10 হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করার আইডিয়া – Bangla it blog

ভাই  10 হাজার টাকায় ব্যবসা করা যায় এমন কিছু বিজনেস আইডিয়া দিন। কয়েকদিন আগে যখন আমি ১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার আর্টিকেল লিখেছিলাম। আপনারা অনেকই সেই আর্টিকেল টি পড়েছেন।

সেই আর্টিকেলটি পড়ার পর বেশ কিছু মানুষ বলেছেন যে, ভাই ১ লাখ টাকা তো অনেক বেশি হয়ে যায়। আপনি এমন কিছু Business Idea দিন, যেগুলো ১০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করা যাবে।

10 হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করার আইডিয়া
10 হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করার আইডিয়া

আর সেজন্যই মূলত আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।

হ্যালো ভিয়ার, স্বাগতম আপনাকে Bangla it blog এর নতুন একটি এপিসোডে।

আজকে আপনি ভিন্ন ধর্মী একটি টপিক সম্পর্কে জানতে চলেছেন। আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি মাএ ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা করার লাভজনক বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে জানতে পারবেন।

বর্তমান সময়ে চাকরির বাজারে যে সংকীর্নতা রয়েছে। এটা তো আমরা সবাই কমবেশি জানি। কেননা, প্রতি বছর যেখানে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রী অর্জন করছে।

সেখানে চাকরিতে কিন্তুু এতো পরিমান শূন্যপদ থাকে না। যার ফলে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ তরুন তরুনীরা বেকার জীবন অতিবাহিত করতে হচ্ছে।

কিন্তুু আপনি যদি সেই বেকার মানুষদের মতো জীবন অতিবাহিত করতে না চান। এবং নিজের পায়ে দাড়িয়ে কিছু একটা করতে চান।

তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য অনেক বেশি হেল্পফুল হবে। কারন আজকে আমি আপনাদের এমন কিছু লাভজনক বিজনেস আইডিয়া দিবো।

যেগুলো আপনি মাএ ১০ হাজার টাকা ইনভেষ্ট করার মাধ্যমে শুরু করতে পারবেন। 

কেন আপনি ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা করবেন?

এখন উপরের কথা গুলো জানার পর হয়তবা আপনি ভাবছেন যে, কেন আপনি ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা করবেন? যদি আপনি ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা করেন, তাহলে আপনি কি কি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

তো চলুন এবার সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

আপনার জন্য আরো লেখা…

দেখুন, আমি গত আর্টিকেলে বলেছিলাম যে ব্যবসা করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মুলধন। কেননা, যদি আপনার কাছে মুলধন না থাকে।

তাহলে আপনি ইনভেস্ট করতে পারবেন না। আর আপনি যদি ইনভেস্ট করতে না পারেন। তাহলে আপনি কোনো একটি ব্যবসা কে পরিপূর্ণ ভাবে শুরু করতে পারবেন না।

কিন্তুু এখন আপনার মনে হতে পারে যে, ব্যবসার ক্ষেএে তো অনেক বেশি পরিমানে ইনভেস্ট করার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তুু আমি কেন আজকের আর্টিকেলে ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা টাকার ব্যবসা নিয়ে আলোচনা করছি।

তাহলে শুনুন..  যদি আপনি ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করেন। তাহলে আপনি বেশ কিছু বেনিফিট পাবেন। যেমনঃ 

নং-১ঃ সীমিত আকারে ইনভেস্ট করতে পারবেন 

আমরা উপরে জেনেছি যে, ব্যবসা করার মুল হাতিয়ার হলো ইনভেস্ট করা ৷ কারন আপনি যতো বেশি ইনভেস্ট করতে পারবেন ৷ আপনার ব্যবসার পরিধী ঠিক ততো বেশি বৃদ্ধি পাবে ৷

কিন্তুু সবার ক্ষেএে কি বেশি পরিমানে ইনভেস্ট করা সম্ভব? -আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছে। যাদের এতো বেশি টাকা ইনভেস্ট করার মতো পরিস্থিতি নেই।

