মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর ১০টি দিক | মোবাইল ফোনের অপব্যবহার এর ক্ষতি

বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না এমন মানুষের সংখ্যা নেই বলে চলে। বরং আমাদের একজন ব্যক্তির এক বা একাধিক মোবাইল ফোন রয়েছে।

মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর ১০টি দিক | মোবাইল ফোনের অপব্যবহার এর ক্ষতি
মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর ১০টি দিক

আর এই হিসাব থেকে এটা স্পষ্ট করে বলা যায় যে আজকের দিনের মানুষ মোবাইলের প্রতি অনেকটাই আসক্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন, মোবাইল ফোন এর ক্ষতিকর দিক গুলো কি কি?

আপনি কি জানেন, মোবাইল ফোনের অপব্যবহার এর ক্ষতি কি। যদি আপনি না জেনে থাকেন, তাহলে আজকের এই আলোচনার মাধ্যমে মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।

মূলত, আমরা যারা মোবাইল ফোন ব্যবহার করি। তারা শুধুমাত্র মোবাইল ফোনের ভালো দিক গুলো সম্পর্কে জানি।

কিন্তু এমন অনেক ধরনের মোবাইল ফোনের খারাপ দিক রয়েছে। যেগুলো শুনলে আপনিও রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন। যেমন:

মোবাইল ব্যবহারে চরম আসক্তি

একজন মানুষ হিসেবে প্রযুক্তির পণ্য গুলো কে ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু কখনোই এই পণ্য গুলোর প্রতি আসক্ত হওয়া ঠিক না।

যেমনটা বর্তমান সময়ে আমরা মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্ত হয়েছি। একটা সাধারণ বিষয় ভেবে দেখুন, সকাল থেকে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত আপনি আপনার ফোনের মধ্যে কতটা সময় ব্যয় করেন?

নিশ্চয়ই সেটা ৫ থেকে ৬ ঘন্টা হবে তাইতো। কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন অনেক ব্যক্তি আছেন। যারা মূলত 16 ঘন্টা পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। যা আসলে সত্যিই অবাক করে দেওয়ার মত।

এবার আপনি একটু ভেবে দেখুন, দিনরাত মিলে হয় ২৪ ঘন্টা। কিন্তু একজন মানুষ যদি এই ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১০ ঘণ্টা কিংবা ১৪ ঘণ্টা মোবাইল ফোনে কাটিয়ে দেয়।

আপনি আরোও জনাতে পারেন…

তাহলে সেই মানুষটির জন্য আর কত ঘন্টা বাকি থাকে। কিন্তু অবাক করার মত বিষয় হলো যে। বর্তমান সময়ের মানুষ ডিজিটাল যুগে বাস করার পরেও

এত উন্নত যুগে বাস করার পরেও, মানুষ এটা বুঝতেই পারছে না যে। মোবাইল ফোন হলো শুধুমাত্র একটি ডিভাইস। এবং এই ডিভাইসটি কে প্রয়োজনে ব্যবহার করতে হবে।

কিন্তু আমরা সেটা ভুলে গিয়ে মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছি।

অনলাইন গেমিং ও গ্যাম্বলিং-এর নেশার আবদ্ধ হওয়া

যেহেতু আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। সেহেতু এটা আমি ধরে নিব যে, অনলাইন কেসিনো নিয়ে সম্পর্কে আপনার একটু হলেও ধারণা রয়েছে।

কারণ এই অনলাইন গেমিং বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি হয়েছে। আর সে কারণে বর্তমান সময়ের নতুন প্রজন্মের ছেলেরা এখন অনলাইন জুয়ার আসক্ত হয়ে পড়েছে।

আর আপনি জানলে আরো অবাক হয়ে যাবেন। কারণ বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকা এই অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে পাচার হচ্ছে।

আর এর প্রধান কারণ হলো আমাদের প্রত্যেকের হাতে এখন স্মার্টফোন রয়েছে। আমরা সেই স্মার্টফোন দিয়ে অনলাইনে থাকা এই ধরনের জুয়া কিংবা ক্যাসিনো তে অংশগ্রহণ করতে পারছি।

আর আপনি যদি এখনো ইউটিউব এর মধ্যে গিয়ে অনলাইনে জুয়া কিংবা অনলাইন ক্যাসিনো লিখে সার্চ করেন।

