আপনাকে অবশ্যই সে দিক গুলোর দিকে ফোকাস রাখতে হবে। 
  • এরপর আপনাকে সেই চ্যানেলটিকে প্রফেশনাল এর মতো কাষ্টমাইজ করে নিতে হবে। 
  • এরপর আপনাকে সেই চ্যানেলে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে। 
  • যখন আপনি নিয়মিত ভিডিও আপলোড করার পর আপনাকে মূল ফোকাস রাখতে হবে।
  • আপনার ভিডিওতে প্রচুর পরিমানে ভিউ হয়। আর ভিডিওতে ভিউ নিয়ে আসার জন্য আপনাকে Youtube SEO সম্পর্কে ধারনা রাখতে হবে। 
  • সবশেষে আপনি যদি উপরোক্ত নিয়ম গুলো মেনে চলতে পারেন। তাহলে আপনি বেশ ভালো পরিমান ডলার ইউটিউব থেকে আয় করে নিতে পারবেন ৷

তো যদি আপনি ইউটিউব থেকে ডলার ইনকাম করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে উপরোক্ত বিষয় গুলো মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। তাহলে আপনিও খুব দ্রুত Youtube প্লাটফর্মে সফলতা পাবেন। 

০৩| এপ বানিয়ে ডলার ইনকাম করার উপায় 

যদি আপনি আমাকে জিজ্ঞেস করেন যে, কিভাবে ডলার ইনকাম করা যায়। তাহলে আমি আপনাকে সরাসরি বলবো যে আপনি এপস বানিয়ে ডলার ইনকাম করার জন্য চেস্টা করুন।

কেননা, অনলাইন এ খুব সহজেই ডলার ইনকাম করার উপায় হলো নিজেই এপ তৈরি করা।

তবে এখানে একটা বিষয় ক্লিয়ার করা উচিত। সেটি হলো বর্তমান সময়ে এপ বানিয়ে আয় করা সহজ হলেও। যখন আপনি কোনো একটি এপ তৈরি করার চেস্টা করবেন।

তখন কিন্তুু আপনাকে অনেক কাঠঘর পোড়াতে হবে। কেননা, আপনি চাইলেও খুব সহজেই একটি এপস কে তৈরি করতে পারবেন না। এবং সেই এপস কে ডেভলপ করতে পারবেন না।

কিন্তুু এপস তৈরি করার কাজটা অনেক কঠিন হলেও অসম্ভব কিছু নয়।  কারন আজকে আমরা যে এপস গুলো ব্যবহার করছি ।

সেগুলো কিন্তুু আমাদের মতোই কোনো না কোনো মানুষ তৈরি করেছে। তাই আপনি যদি একান্তভাবে কোনো এপস তৈরি করতে চান ৷

তাহলে আমার বিশ্বাস যে আপনিও একদিন এই কাজে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। 

এপস বানিয়ে ডলার আয় করার জন্য কি কি করতে হবে? 

যদি আপনি এপস বানিয়ে ডলার আয় করতে চান। তাহলে আপনার মধ্যে বেশ কিছু গুনাবলি থাকতে হবে।

আপনার মধ্যে উক্ত গুনাবলি গুলো থাকে। তাহলে আপনি এপ বানিয়ে ডলার ইনকাম করতে পারবেন।

  • সবার আগে আপনি যদি প্রফেশনাল এপস ডেভলপার হতে চান। তাহলে আপনার হাতের কাছে একটি পিসি বা ল্যাপটপ থাকতে হবে। 
  • এরপর আপনাকে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শিখতে হবে। যেগুলোর মাধ্যমে যে কোনো এপস কে তৈরি এবং ডেভলপ করে নিতে পারবেন। 
  • এরপর আপনার তৈরি করা এপস গুলোকে বিভিন্ন প্লাটফর্ম গুলোতে শেয়ার করে নিতে হবে৷ 
  • সবশেষে যখন আপনি উপরোক্ত ধাপ গুলো সম্পন্ন করতে পারবেন। তখন আপনি এই এপস গুলোকে বিভিন্ন নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে মনিটাইজ করে নিতে পারবেন।

যদি আপনি উপরে আলোচিত বিষয়গুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারেন। তাহলে আমার বিশ্বাস থাকবে যে, আপনিও অন্যান্য মানুষের মতো এপ বানিয়ে অনলাইন থেকে ডলার আয় করতে পারবেন। 

০৪| ফ্রিল্যান্সার থেকে ডলার ইনকাম

সাধারনত আমরা যখন কারো মুখ থেকে শুনি যে, ওমুক ব্যক্তিটি অনলাইনে কাজ করে। এবং সেই কাজের বিনিময়ে টাকা ইনকাম করে ৷

তখন আমাদের মনে একটা কৌতুহল জাগে। যে সেই ব্যক্তিটি অনলাইন এর কোথায় কাজ করে টাকা আয় করে। এবং সেই ব্যক্তি অনলাইনে কি কি কাজ করে।

তো এই মানুষ গুলো যে প্লাটফর্ম গুলোতে কাজ করে৷ তার মধ্যে অন্যতম একটি প্লাটফর্ম হলো Freelancer.