অপরদিকে আপনার যদি বেশি ইনভেস্ট করার মতো সামর্থ্য না থাকে৷ তাহলে আপনি কিন্তু খুব স্বল্প পরিমান ইনভেষ্টের মাধ্যমে এই ধরনের ব্যবসা গুলো করতে পারছেন ৷

এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা মুলত বেকার জীবন অতিবাহিত করছেন। তাদের ক্ষেএেও কিন্তুু এতো বেশি পরিমানে ইনভেস্ট করা সম্ভব নয়। আর সেজন্য মূলত আপনাকে অল্প করে ইনভেস্ট করা উপযুক্ত বলে গন্য হবে।

আর এইসব মানুষের জন্য ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করা হবে অতি বুদ্ধিমানের কাজ। 

নং-২ঃ ব্যবসাতে কোনো প্রকার ঝুঁকি থাকবে না 

দেখুন একজন বেকার মানুষের কাছে ১০ হাজার টাকা অনেক বেশি মনে হলেও ব্যবসায়িক দিক থেকে চিন্তা করলে এই ১০ হাজার টাকা কিন্তুু তেমন বড় কিছু মনে হবে না।

কেননা, মানুষ কিন্তুু লাখ লাখ টাকা ব্যবসাতে ইনভেষ্ট করে থাকে।

কিন্তুু আপনি যখন লক্ষ লক্ষ টাকা কোনো বিজনেসে ইনভেস্ট করবেন ৷ তখন কিন্তুু আপনাকে অনেকটা ঝুঁকি নিতে হবে। কেননা, আপনি এতো বেশি টাকা ইনভেস্ট করার পর যদি সেই ব্যবসা থেকে সফলতা অর্জন করতে না পারেন ৷

তাহলে কিন্তুু আপনার ইনভেস্ট করা পুরো টাকাই বন্যার জলে ভেসে যাবে।

অপরদিকে আপনি যদি শুধু 10 হাজার টাকায় ব্যবসা করেন। তাহলে এখানে আপনাকে অনেক কম পরিমানে ইনভেস্ট করতে হচ্ছে। আর এই ধরনের ব্যবসা গুলোতে আপনার ঝুঁকির পরিমান তুলনামূলক ভাবে অনেক কম থাকবে।

কেননা, আপনি যদি এই ব্যবসা তে তেমন সফলতা অর্জন করতে না পারেন ৷ তাহলেও কিন্তুু আপনাকে তেমন বড় মাপের লোকসান করতে হচ্ছে না ৷ 

নং-৩ঃ ব্যবসায়িক আইডিয়া পাবেন

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বৃষ্টির ফোটা থেকেই কিন্তুু বড় সমুদ্রের আকার ধারন করে থাকে। এটা আমি আপনি বা আমরা সবাই ভালো করেই জানি৷ ঠিক তেমনি আপনি যখন ছোট ব্যবসা থেকে শুরু করবেন ৷

তখন আপনার ক্ষেএেও এই প্রবাদটি পয়েন্ট টু পয়েন্ট মিলে যাবে।

কেননা, আপনি কোনো ব্যবসাতে ইনভেষ্ট করবেন ৷ আর সেই ব্যবসা তে সফলতা অর্জন করতে পারবেন। বিষয়টা আসলে এমন নয়, বরং ব্যবসায়িক ক্ষেএেও কিন্তুু আপনাকে যথেষ্ট সৃজনশীল হতে হবে।

আপনাকে আপনার প্রতিযোগীদের সাথে টিকে থাকার জন্য নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করতে হবে।

আর আপনি যদি কম পরিমান ইনভেস্ট করে স্বল্প আকারে কোনো ব্যবসা শুরু করেন। তাহলে কিন্তুু আপনার ভেতরে ব্যবসা রিলেটেড অনেক অভিজ্ঞতা হবে।