তাহলে আপনি স্পষ্ট ভাবে দেখতে পারবেন যে, এমন অনেক তরুণ রয়েছেন। যারা এই অনলাইন ক্যাসিনো তে নিজের সর্বস্ব হারিয়ে ফেলেছেন।

আবার এমন অনেক তরুণ রয়েছে, যারা মূলত অনলাইন কেসিনো এর টাকা জমা করার জন্য বিভিন্ন রকমের অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়েছেন।

অপরাধমূলক কাজকর্মে লিপ্ত হওয়া

আপনি যদি অতীতের দিন গুলোর সাথে বর্তমান সময়ের কথা তুলনা করেন। তাহলে এটা স্পষ্ট করে দেখতে পারবেন যে, বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের অপরাধমূলক কাজ হয়ে থাকে।

কিন্তু কখনো কি আপনি ভেবে দেখেছেন যে এত বেশি অপরাধমূলক কাজ হওয়ার কারণ কি। যদি আপনি না ভেবে থাকেন, তাহলে শুনুন এই অপরাধমূলক কাজ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রধান হাতিয়ার হলো স্মার্টফোন।

এখন হয়তোবা আপনি ভাবছেন যে, মোবাইল ফোনের কারণে কেন অপরাধমূলক কাজ বেশি হবে।

মূলত মোবাইল ফোন আসার পরে মানুষ খুব দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যোগাযোগ করতে পারে। আর এ কারণে আমাদের সমাজে যে সকল মানুষ খারাপ কাজকর্মে লিপ্ত।

তারা তাদের অপরাধের কাজ গুলো খুব কম সময়ের মধ্যেই করতে পারে। এবং একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এর পাশাপাশি আপনি যদি অনলাইন প্লাটফর্মের কথা চিন্তা করেন।

তাহলে দেখতে পারবেন যে, অনলাইনে কিন্তু এমন অনেক ধরনের হ্যাকার রয়েছে। যারা বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করে আপনার স্মার্টফোন হ্যাক করে নিবে।

অশ্লীল, অমানবিক বিষয়ব স্তুতে স্বাধীন প্রবেশাধিকার

একটা সময় ছিল যখন মানুষ বুঝতো না যে পর্নোগ্রাফি বলতে কোন কিছু আছে আর যদি মানুষ এটা বুঝতেও পারতো তাহলেও কিন্তু পর্নোগ্রাফি দেখার মত মোবাইল এর মত কোন ডিভাইস ছিল না .

কিন্তু অবাক করার মত বিষয় হলো যে মানুষের হাতে যখন মোবাইল ফোন আসা শুরু হলো তখন কিন্তু এই পর্নোগ্রাফির প্রতি মানুষের একটা আলাদা রকমের আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করল।

এবং মোবাইল ফোনের মধ্যে থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি দেখার কাজটাও যেন আরো অনেক সহজ হয়ে গেল।

এখন চাইলে একজন 50 বছরের বৃদ্ধ থেকে শুরু করে দশ বছরের শিশু পর্যন্ত খুব সহজেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি দেখতে পারেন।

যার ফলে অশ্লীল জগতে প্রবেশ করাটা মানুষের কাছে এত বেশি সহজলভ্য হয়েছে যা আসলে কখনোই কল্পনা করা সম্ভব নয়।

কিন্তু পর্নোগ্রাফির যে ভয়াবহতা রয়েছে পর্নোগ্রাফির যে খারাপ দিক রয়েছে সে সম্পর্কে আমরা এখনো অনেকেই জানিনা যার ফলে আমরা ক্রমাগতভাবে পর্নোগ্রাফির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে।

যা আমাদের সমাজকে ধ্বংস করছে যা আমাদের উঠতি তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করছে।

হিংসাত্মক চিন্তা-ভাবনার মাত্রাতিরিক্ত প্রচার

আপনার যদি একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকে। তাহলে আপনি যে কোনো ধরনের খবর কে খুব দ্রুত গোটা বিশ্ব বাসীর কাছে পাঠিয়ে দিতে পারবেন।