যেখানে আপনি বা আমি অথবা আমাদের মতো যে কোনো মানুষ এখানে কাজ করতে পারবে। এবং সেই কাজের বিনিময়ে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করে নিতে পারবে।

তবে প্রশ্ন হলো যে, সব মানুষ কি এখানে কাজ করে টাকা ইনকাম করতে পারবে? -উওরে বলবো না! এখানে চাইলেই সব মানুষ কাজ করতে পারবে না।

বরং এখানে যে ধরনের কাজ গুলো আছে। সেই কাজের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিরাই এই সব প্লাটফর্ম গুলোতে প্রাধান্য পাবে।

তো চলুন এবার জেনে নেয়া যাক, এই অনলাইন আয় করার প্লাটফর্ম গুলোতে কাজ করার জন্য। আপনার ভেতরে কি কি গুনাবলি থাকতে হবে। 

ফ্রিল্যান্সিং করে কিভাবে ডলার ইনকাম করা যায়? 

যদি আপনি ডলার আয় করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরকে বেছে নেন। তাহলে কিন্তুু আপনাকে বেশ কিছু বিষয় এর দিকে নজর রাখতে হবে। চলুন এবার সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। 

  • যেহুতু আপনি এখানে কোনো কাজের বিনিময়ে টাকা ইনকাম করবেন। সেহুতু সবার আগে আপনাকে কোনো না কোনো কাজে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। 
  • এরপর আপনি যে সেই কাজগুলো করবেন। সেগুলো ঠিক মতো করার জন্য আপনার হাতের নাগালে একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকতে হবে। 
  • যদি আপনি ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা আয় করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে কথা বলা এবং বোঝার মতো ইংরেজি ভালোভাবে জানতে হবে। 
  • এরপর আপনাকে আর কিছুই করতে হবে না। বরং আপনি শুধু কাজ করবেন এবং আপনার একাউন্টে টাকা জমা হতেই থাকবে। 

তো মোটামুটি ভাবে আপনি যদি উপরোক্ত কাজ গুলো ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারেন। তাহলে আপনিও অন্যদের মতো অনলাইনে কাজ করে বিপুল পরিমানে টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। 

০৫| ফাইভার থেকে ডলার ইনকাম

অনলাইন থেকে ডলার ইনকাম করার জন্য আরও একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হলো Fiverr. উপরে আপনি যেমন ফ্রিল্যান্সার সম্পর্কে জানতে পারলেন ৷

ঠিক ঐ একই পদ্ধতিতে Fiverr এ কাজ করা হয়ে থাকে। এবং এখানেও আপনি নিজের ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে বিপুল পরিমান টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন ৷

এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের অনলাইন জব দেখতে পারবেন। যেমন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ডেভলপমেন্ট, ভিডিও মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং সহো প্রচুর পরিমানে অনলাইন জব দেখতে পারবেন।

মূলত আপনাকে এই ধরনের কাজ গুলো করার মাধ্যমে অনলাইন থেকে ডলার ইনকাম করে নিতে হবে।

সত্যি বলতে অনলাইনে ইনকাম করতে গেলে আপনি নানা ধরনের স্ক্যামিং এর শিকার হওয়ার চান্স থাকে। কিন্তুু আপনি যদি এই ধরনের জনপ্রিয় প্লাটফর্ম গুলোতে কাজ করেন।

তাহলে কিন্তুু আপনি আপনার প্রাপ্য টাকা গুলো নিশ্চিন্তে আপনার হাতে নিতে পারবেন। কেননা, এই প্লাটফর্ম গুলোতে কোনো প্রকার স্ক্যামিং হওয়ার মতো চান্স নেই। 

ফাইবার থেকে কিভাবে ডলার ইনকাম করবেন? 