মূলত কিভাবে একটি ব্যবসা শুরু করতে হবে, কোন ব্যবসাতে কি পরিমান ইনভেস্ট করার প্রয়োজন পড়বে, কিভাবে বিজনেস করলে বেশি লাভ করা যাবে ইত্যাদি বিষয় গুলো আপনি ধাপে ধাপে শিখে নিতে পারবেন।

যা আপনার পরবর্তী সময় গুলোতে অনেক বেশি কাজে দিবে। 

10 হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করার উপায়

উপরের আলোচনা থেকে আমরা ব্যবসা রিলেটেড অনেক অজানা তথ্য সম্পর্কে জানতে পারলাম। আশা করি উপরের আলোচনা গুলো আপনি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

তবে আপনি যদি উপরোক্ত আলোচনা গুলো না বুঝে থাকেন ৷ তাহলে আপনাকে রিকুয়েষ্ট করবো পুনরায় আরেকবার পড়ে নেয়ার ৷ নাহলে আপনার অনেক বিষয় অজানাই থেকে যাবে।

তো ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য এবার আমরা জানবো যে, এমন কোন ধরনের ব্যবসা আছে ৷ যেগুলো আপনি মাএ ১০ হাজার টাকা ইনভেষ্ট করে শুরু করতে পারবেন। চলুন এবার সে নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক। 

০১| মোমবাতি বানানোর ব্যবসা

মোমবাতি হলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি অংশ। বলা যায় যে, বিভিন্ন কারনে আমরা মোমবাতি ব্যবহার করে থাকি। লোডশিডিং এর কারনে যখন আমাদের ঘর বাড়ি অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়।

ঠিক তখনি সেই অন্ধকারকে দুরে রাখার জন্য মোমবাতি ভীষন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

এর এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে আপনিও নতুন একটি ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন ৷ সেটা হলো মোমবাতি তৈরি করার ব্যবসা ৷ কেননা, আপনার এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনাকে তেমন বেশি পরিমানে ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হবে না।

এবং এই বিজনেস এ আপনি কম ইনভেস্ট করেও অধিক টাকা আয় করে নিতে পারবেন। 

মোমবাতি বানানোর ব্যবসা করার উপায়

চলুন এবার আমরা জেনে নেই যে, যদি আপনি মোমবাতি বানানোর ব্যবসা শুরু করতে চান ৷ তাহলে আপনাকে কি কি করতে হবে। 

  • সবার আগে আপনাকে এই ব্যবসার জন্য যে পরিমান টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। সেটি আপনাকে পূর্বে থেকেই সংগ্রহ করতে হবে। 
  • এরপর আপনাকে মোমবাতি তৈরি করার যেসব কাঁচামাল এর প্রয়োজন হবে। সেগুলো প্রয়োজন অনুসারে সংগ্রহ করে নিতে হবে। 
  • যখন আপনি মোমবাতি তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল গুলো সংগ্রহ করবেন। তখন আপনাকে সিন্ধান্ত নিতে হবে যে, আপনি কি একাই এই ব্যবসাটি কে পরিচালনা করতে পারবেন নাকি এই কাজের জন্য আরও বাড়তি লোক নিয়োগ দিবেন। 
  • সবশেষে আপনাকে খুজে নিতে হবে যে, আপনি কোন কোন স্থানে আপনার তৈরি করা মোমবাতি গুলো বিক্রি করবেন৷ 
  • আর এরপর থেকে আপনি নিজেই মোমবাতি তৈরি করতে পারবেন। এবং সেগুলোকে মার্কেটে সেল করে মোমবাতি বানানোর ব্যবসা করতে পারবেন।

মূলত উপরোক্ত বিষয় গুলো যদি আপনি কভার করতে পারেন। তাহলে কিন্তুু আপনি খুব সহজেই মোমবাতি তৈরি করার ব্যবসা করতে পারবেন।

এবং আপনি যদি সঠিকভাবে এই ব্যবসাটি কে পরিচালনা করতে পারেন। তাহলে আপনি উক্ত ব্যবসা থেকে বেশ ভালো পরিমানে টাকা আয় করে নিতে পারবেন। 