যদিও বা এই কাজটি আগের দিন গুলো তে অনেক কঠিন ছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে facebook, youtube কিংবা instagram এর মত প্ল্যাটফর্ম গুলো আসার পরে।

খুব দ্রুত যে কোনো ধরনের খবর গোটা বিশ্বের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু এই সুবিধার পেছনে বিশেষ একটি অসুবিধা রয়েছে। যেটি দেখলে আপনার চোখ কপালে উঠে যাবে।

আর সেই অসুবিধা টি হল মানুষের মনে এখন হিংসাত্মক মনোভাব তৈরি হয়েছে। যেই হিংসাত্মক মনোভাব বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া গুলো তে প্রকাশ করা হচ্ছে।

যেহেতু আমরা ফেসবুক ব্যবহার করি, সেহেতু এটা আমাদের অবশ্যই জানা থাকবে যে। ফেসবুকের মধ্যে এখন বিভিন্ন ধরনের হিংসাত্মক পোস্ট করা হয়।

আর অবাক করার মত বিষয় হলো যে, এই ধরনের হিংসাত্মক পোস্ট গুলো প্রচুর পরিমাণে ভিউ হয়। এবং উক্ত পোস্টের মধ্যে লাইক আসে, কমেন্ট আসে এবং সেগুলো শেয়ার করা হয়।

তাহলে একবার ভেবে দেখুন যে, মোবাইল ফোন আসার পরে এই ধরনের হিংসাত্মক মনোভাব কিভাবে প্রচার করা হচ্ছে।

সাইবার ক্রাইম

আপনি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন সেহেতু অবশ্যই আপনাকে সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে জানতে হবে। কারণ বাস্তবিক জীবনে যেমন বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজ হয়।

ঠিক তেমনি ভাবে ইন্টারনেটের মধ্যে যে সকল অপরাধমূলক কাজ হয়। সে গুলো কে বলা হওয়ার হয়ে থাকে, সাইবার ক্রাইম।

আর এই সাইবার ক্রাইম কখনোই আমাদের জীবনের মধ্যে প্রভাব ফেলতে পারত না, যদি না মোবাইল ফোন আবিষ্কার হতো।

আর মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক গুলোর মধ্যে এটি হলো সবচেয়ে মারাত্মক। যেটা সম্পর্কে আমাদের সবার পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিত।

মনে করুন, আপনি একজন ব্যবসায়ী। এবং আপনার একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে। যে অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসা সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় গুলো নিয়ে।

অন্যান্য মানুষের সাথে যোগাযোগ করেন। কিন্তু হঠাৎ করে একদিন আপনি আপনার ফেসবুক একাউন্টের মধ্যে লগইন করার সময় দেখলে।

যে আপনার ফেসবুক একাউন্টে অন্য কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে। এবং আপনি কোনভাবেই তাকে রুখতে দিতে পারছেন না। তাহলে আপনাকে ভেবে নিতে হবে যে, আপনার মোবাইল ফোন টি হ্যাক হয়ে গিয়েছে।

এবং সেই সাথে আপনার মোবাইল ফোনের যে সকল ডেটা বা ইনফরমেশন থাকবে। যেমন, ব্যাংক একাউন্ট, বিকাশ একাউন্ট সহ অন্যান্য অ্যাকাউন্ট গুলো হ্যাক হয়ে যাবে।

মূলত এ গুলো হলো সাইবার ক্রাইমের অন্যতম উদাহরণ। এর পাশাপাশি আপনি এমন অনেক ধরনের সাইবার ক্রাইম দেখতে পারবেন।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

যে গুলোর মাধ্যমে মানুষ কে ব্ল্যাকমেইল করা হয়ে থাকে। তো এই ব্ল্যাকমেইল তখনই সম্ভব হয়েছে যখন মোবাইল ফোন আবিষ্কার হয়েছে।

আর সে দিক থেকে বলা যায় যে, মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক গুলোর মধ্যে সাইবার ক্রাইম হলো অন্যতম।

ডার্ক ওয়েবের সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলা

বর্তমান সময়ে আমরা যে ইন্টারনেট ব্যবহার করি। সেই ইন্টারনেটের তিন টি অংশ রয়েছে। আর সেই তিনটি অংশ হলো, সারফেস ওয়েব, ডার্ক ওয়েব এবং ডিপ ওয়েব।

