ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম | নতুন Email Account খোলার নিয়ম

ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম : সত্যি বলতে, এখনও প্রায় ৯০% মানুষ ইমেইল এবং জিমেইল কে একই মনে করে থাকে। কিন্তুু এই দুটো যে আলাদা আলদা প্লাটফর্ম।

ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম | নতুন Email Account খোলার নিয়ম
ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম

সে সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জানিনা। এরফলে Email ও Gmail এর পার্থক্যটা আমাদের অজানাই থেকে যায়।

আজকের আর্টিকেলে আমি ইমেইল কি? সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। এর পাশাপাশি আপনি ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।

কেননা, আজকের আর্টিকেলে আমি email account খোলার নিয়ম গুলো কে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো।

আর আপনি যদি ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম গুলো জানতে চান। তাহলে হাতে একটু সময় নিয়ে পুরো লেখাটি পড়ার চেস্টা করবেন।

যদি পুরোটা পড়েন, তাহলে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারবো যে, আপনার মনে আর email account খোলার নিয়ম সম্পর্কে কোনো অজানা বিষয় থাকবে না।

💢PRO TIPS: আপনি কিভাবে মোবাইল দিয়ে ইমেইল আইডি খুলবেন ৷ সে নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাই আপনি যদি মোবাইল ইউজার হয়ে থাকেন ৷ তাহলে এই আলোচনা টি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে। 

ইমেইল আইডি কি? (What is Email Account In bangla)

তো আমরা ধাপে ধাপে ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম গুলো জানবো। তবে সবার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে, ইমেইল আইডি কাকে বলে

যখন আপনি এই বিষয়ে জানতে পারবেন। তখন আপনার পরবর্তী আলোচনা গুলো বুঝতে সুবিধা হবে।

আপনার জন্য আরো লেখা…

সহজ কথায়, Email শব্দটির বাংলা অর্থ হলো, ইলেকট্রিক মেইল। যার মাধ্যমে আপনি নিজের ঘরে বসে থেকে দেশের যেকোনো প্রান্তে মাত্র কিছু সময় এর মধ্যে তথ্য আদান প্রদান করতে পারবেন ৷

যেমন, ছবি, ফাইল, মেসেজ ইত্যাদি। আর আপনার যদি কোনো একটি ইমেইল একাউন্ট থাকে। তাহলে এই সুবিধাটি আপনি একেবারে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন ৷ 

কেন ইমেইল আইডি খুলবেন?

হয়তবা আপনি ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম গুলো জানার জন্য এই আর্টিকেলে প্রবেশ করেছেন ৷ এখন আপনাকে যদি প্রশ্ন করা হয় যে, কেন আপনি ইমেইল আইডি খুলতে চাচ্ছেন?

তাহলে এই প্রশ্নের উওরে আপনি কি বলবেন।

যাইহোক, আপনি কেন ইমেল আইডি খুলবেন। সেটা না হয় পরে জানা যাবে। তবে একটি ইমেলই আইডি খুললে আপনি নানাবিধ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

হুমমম, বর্তমান সময়ে আপনার কাছে যদি কোনো এক বা একাধিক ইমেইল একাউন্ট থাকে। তাহলে আপনি নানা দিক থেকে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

যেগুলো আপনার মতো অনেক মানুষ ই এই সুবিধা গুলো ভোগ করে আসছে৷ চলুন এবার সে গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

01| কম সময়ে তথ্য আদান প্রদান 

আমাদের সবার কাছেই সময়ের অনেক দাম আছে। আর সেই কারনে আমাদের প্রয়োজনীয় কাজ গুলো অনেক কম সময় এর মধ্যে সম্পন্ন করার চেস্টা করে থাকি।

আর আপনি সেই সুবিধাটি Email এর মধ্যে দেখতে পারবেন।

কেননা, এখানে আপনি অনেক কম সময়ে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যকে আদান প্রদান করতে পারবেন।

যেমন ধরুন আপনি বাংলাদেশে আছেন। কিন্তুু হঠাৎ করে আপনার কোনো ডকুমেন্টস আমেরিকা তে পাঠানোর দরকার হলো।