০২| ব্রেড বানানোর ব্যবসা

আমরা যেসব বিস্কুট, চানাচুর, কেক ইত্যাদি জাতীয় খাবার গুলো খাই৷ সেগুলো যেখানে তৈরি করা হয়। তাকে বলা হয় বেকারি। কিন্তুু আপনি যদি সম্পূর্ন একটা বেকারি তৈরি করতে চান।

তাহলে কিন্তুু আপনাকে মোটা অংকের টাকা ব্যয় করতে হবে। যা সবার পক্ষে এতো বেশি টাকা ইনভেস্ট করা সম্ভব নয়।

কিন্তুু আপনি সম্পূর্ন একটা বেকারি না দিয়ে ভিন্ন একটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারবেন। সেটি হলো রুটি বানানোর ব্যবসা করা। যা আমার দৃষ্টিকোন থেকে অনেক বেশি লাভজনক একটি ব্যবসা।

কারন বর্তমান সময়ে পাউরুটির চাহিদা কিন্তুু অনেক রয়েছে। কেননা, মানুষ ভাতের বিকল্প খাবার হিসেবে পাউরুটি খেতে অনেক বেশি পছন্দ করে থাকে।

তাই আপনি স্বল্প পরিমান ইনভেস্ট করার মাধ্যমে খুব সহজেই এই ধরনের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন। যা থেকে আপনি অধিক টাকা লাভ করে নিতে পারবেন। 

ব্রেড বানানোর ব্যবসা করার উপায় 

যদি আপনি পাউরুটি তৈরি করার ব্যবসা করতে চান ৷ তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ের দিকে যথেষ্ট ফোকাস রাখতে হবে। যেমনঃ 

  • যেহুতু আপনি মানুষের খাদ্য দ্রব্য তৈরি করবেন। সেহুতু আপনাকে সবার আগে এমন একটি স্থান নির্বাচন করতে হবে। যেন সেই স্থানটির পরিবেশ অনেক পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা থাকে। 
  • এরপর আপনাকে কোনো বেকারি বা অন্য কোনো দক্ষ কারিগর এর কাছ থেকে কিভাবে ব্রেড তৈরি করতে হয়। সে সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা নিতে হবে। 
  • যখন আপনার নিকট একটি পরিস্কার স্খান থাকবে এবং কিভাবে ব্রেড তৈরি করা হয় সে সম্পর্কে জানবেন। তখন আপনাকে ব্রেড তৈরি করার প্রয়োজনীয় কাঁচামাল গুলো সংগ্রহ করতে হবে। 
  • এরপর আপনি ব্রেড তৈরি করার ব্যবসা করার জন্য একবারে পুরোপুরি ভাবে তৈরি হয়ে যাবেন।

তো উপরোক্ত এই বিষয় গুলোকে যখন আপনি কভার করতে পারবেন। তখন ধরে নিবেন যে আপনি ব্রেড বানানোর ব্যবসা করার জন্য একেবারে প্রস্তুত।

আপনি আরো দেখতে পারেন…

এবং সঠিকভাবে পরিচালনা করার মাধ্যমে আপনি এই ব্রেড বানানোর ব্যবসা থেকে অধিক মুনাফা লাভ করতে পারবেন। 

০৩| অনলাইন মার্কেটপ্লেসে জিনিস বিক্রি করা

বর্তমান সময়ে যেসব উঠতি বয়সি তরুন তরুনী আছে৷ তাদের কাছে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে জিনিস বিক্রি করার পদ্ধতিটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

কেননা, আপনি যদি এই ধরনের ব্যবসাটি কোনো প্রকার ইনভেষ্ট ছাড়াই করতে চান ৷ তাহলেও আপনি কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই এই ধরনের বিজনেস শুরু করে দিতে পারবেন।

কেননা, আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছে। যাদের কাছে সেল করার মতো অনেক ধরনের পন্য রয়েছে। তো আপনি চাইলে সেই পন্য গুলোকে অনলাইন এর মাধ্যমে খুব সহজে সেল করে দিতে পারবেন।

কিংবা আপনার কাছে যদি কোনো পন্য না থাকে৷ তাহলে আপনি অনেক কম দামে কোনো পন্য  কিনে নেয়ার পর সেগুলো কে অনলাইনে বেশি দামে সেল করে দিতে পারবেন। 

কিভাবে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে জিনিস বিক্রি করবেন? 