তবে ইন্টারনেটের মধ্যে যেখানে ডার্ক ওয়েব রয়েছে। সেখানে কিন্তু সাধারণ মানুষ প্রবেশ করতে পারে না। কারন এই ডার্ক ওয়েব এর মধ্যে আপনি সকল প্রকার অবৈধ কার্যক্রম দেখতে পারবেন।

যেমন, ডার্ক ওয়েব এর মধ্যে খুব স্বাভাবিক ভাবে বন্দুক, মাদক এর মত পণ্য গুলো কেনাবেচা করা হয়। এর পাশাপাশি বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় ।

যে ডার্ক ওয়েব এর মধ্যে ভাড়ায় খুনি পাওয়া যায়। তবে অবাক করার মত বিষয় হলো যে। ডার্ক ওয়েব এর মধ্যে আপনি পর্নোগ্রাফি, চাইল্ড সেক্স, বন্ডেজ সেক্সের মত ভিডিও গুলো খুব সহজেই দেখে নিতে পারবেন।

আর যখন একজন মানুষ এই ধরনের নোংরা অশ্লীল ভিডিও গুলো দেখবে। তখন মানুষের মস্তিষ্কে এই ধরনের চিন্তা ভাবনার জন্ম হতে থাকবে।

আর একটা সময় সেই মানুষ টি নোংরা অশ্লীল পর্নোগ্রাফি গুলোর মত ব্যবহার করতে শুরু করবে। যা আসলে আমাদের জন্য কখনোই মঙ্গল নয়।

আর এই বিকৃত মস্তিষ্কের মূল হাতিয়ার হল মোবাইল ফোন। সে কারণেই এটিকে বলা হয়,  মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক।

মানুষের শরীরের অবনতি

আপনি যদি টিক টক কিংবা লাইকি এর মত প্ল্যাটফর্ম গুলো তে লক্ষ্য করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, সেই সব প্লাটফর্মে যে সকল উঠতি তরুণ প্রজন্ম ভিডিও তৈরি করে।

তাদের শারীরিক গঠনের দিক থেকে অধিকাংশই চিকন। কিন্তু কখনো কি আপনি ভেবে দেখেছেন যে, কেন আমাদের তরুণ প্রজন্মের এই পরিণতি।

যদি আপনি না ভেবে থাকেন, তাহলে শুনে রাখুন। বর্তমান সময়ের তরুণ প্রজন্ম হলো একটানা ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত মোবাইল ব্যবহারকারীদের মধ্যে অন্যতম।

আজকের দিনের উঠতি তরুণ তরুণীদের দেখবেন যে, তারা রাত তিনটা থেকে ছয়টা পর্যন্ত মোবাইলে সময় নষ্ট করে।

এবার একটু ঠান্ডা মাথায় ভেবে দেখুন। একজন সুস্থ মানুষ যদি দৈনিক ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত না ঘুমাস্ক্র। তাহলে কি সেই মানুষ টি আর সুস্থ থাকবে?

মূলত যে মানুষ গুলো এভাবে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। সেই মানুষ গুলো শারীরিক দিক থেকে অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যা আমরা মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে লক্ষ্য করতে পারছি।

আর সে কারণে এবার আমি বলব যে, মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক গুলোর মধ্যে শারীরিক ক্ষতি হলো অন্যতম। যা আমাদের উঠতি তরুণ প্রজন্ম কে একবারে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে।

মানুষের মানসিক ক্ষতি

আমরা যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করি, তারা একটু ভেবে দেখুন। যখন আমরা দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের স্মার্টফোন ব্যবহার করি।

তখন কিন্তু আমাদের মাথা ব্যথা কিংবা মাথা ঘোরার মত একটা অনুভূতি হয়। কিন্তু আপনি কি ভেবে দেখেছেন যে, এই অনুভূতি আপনার শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর হতে পারে।

হয়তোবা আপনি এই বিষয় টি সম্পর্কে ভাবেন নি। তবে এটি কিন্তু আমাদের মানুষের দিক থেকে অনেক ক্ষতি করে থাকে।

কারণ যখন আপনি দীর্ঘ সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন। তখন আপনার ব্রেনের উপর আলাদা একটা চাপ পড়বে।