সেক্ষেত্রে আপনি যদি সেই ডকুমেন্টস গুলো স্ক্যান করে ইমেল এর মাধ্যমে সেন্ড করেন।

তাহলে মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে আপনার সেন্ড করা ডকুমেন্টস গুলো আমেরিকার মতো দেশে সেন্ড করতে পারবেন ৷ 

02| যেকোনো ফাইল শেয়ার করার সুবিধা

যদি আপনাকে কিছুটা অতীতের দিন গুলো ফিরে যেতে বলা হয়। তাহলে আপনি একটা বিষয় বেশ পরিস্কার ভাবে দেখতে পারবেন।

সেটি হলো, সেই সময়ে যখন কোনো দরকারি ফাইল এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠানোর কাজটা অনেক কঠিন ছিলো।

কেননা, সেই সময়ে হয়তবা কোনো ডকুমেন্টস নিয়ে সরাসরি আপনার গন্তব্যে যেতে হতো। নতুবা অন্য কোনো মাধ্যমে সেই ডকুমেন্টস গুলো পাঠাতে হতো।

কিন্তুু অতীত এর সেই কাজ গুলোর মধ্যে অনেক সহজ প্রক্রিয়া আনতে পেরেছে Email. কেননা, এর মাধ্যমে আপনি আপনার যে কোনো ধরনের ফাইল এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত করতে পারবেন।

যেমন, আপনি যদি দেশে বসে কাউকে Video, Audio, Image কিংবা pdf সহজেই পাঠিয়ে দিতে পারবেন। সেটিও অনেক কম সময়ের মধ্যে করতে পারবেন।

03| অল্প টাকায় পেইড প্রোমোশন করা যায় 

বর্তমান সময়ে যারা অনলাইনে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কাজ করেন। কিংবা যে মানুষ গুলো অনলাইনে বিভিন্ন প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করেন ৷

তাদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রোডাক্টের পেইড প্রোমোশন করার দরকার হয়ে থাকে। কিন্তুু যখন আপনি কোনো ধরনের পন্যের পেইড Promotion করবেন।

তখন যে আপনাকে অনেক টাকা ব্যয় করতে হবে। এটা তো আমরা সবাই ভালো করেই জানি।

তবে আপনি যদি ইমেইল এর মাধ্যমে কোনো ধরনের পেইড ক্যাম্পেইন চালাতে চান। তাহলে কিন্তুু আপনি অনেক কম পরিমান টাকা দিয়ে পেইড ক্যাম্পেইন শুরু করতে পারবেন।

কেননা, আজকের দিনে ইমেইল হলো এমন একটি প্লাটফর্ম। যেখানে আপনি অন্যান্য নেটওয়ার্ক এর তুলনায় অনেক কম টাকা ব্যয় করার মাধ্যমে আপনার পন্যেকে প্রোমোট করতে পারবেন। 

ইমেইল আইডি কত ধরণের?

উপরে আপনি জানলেন যে, ইমেইল কি এবং কেন একজন মানুষ এর Email Account ব্যবহার করা উচিত। আশা করি উপরের বিষয় গুলো আপনি বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন ৷

তো এবার আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে। ইমেইল আইডি গুলো আসলে কত প্রকারের হয়ে থাকে। চলুন এবার সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

আপনার মনে যদি প্রশ্ন জেগে থাকে যে, ইমেল আইডি কত প্রকার। তাহলে আমি এর উত্তরে বলবো যে, ইমেইল আইডি মূলত ২ প্রকারের হয়ে থাকে।

এবং বর্তমান বিশ্বের যতোগুলো ইমেইল ইউজার আছেন। তারা সবাই এই দুই ধরনের ইমেইল ব্যবহার করে থাকে। যেমনঃ

  1. Paid Email (পেইড ইমেইল) এবং 
  2. Free Email (ফ্রি ইমেইল)

এখন হয়তবা আপনার মাথায় আরও একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে পারে। সেটি হলো, ইমেইল কি সেটা তো ভালোভাবে বুঝলাম। কিন্তুু এই দুই ধরনের ইমেল কি সেটা তো জানা হলো না।

তো চলুন এবার সে নিয়ে একটু ধারনা নেয়া যাক। 

 01| পেইড ইমেইল কাকে বলে? 