আপনি ইতিমধ্যে জেনে গেছেন যে, বর্তমান সময়ে অফলাই এর পাশাপাশি আপনি অনলাইন এর মাধ্যমেও বিভিন্ন ধরনের প্রডাক্ট সেল করতে পারবেন।

কিন্তুু আপনি যদি Products সেল করার কাজটি অনলাইন এর মাধ্যমে করতে চান৷ তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যেমনঃ 

  • সবার আগে আপনাকে Product সংগ্রহ করতে হবে। যেগুলো আপনি অনলাইন এর মাধ্যমে সেল করতে চান ৷ 
  • এরপর আপনাকে দাম নির্ধারন করে রাখতে হবে। অর্থ্যাৎ আপনার পন্য গুলোর জন্য কি পরিমান দাম রাখলে আপনি লাভ করতে পারবেন ৷ তা আপনাকে পূর্বে থেকেই নির্ধারন করে রাখতে হবে। 
  • এরপর আপনাকে সিন্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি অনলাইন এ Product সেল করার জন্য কোন প্লাটফর্ম কে বেছে নিবেন। যেমনঃ Facebook, Youtube নাকি অন্যান্য কোনো সোশ্যাল মিডিয়াতে। 
  • এরপর আপনি কিভাবে আপনার পন্যের প্রতি কাস্টমারদের আগ্রহ সৃষ্টি করবেন ৷ সেটি নির্নয় করে রাখতে হবে। 

ব্যাস! আপনি যদি উপরের বিষয় গুলোর দিকে যথেষ্ট ফোকাস রাখেন ৷ তাহলে আপনি খুব সহজে এই ধরনের ব্যবসা করে বেশি পরিমানে টাকা আয় করে নিতে পারবেন ৷ 

০৪| মোবাইল ফোন রিচার্জ এর ব্যবসা

হয়তবা আপনি রাস্তায় চলার পথে কিংবা আপনার আশেপাশের বাজার গুলোতে মোবাইলে Flexiload করার দোকান গুলো দেখে থাকবেন।

কিন্তুু আপনি কি কখনও চিন্তা করে দেখেছেন যে, এই ব্যবসা থেকে কি পরিমান লাভ করা যায়? – ভাবেন নি তাইতো?

কিন্তুু আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন ৷ কারন এই মোবাইল রিচার্জের ব্যবসা থেকেও কিন্তুু বেশ ভালো পরিমানে আয় করা সম্ভব।

যার কারনে বর্তমান সময়ে মানুষ অন্যান্য ব্যবসা করার পাশাপাশি মোবাইল রিচার্জ করার ব্যবসাতেও যুক্ত হয়ে আসছে।

কারন এই মোবাইল রিচার্জ করার ব্যবসাতে আপনাকে তেমন বেশি পরিমানে ইনভেস্ট করার প্রয়োজন পড়বে না। এর পাশাপাশি আপনি এই ব্যবসাটি করার জন্য তেমন কোনো পরিশ্রম করতে হবে না।

আর তাই ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা করার জন্য আপনি এই ব্যবসাটি কোনোদিক চিন্তা না করে শুরু করে দিতে পারবেন। 

মোবাইল ফোন রিচার্জের ব্যবসা করার উপায় 

অন্যান্য ব্যবসাতে যেমন আপনাকে বিভিন্ন দিক বিবেচনা করতে হবে। ঠিক তেমনি আপনি যদি মোবাইল রিচার্জের ব্যবসা করেন।