আর এভাবে যখন আপনি দীর্ঘ সময় ধরে আপনার ব্রেনের উপর চাপ সৃষ্টি করবেন। তখন একটা সময় কিন্তু আপনি মানসিক দিক থেকেও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

আর আপনি হয়তোবা জেনে থাকবেন যে, যখন একজন মানুষ দিনের অধিকাংশ সময় স্মার্টফোন ব্যবহার করবে। তখন সে মানুষ টি নেমোফোবিয়া নামক একটি রোগে আক্রান্ত হবে।

আর এই রোগের প্রধান লক্ষণ হল সে সর্বদাই তার স্মার্টফোন সম্পর্কে সতর্ক থাকবে।

যেমন, স্মার্টফোন সঠিক জায়গা তে আছে কিনা, স্মার্টফোন টি হারিয়ে গেছে কিনা, স্মার্টফোন নষ্ট হয়ে গেছে কিনা এই জাতীয় বিষয়ে সতর্ক থাকবে।

মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায়

উপরের সম্পূর্ণ আলোচনা তে আমি আপনাকে মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক গুলো বলার চেষ্টা করেছি। তো এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে।

আর সেই প্রশ্ন টি হল যে, মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় কি। হয়তোবা আপনি এই বিষয় টি সম্পর্কে জানতে চান।

তাহলে শুনুন… এমন অনেক উপায় রয়েছে। যে উপায় গুলো কে অনুসরণ করে খুব সহজেই আপনি নিজেকে মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচিয়ে নিতে পারবেন।

তো আর দেরি না করে চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যে, মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় কি।

  1. আমাদের একটা বদ অভ্যাস হলো, প্রয়োজন কিংবা অপ্রয়োজনে মোবাইল ব্যবহার করা। কিন্তু এই বদ অভ্যাস টি আপনাকে ত্যাগ করতে হবে।
  2. যখন আপনার অপ্রয়োজনীয় সময়ে মোবাইল ব্যবহার করতে ইচ্ছা করবে। সেই সময় আপনি বিভিন্ন খেলাধুলা শুরু করে দিবেন।
  3. যখন আপনি রাতে ঘুমাতে যাবেন। তার দুই ঘন্টা আগে থেকে আপনি স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন না। এতে করে আপনি খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়তে পারবেন।
  4. ভুল করে কখনোই একটানা আপনার মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। যদি এমনটা করে থাকেন, তাহলে আপনি মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
  5. যতটা সম্ভব আপনি আপনার চোখ কে মোবাইল থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনার চোখের ক্ষতির পরিমাণ কমে যাবে।
  6. আপনার কাজের সময় মোবাইল সাইলেন্ট করে রাখার চেষ্টা করবেন। যাতে করে নোটিফিকেশন আসলেও কোন ধরনের শব্দ কিংবা ভাইব্রেশন না হয়।
  7. যখন আপনি হেডফোন ব্যবহার করবেন। তখন ভুল করেও হাই ভলিউম দিয়ে গান শুনবেন না।

তো যারা আসলে মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক থেকে বাঁচার উপায় গুলো জানতে চেয়েছিলেন। তারা উপরে উল্লেখিত বিষয় গুলোর দিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিবেন।

আপনি আরোও দেখুন…

আর আপনি যদি এই মোবাইল ফোনের ক্ষতি করে দিক থেকে বাঁচার উপায় গুলো সঠিক ভাবে অনুসরণ করতে পারেন। তাহলে আপনি মোবাইল ফোনের আসক্তি থেকে মুক্তি পাবেন।

মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক নিয়ে আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক, বর্তমান সময়ে আমরা নিজের অজান্তেই মোবাইলের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছি। কিন্তু যথাসম্ভব আমাদের মধ্যে থাকা এই আসক্তি কে থেকে দূর করতে হবে।

আর সে কারণেই আজকে আমি মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

সেই সাথে মোবাইল ফোনের ক্ষতি করে দিক থেকে বাঁচার উপায় গুলো কি কি সে গুলো আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি।

তো আশা করি আজকের আলোচনা থেকে আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছেন। আর এই ধরনের অজানা তথ্য গুলো সবার আগে পেতে হলে।

অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ পুরো লেখা টি পড়ার জন্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top