যখন আপনি অন্য কারো কাছে টাকার বিনিময়ে সেবা গ্রহন করবেন। তখন সেটাকে বলা হবে পেইড পদ্ধতি।

অর্থ্যাৎ, যে পদ্ধতিতে কাজ করার জন্য আপনার নিজের অর্থ ব্যয় করার দরকার হবে সেই ধরনের পদ্ধতি কে বলা হয় Paid Service.

আর প্রত্যেকটা ইমেল এর মধ্যে এমন কিছু সার্ভিস আছে। যেগুলো ব্যবহার করার জন্য আপনাকে অবশ্যই টাকা খরচ করার দরকার হবে।

আর এই ধরনের ইমেল এর সার্ভিস গুলোকে বলা হয়, পেইড ইমেইল। 

০২| ফ্রি ইমেইল কাকে বলে? 

সচারচর যে সার্ভিস গুলো ব্যবহার করার জন্য কোনো প্রকার অর্থ ব্যয় করার দরকার হয়না ৷ সেই ধরনের সার্ভিস কে আমরা একেবারে ফ্রি সার্ভিস বলে থাকি।

আর ইমেইল এর ক্ষেত্রেও আপনি কোনো প্রকার ভিন্নতা খুজে পাবেন না। কেননা, আজকের দিনে যেসব ইমেইল এর সার্ভিস চালু করা আছে ৷

সেগুলোর বেশিরভাগ সার্ভিস আপনি একেবারে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন। আর সে কারনে এই ধরনের বিনামূল্যে সার্ভিস ব্যবহার করা মেইলকে বলা হয়, ফ্রি ইমেইল। 

ইমেইল আইডি খুলতে কি কি লাগে?

যাদের Email সম্পর্কে তেমন কোনো পরিস্কার ধারনা নেই ৷ তারা মনে করে যে, একটি ইমেল আইডি তৈরি করার জন্য অনেক কিছু প্রয়োজন হয়ে থাকে ৷

আসলে এই কথাটির মাঝে কোনো প্রকার সত্যতা খুজে পাবেন না। কেননা, আপনি যদি একটি ইমেইল আইডি খুলতে যান। তাহলে আপনি মাত্র কয়েকটি জিনিস দিয়েই জিমেইল একাউন্ট খুলতে পারবেন ৷ যেমনঃ

০১| একটি মোবাইল অথবা কম্পিউটারঃ যদি আপনি কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই ইমেইল একাউন্ট খুলতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার হাতে এক বা একাধিক কম্পিউটার বা মোবাইল থাকতে হবে।

যার মাধ্যমে আপনি ইমেইল আইডি তৈরি করতে পারবেন ৷

০২| ভালো নেট কানেকশনঃ যেহুতু ইমেইল আইডি তৈরি করার কাজটি অনলাইন ভিত্তিক ৷ সেহুতু আপনি যদি এই কাজটি করতে চান। তাহলে অবশ্যই সেই ডিভাইস গুলোতে নেট কানেকশন এর দরকার হবে।

কেননা, যদি আপনার ডিভাইসে নেট কানেক্টেড না থাকে। তাহলে আপনি কোনোভাবে Email Account তৈরি করতে পারবেন না।

০৩| একটি মোবাইল নম্বরঃ আমরা সবাই জানি যে, আপনি যদি কোনো সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য কোনো অনলাইন প্লাটফর্মে একাউন্ট তৈরি করতে যান ৷ তাহলে অবশ্যই আপনার একটি Mobile Number এর দরকার হবে।

যার মাধ্যমে আপনি আপনার তৈরি করা একাউন্টকে ভেরিফাই করতে পারবেন। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি যখন একটি ইমেইল একাউন্ট তৈরি করবেন ৷

তখন আপনার একটি মোবাইল নম্বর এর দরকার হবে।

তো আপনার কাছে যদি উপরের কয়েকটি জিনিস থাকে। তাহলে আপনি কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই যেকোনো ধরনের ইমেইল একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন।

এবং Email এর যেসব সুযোগ সুবিধা আছে। সেগুলো আপনি ভোগ করতে পারবেন৷ এবার চলুন জেনে নেয়া যাক যে, email account খোলার নিয়ম গুলো কি কি। 

কিভাবে ইমেইল আইডি খুলবো? 