তাহলেও কিন্তুু আপনাকে অনেক দিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে। যেমনঃ 

  • সবার আগে আপনাকে এমন একটি লোকেশন নির্বাচন করতে হবে। যেখানে মূলত প্রচুর মানুষর সমাগম হয়। 
  • এরপর আপনাকে মোবাইল রিচার্জ করার জন্য একটি Postpaid সিম নিতে হবে। যার মাধ্যমে আপনি অন্যদের মোবাইলে রিচার্জ করতে পারবেন। 
  • এরপর আপনার দোকানে যেসব কাস্টমার আসবে। আপনাকে তাদের সাথে অবশ্যই বন্ধুসুলভ আচরন করতে হবে। যেন পরবর্তীতে রিচার্জ করার প্রয়োজন হলে আপনার নিকট ব্যাক আসে।

হুমমম আপাততো মোবাইল রিচার্জের বিজনেস করতে চাইলে উপরোক্ত বিষয় গুলোর দিকে খেয়াল রাখতে পারলে যথেষ্ট। এই ব্যবসা করার জন্য আপনাকে তেমন কোনো কাঠঘর পোড়াতে হবে না। 

০৫| বিকালে সিঙ্গারা/চপের স্টল

সিঙ্গারা বা চপের দোকান সম্পর্কে আমাদের সবার ই কম বেশি ধারনা আছে। কেননা, আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা মূলত এই ধরনের মুখরোচক খাবার গুলো খেতে অনেক বেশি পছন্দ করেন ৷

কিন্তুু সেই সিঙ্গারা প্রিয় মানুষ গুলো যদি ইচ্ছে করে ৷ তাহলে সেই মানুষ গুলোও কিন্তুু নিজেই এই ধরনের বিজনেস করতে পারবে।

এই মুখরোচক খাবার প্রিয় মানুষ গুলো নিজের হাতে এসব খাদ্য তৈরি করে খাওয়ার পাশাপাশি বিজনেস করেও খুব ভালো পরিমানে টাকা আয় করে নিতে পারবে।

কিন্তুু এখন হয়তবা আপনার মনে দ্বিধাবোধ জাগতে পারে। যে আপনি এতো বড় একজন সেলিব্রিটি মানুষ। আপনি কেন এই ধরনের বিজনেস করবেন ৷ এতে তো আপনার মান সম্মান কিছুই থাকবে না। 

ভাই যদি আপনি এমনটা ভেবে থাকেন৷ তাহলে বলবো ব্যবসায়িক দিক থেকে আপনার বর্তমান অনেক উজ্জল হলেও আপনার ভবিষ্যত কিন্তুু একেবারেই অন্ধকার।

কারন আপনি শুরুতেই ব্যবসাকে তুচ্ছ মনে করা শুরু করেছেন। কেননা, ব্যবসায়িক সংঙ্গা অনুযায়ী, কোনো ব্যবসাকে ছোট করে দেখা উচিত নয়। 

সিঙ্গারা ও চপের বিজনেস করার উপায় 

আপনি যদি এই ধরনের বিজনেস এর সাথে নিজেকে যুক্ত করতে চান। তাহলে অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় আপনি খুব সহজেই এই সিঙ্গারা চপের ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।

তবে এজন্য আপনাকে বেশ কিছু দিকে নজর রাখতে হবে। যেমনঃ 

  • সবার আগে আপনাকে কোনো দক্ষ কারিগর এর থেকে জেনে নিতে হবে যে কিভাবে এই ধরনের মুখরোচক খাবার গুলো তৈরি করতে হয়। 
  • এরপর আপনাকে এমন একটি স্থান নির্নয় করতে হবে। যেখানে বেশি পরিমান মানুষের সমাগম রয়েছে। 
  • উপরের দুইটি পয়েন্ট যখন আপনি কভার করবেন ৷ তখন আপনাকে সিন্ধান্ত নিতে হবে যে, আপনি আসলে কোন সময়ে এই বিজনেসটি করবেন। তবে বিকাল থেকে রাত অবধি এই বিজনেসটি করার জন্য উপযুক্ত একটি সময়।