যদি আপনি Fiverr থেকে প্রচুর পরিমানে ডলার ইনকাম করতে চান। তাহলে কিন্তুু আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ের দিকে ফোকাস রাখতে হবে।

চলুন এবার সেই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

  1. সবার আগে আপনাকে কোনো না কোনো কাজে দক্ষতা অর্জন করে নিতে হবে। এবং যখন আপনি কোনো কাজে দক্ষতা অর্জন করবেন ৷ তখন চেস্টা করবেন যেন উক্ত কাজে আপনার কোনো প্রকার ত্রুটি না থাকে। 
  2. যখন আপনি কোনো এক বা একাধিক কাজে দক্ষতা অর্জন করবেন৷ এবং যখন আপনার মনে হবে যে, অনলাইন জব এর মধ্যে কোনো একটি জবে সর্বোচ্চটা দিতে পারবেন। তাহলে আপনাকে পরবর্তী ধাপ অনুসরন করতে হবে। 
  3. এই ধাপে আপনাকে মুলত ফাইবার প্লাটফর্মে গিয়ে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিতে হবে। 
  4. এরপর আপনি যে কাজে দক্ষতা অর্জন করেছেন। সেই কাজের রিলেটেড জব গুলো খুজে নিতে হবে। এরপর সেগুলোতে এপ্লাই করতে হবে।
  5. মনে রাখবেন এখানে আপনি গিগ তৈরি করার সুযোগ পাবেন। এবং আপনার তৈরি করা গিগ গুলো যেন মানুষের নজর কেড়ে নিতে পারে ৷ সেদিকে যথেষ্ট ফোকাস রাখবেন ৷ 
  6. আর যেহুতু এসব প্লাটফর্মে ভিনদেশিদের সাথে কাজ করতে হবে। সেহুতু মানুষের কথা বোঝা এবং আপনার কথা মানুষকে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য অবশ্যই ইংরেজি ভাষাতে পটু হতে হবে।

তো আশা করি যদি আপনি উপরোক্ত ধাপ গুলি সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারেন। তাহলে আপনি ফাইবার থেকে প্রচুর পরিমান ডলার অনলাইন থেকে ইনকাম করে নিতে পারবেন। 

ঘরে বসে ডলার ইনকাম করার উপায়

কিভাবে ডলার ইনকাম করা যায় এ নিয়ে আমি উপরে বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করেছি। এবং কোন কোন প্লাটফর্ম গুলোতে খুব সহজেই ডলার ইনকাম করা সম্ভব ৷

সেই প্লাটফর্ম গুলো নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

তবে ডলার ইনকাম করার জন্য এই প্লাটফর্ম গুলো বাদেও আরও অনেক প্লাটফর্ম রয়েছে। যেখানে আপনি কাজ করার বিনিময়ে প্রচুর পরিমান ডলার অনলাইন থেকে ইনকাম করে নিতে পারবেন। যেমনঃ 

  1. People Per Hour: এখানেও আপনি ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড কাজ গুলো করে অনলাইন থেকে ডলার ইনকাম করে নিতে পারবেন। 
  2. Shopify: এখানে আপনি ই-কমার্স সাইট তৈরি করে ডলার ইনকাম। 
  3. MiPic: ফটো বিক্রি করার ডলার ইনকাম করে নিতে পারবেন। 
  4. Clickbank: এফিলিয়েশন করে ডলার ইনকাম করতে পারবেন। 
  5.  Zirtual: ভার্চুয়াল এসিস্ট্যান্ট এর জব গুলো করার মাধ্যমে এই প্লাটফর্ম থেকে ডলার আয় করতে পারবেন। 
  6. Validately: এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের মাইক্রো জব এর কাজ করতে পারবেন। এবং মাইক্রো জব গুলো করে অনেক ডলার করে আয় করতে পারবেন। 

তো আপনি যদি নিজের ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করে ডলার ইনকাম করতে চান। তাহলে উপরোক্ত প্লাটফর্ম গুলোতে কাজ করা হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তাই আপনি অনলাইন আয় এর শুরুটা এই প্লাটফর্ম থেকে শুরু করে দিতে পারবেন। 

আমাদের শেষকথা 

আজকের এই আর্টিকেলে অনলাইন থেকে কিভাবে ডলার ইনকাম করা যায়। সে নিয়ে একেবারে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করা হয়েছে।

আশা করি আপনি সে সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন।

তো এরপরও যদি আপনার মনে কিভাবে ডলার ইনকাম করা যায় এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকে। তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।

Bangla it blog এর সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

2 thoughts on “ঘরে বসে অনলাইনে ডলার ইনকাম করার উপায়”

  1. সম্রাট

    ভাইয়া আপনার সাথে আমার একটু কথা আছে।
    আপনার সাথে কিভাবে কথা বলব জনিনা
    0130747069* এটা আমার নাম্বার
    দয়া করে একটু সময় দেবেন

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top