দেখতে দেখতে আপনি আর্টিকেল এর মূল টপিকে ফিরে এসেছেন ৷ কেননা, এবার আমি ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম গুলো নিয়ে একেবারে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করবো ৷

তাই আপনি যদি উপরে আলোচিত বিষয় গুলো মনোযোদ দিয়ে না পড়েন। তাহলে অবশ্যই এখন থেকে একটু হলেও মনযোগ দিয়ে পড়বেন।

নাহলে আপনার অনেক কিছুই অজানা থেকে যাবে।

তো আপনি যদি কোনো ফেসবুক একাউন্ট তৈরি করতে যান ৷ সেখানেও কিন্তুু আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে।

এবং তারপর আপনি আপনার ফেসবুক একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন ৷ ঠিক একইভাবে যখন আপনি আপনার প্রয়োজনে একটি জিমেইল একাউন্ট তৈরি করতে যাবেন।

তখনও আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে ৷

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, যদি আপনি একটি ইমেইল আইডি খুলতে চান ৷ তাহলে আপনাকে আসলে কি কি নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে ৷

চলুন এবার ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম গুলো নিয়ে একেবারে বিষদভাবে জেনে নেয়া যাক।

তবে এবার আমি আপনাকে বেশ কিছু email account খোলার নিয়ম সম্পর্কে বলবো। আপনি যদি এই নিয়ম গুলো ভালোভাবে মেনে চলেন ৷

তাহলে আপনি একেবারে কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই যে কোনো ধরনের ইমেইল একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন। 

01) জিমেইল আইডি খোলার নিয়ম 

বর্তমান বিশ্বে যত গুলো ইমেইল ইউজার আছেন ৷ তাদের প্রায় অধিকাংশ মানুষ ই Gmail Account ব্যবহার করে থাকে। যার কারনে এদের প্রায় বেশির ভাগ মানুষই ইমেইল এবং জিমেইল কে একই রকম বিষয় মনে করে থাকে।

তো এবার আমি আপনাকে দেখাবো যে, কিভাবে আপনি কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই জিমেইল একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।

  1. সবার আগে আপনার ডিভাইসে ইন্টারনেট কানেকশন চালু করতে হবে ৷ কেননা, আপনি যদি এই কানেকশটি চালু না করেন। তাহলে আপনি অনলাইন প্লাটফর্মে প্রবেশ করতে পারবেন না। 
  2. এরপর আপনাকে একটি Browser চালু করতে হবে। আমার মতে আপনার গুগল ক্রম নামক ব্রাউজারটি চালু করলে ভালো হবে। 
  3. যখন আপনি একটি ব্রাউজার চালু করবেন। তখন সেই ব্রাউজারে থাকা সার্চ বক্সে গিয়ে Gmail এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। 
  4. যদি আপনি জিমেইল এর অফিশিয়াল সাইটে যেতে না পারেন। তাহলে এখানে ক্লিক করলে আপনি সরাসরি ঐ সাইটে যেতে পারবেন।

তো যখন আপনি জিমেইল এর অফিশিয়াল সাইটে প্রবেশ করবেন। তখন আপনি ভিন্ন ধরনের অপশন দেখতে পারবেন। আপনি তাদের সাইটে এসব অপশন নিজে থেকে দেখে নিতে পারবেন।

আপনি আরো দেখতে পারেন…

এবং তাদের সার্ভিস ব্যবহার করার জন্য আপনাকে কি কি নিয়ম মেনে চলতে হবে। সেগুলো এই সাইট থেকে জেনে নিতে পারবেন। 

  1. এবার আপনি সবার উপরে বেশ কিছু অপশন দেখতে পারবেন। তার মধ্যে আপনি কিছু খালি বক্স দেখতে পারবেন।
  2. জিমেইল একাউন্ট তৈরি করার জন্য সেই ফর্মটি সঠিকভাবে পূরন করতে হবে।