যাক, চপ সিঙ্গারার ব্যবসা করার জন্য আপাততো উপরের বিষয় গুলোর দিকে লক্ষ্য রাখতে পারলেই যথেষ্ট। আপনাকে এই ব্যবসা করার জন্য আর তেমন কিছু করতে হবে না। 

১০ হাজার টাকায় ব্যবসা করে কত টাকা লাভ করতে পারবেন? 

তো কথা হলো যে, আমরা তো সম্পূর্ন আর্টিকেলে ১০ হাজার টাকা ইনভেষ্ট করে বিভিন্ন ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পারলাম। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে,

এই ১০ হাজার টাকা ইনভেষ্ট করে আপনি যদি কোনো ব্যবসা শুরু করেন। তাহলে আপনি এই ধরনের বিজনেস থেকে কি পরিমান টাকা আয় করে নিতে পারবেন? – তো সবশেষে এ বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করা যাক।

দেখুন যেহুতু আপনি এই বিজনেস এ অনেক কম পরিমানে ইনভেস্ট করবেন ৷ সেহুতু এই বিজনেস গুলো থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করার স্বপ্ন দেখাটাও কিন্তুু নিছক বোকামি ছাড়া কিছুই নয় ৷

কারন ব্যবসার ক্ষেএে যখন আপনি অধিক পরিমান টাকা ইনভেস্ট করবেন। তখন সেই ব্যবসা থেকে আপনার আয় করার পরিমান অনেক বেশি থাকবে।

কিন্তুু আপনি যদি কম পরিমান টাকা ইনভেস্ট করে কোনো বিজনেস শুরু করতে চান। তাহলে কিন্তুু আপনার সেই বিজনেস গুলো থেকে আয় করার পরিমানও অনেক হয়ে থাকবে।

এটা স্বাভাবিক একটা বিষয়, যা আমাদের মধ্যে প্রত্যেকেই এই বিষয়টি জেনে থাকবেন।

আপনি আরো পড়তে পারেন…

তবে প্রাথমিক অবস্থাতে লাভ কিংবা লোকসান এর দিকে না তাকিয়ে ব্যবসা সম্পর্কে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা নেয়ার চেস্টা করুন।

যেন পরবর্তীতে বড় ধরনের কোনো বিজনেস করার সময় আপনি খুব সহজেই সফলতা অর্জন করতে পারেন৷ 

আমরা কি কি শিখলাম? 

উপরে আমরা ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা রিলেটেড অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছি।

আমি সেই বিষয় গুলোকে পুনরায় আরেকবার রিপিড করবো। যেন আপনি উপরে আলোচিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো কোনোভাবেই ভুলে না যান।

তো এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানতে পেরেছি যেঃ

  • ২০০০ টাকায় ব্যবসা
  • ৫০০০ টাকার ব্যবসা
  • বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
  • ঘরোয়া ব্যবসা
  • গ্রামে লাভজনক ব্যবসা
  • ক্ষুদ্র ব্যবসার তালিকা
  • ৫ লাখ টাকার ব্যবসা
  • বড় ব্যবসার আইডিয়া   
  • ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা

আশা করি উপরে আলোচিত সমস্ত বিষয় গুলো আপনি বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আর যদি না বুঝে থাকেন। তাহলে আর্টিকেলটি পুনরায় আরেকবার পড়ার জন্য অনুরোধ করবো। 

আমাদের শেষকথা 

আশা করি আজকের আর্টিকেল এর মুল টপিক ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

তবে আপনি যদি আরও ১০ হাজার টাকায় ব্যবসা করার টিপস সম্পর্কে  আরো জানতে চান। তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন। 

আমরা আপনার কমেন্টের উত্তর দিব।

বাংলা আইটি ব্লগের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top