মনে রাখবেন, যখন আপনি একটি জিমেইল একাউন্ট তৈরি করবেন। তখন আপনার নিজস্ব কিছু তথ্য দিয়ে এই ফর্মটি পূরন করতে হবে।

তাই চেস্টা করবেন এখানে যে ইনফো গুলো দিবেন ৷ সেগুলো সঠিক ভাবে  দিবেন যাতে পরবর্তী সময়ে আপনার একাউন্ট এর কোনো প্রকার ঝামেলা হলে আপনি তা রিকভার করে নিতে পারেন।

  1. তো প্রথমে আপনি First Name এবং Last Name নামের দুটি অপশন দেখতে পারবেন ৷ এখানে আপনি আপনার নামের শব্দ গুলোকে এই দুটি বক্সে সঠিকভাবে বসিয়ে দিবেন। 
  2. যেমন,  আমি আমার নামের প্রথম বক্সে Niloy এবং দ্বিতীয় বক্সে Hasan দিয়েছি।
জিমেইল একাউন্ট খোলার নিয়ম
জিমেইল একাউন্ট খোলার নিয়ম
  1. এরপর আপনি @username নামের আরও একটি বক্স দেখতে পারবেন। মনে রাখবেন, এই অপশনটি আপনার জিমেইল একাউন্ট এর জন্য ভীষন গুরুত্বপূর্ণ।
  2. অর্থ্যাৎ, এখানে আপনি যে username দিবেন। সেটির মাধ্যমে আপনি তথ্য আদান প্রদান করতে পারবেন। 
  3. তো এখানে আপনি আপনার নাম বা দুএকটি শব্দ বসিয়ে username সেট করতে পারবেন না। কারন সেই নাম দিয়ে অলরেডি অনেক মানুষ জিমেইল একাউন্ট তৈরি করে ফেলেছে। 
  4. তাই এখানে আপনার নামের সাথে মিল রেখে কিছু সংখ্যা বসিয়ে দিবেন। যেমন, Abdur72 / Abdur99 ইত্যাদি। 
  5. যখন আপনি সঠিকভাবে আপনার user name টি দিবেন। তারপর আপনাকে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড সিলেক্ট করতে হবে। এরপর আপনাকে Next তে ক্লিক করতে হবে।

💢PRO TIPS: যেসব পাসওয়ার্ডে অনেক কঠিন কঠিন Key দেওয়া থাকে। সেগুলোকে বলা হয়ে থাকে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড। আপনার পাসওয়ার্ড কে এতোটাই কঠিন করবেন। যেন, সেটি কেউ হ্যাক করতে না পারে। যেমন, Abdur@@rah88man++.

তো যখন আপনি এই ফর্মটি পূরন করে Next এ ক্লিক করবেন। তখন আপনার সামনে আরও কিছু নতুন অপশন আসবে। যেখানে আপনার কিছু পারসোনাল ইনফো দেয়ার প্রয়োজন হবে। যেমন,

সবার শুরুতে আপনি phone number সেট করার একটি বক্স দেখতে পারবেন। আর এই বক্সে আপনি সেই ফোন নম্বরটি দেয়ার চেস্টা করবেন। যে নম্বরটি আপনি রেগুলার ফোনে ব্যবহার করেন। 

ইমেইল একাউট খুলার নিয়ম
ইমেইল একাউট খুলার নিয়ম
  1. এরপর আপনার সামনে আরও একটি নতুন Recovery Email নামের অপশন চলে আসবে। মূলত এখানে আপনি যে জিমেইল একাউন্টটি দিবেন। সেটি আপনার পরবর্তী সময়ে অনেক কাজে আসবে। 
  2. যেমন, পরবর্তী সময়ে যদি আপনার তৈরি করা জিমেইল একাউন্ট এর কোনো ধরনের সমস্যা হয়। তাহলে আপনি সেই রিকভারি ইমেইল এর মাধ্যমে সেই সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। 
  3. যখন আপনি আপনার মোবাইল নম্বর দিবেন ৷ তখন একটু নিচে তাকালেই আপনি Date of Birth নামের আরও একটা নতুন অপশন দেখতে পারবেন। 
  4. চেস্টা করবেন এখানে আপনার অরজিনাল বয়স এবং জন্ম তারিখ দেয়ার। তবে খেয়াল রাখবেন যেন, আপনার দেওয়া জন্ম তারিখ অনুসারে বয়স ১৮ বছর এর বেশি হয়। 
  5. উপরোক্ত তথ্য গুলো সঠিক ভাবে দেয়ার পর আপনাকে পুনরায় Next বাটনে ক্লিক করতে হবে। 

আপনি যদি উপরে আলোচিত ধাপগুলো সঠিক ভাবে অনুসরন করে কাজ করেন। তাহলে আপনি খুব সহজ ভাবে একটি জিমেইল একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন।

এবং যখন আপনি এই ধাপ গুলো সঠিক ভাবে অতিক্রম করবেন। তখন আপনি সরাসরি আপনার তৈরি করা Gamil এর ইনবক্সে চলে যেতে পারবেন। এবং জিমেইল এর সকল সুবিধা ভোগ করতে পারবেন৷ 

02) ইয়াহু আইডি খোলার নিয়ম

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা ইমেইল এর সার্ভিস বলতে শুধু Gmail কে বুঝে থাকে। কিন্তুু জিমেইল ছাড়াও যে আমাদের আরও অনেক ধরনের সার্ভিস আছে। তা আমরা অনেকেই সঠিক ভাবে জানিনা।

আর তেমনি একটি জনপ্রিয় সার্ভিস এর নাম হলো Yahoo Mail.

আমরা যেভাবে জিমেইল ব্যবহার করি, যেভাবে এর মাধ্যমে নিজেদের দরকারি তথ্য গুলোর আদান প্রদান করি। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি খুব সহজেই একটি Yahoo Mail খুলে নিতে পারবেন।

এবং জিমেইল এর মতো সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

তো এবার আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, কিভাবে আপনি একটি Yahoo Account তৈরি করবেন। চলুন এবার জেনে নেয়া যাক যে, আপনি কিভাবে একটি ইয়াহু আইডি তৈরি করবেন।

আর এই ধরনের ইয়াহু আইডি তৈরি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই নিচের ধাপ গুলো সঠিকভাবে অনুসরন করতে হবে। যেমনঃ

  1. সবার আগে আপনাকে আপনার ডিভাইস এর ডাটা কানেকশন চালু করতে হবে। এবং আপনাকে একটি ভালো Browser চালু করতে হবে। 
  2. এরপর আপনাকে Yahoo Mail এর মূল বা অফিশিয়াল সাইটে প্রবেশ করতে হবে। 
  3. আপনি চাইলে এখানে ক্লিক করেও ইয়াহু এর মুল সাইটে প্রবেশ করতে পারবেন। 

তো আপনি যখন ইয়াহু এর মেইন সাইটে যাবেন ৷ তখন আপনি অনেক ধরনের ফিচার দেখতে পারবেন ৷ কিন্তুু এসব দেখে আপনার ঘাবড়ানোর কোনো দরকার নেই।

বরং আমি আপনাকে যেভাবে বলবো। আপনি যদি সেভাবে কাজ করেন। তাহলে কোনো প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। যেমন,

  1. সবার আগে আপনাকে Sign in নামক যে বাটন আছে ৷ সেটিতে ক্লিক করতে হবে। 
  2. যখন আপনি এই বাটনে ক্লিক করবেন। তখন আপনি Create an account নামের আরও একটি অপশন দেখতে পারবেন। এবার সেই অপশনে আপনাকে ক্লিক করতে হবে। 
  3. যখন আপনি উপরের অপশনে ক্লিক করবেন। তখন আপনার সামনে পুনরায় একটি ছোট্ট ফর্ম আসবে।

মনে রাখবেন, আপনি জিমেইল একাউন্ট তৈরি করার সময় যেভাবে আপনার পারসোনাল ইনফো গুলো দিয়েছেন।

ঠিক একইভাবে আপনাকে এখানেও মূল মূল অংশ গুলোতে আপনার পারসোনাল ইনফো দিতে হবে। যেমনঃ

  • প্রথমে আপনি First name এবং Last name নামের দুটি বক্স দেখতে পারবেন। আপনাকে এই দুটি বক্সে আপনার নামটি বসিয়ে দিতে হবে। 
ইয়াহু আইডি খোলার নিয়ম
ইয়াহু আইডি খোলার নিয়ম
  • এরপর আপনাকে একটি #username দিতে হবে। যেটির মাধ্যমে আপনি অন্যান্য মানুষ এর সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। 
  • যখন আপনি সঠিকভাবে আপনার user name টি দিবেন। তার  নিচে আপনি  Phone number দেওয়ার আরও একটি অপশন দেখতে পারবেন। 
  • সেখানে আপনি ফোন নুম্বার দিয়ে আপনার জন্ম দিন মাস এর ইয়ার সঠিকভাবে পূরন করে দিতে হবে।
  • এরপর আপনাকে একটি ফোন নম্বর দেয়ার দরকার হবে। চেস্টা করবেন আপনার পারসোনাল নম্বরটি এখানে দেয়ার ৷ কেননা, তারা আপনার নম্বরে একটি Verification Code পাঠাবে ৷

ইয়াহু আইডি খোলার নিয়ম

    ইয়াহু আইডি খোলার নিয়ম
  •  আর যখন আপনি সেই কোডটি সাবমিট করবেন ৷ ঠিক তখনি আপনি সঠিক ভাবে একটি ইয়াহু একাউন্ট তৈরি করে নিতে পারবেন ৷ 
  • আগের মতই ফোন নুম্বার দিয়ে ভেরিফাই করে নিবেন।
  •  এর পর আপনাকে এমন শক্ত পাসওয়ার্ড দিবেন। যেন, সেটিকে হ্যাক করা অসম্ভব হয়ে যায়।

তার পর বাকি সব আপনি নিজেই বোঝে যাবেন কি করা লাগবে বা করতে হবে।

আপনি কি কি শিখলেন? 

এই ছোট্ট আর্টিকেল থেকে আপনি কি কি শিখতে পারলেন। সেটা কি একবারের জন্য হলেও চিন্তা করে দেখেছেন। হুমমম! আজকে আপনি এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন ৷

যেগুলো মূলত ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম হিসেবে ব্যাপক পরিচিত।

তবে আজকে আমি email account খোলার নিয়ম এর পাশাপাশি আরও অনেক বিষয়ে কথা বলেছি। যেমনঃ- 

  1. ইমেইল একাউন্ট খোলার নিয়ম
  2. ইমেইল আইডি কিভাবে খুলবো? 
  3. ই মেইল একাউন্ট খোলার নিয়ম
  4. ইমেইল আইডি কিভাবে খুলতে হয়?
  5. ইমেইল আইডি খুলবো
  6. কিভাবে নতুন ইমেইল আইডি খুলবো

তো আপনি যদি উপরের পুরো আর্টিকেলটি মন দিয়ে পড়ে থাকেন ৷ তাহলে আমার বিশ্বাস যে, উপরোক্ত বিষয় গুলো বুঝতে আপনার কোনো প্রকারের সমস্যা হবে না।

আপনি আরো পড়তে পারেন…

কেননা, আজকে আমি email account খোলার নিয়ম গুলোকে ধাপে ধাপে বুঝিয়ে দেয়ার চেস্টা করেছি। 

ইমেইল একাউন্ট খোলার নিয়ম নিয়ে শেষকথা 

আজকের এই ছোট্ট আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাকে ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম গুলোকে বুঝিয়ে দেয়ার চেস্টা করেছি ৷

আশা করি আজকের আলোচিত ইমেইল আইডি খোলার নিয়ম গুলো বুঝতে আপনার কোনো প্রকার সমস্যা হয়নি।

তবে এরপরও যদি আপনার email account খোলার নিয়ম গুলোতে কোনো সমস্যা থাকে। তাহলে নিচের দিকে কমেন্ট করে জানাবেন৷ আমি চেস্টা করবো আপনার সমস্যার সমাধান করার ৷

Bangla it blog এর সাথে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top