বিটকয়েন মাইনিং কি | কিভাবে bitcoin mining করা যায় | Bitcoin mining in Bengali

বিটকয়েন মাইনিং কি (What is Bitcoin Mining) আমাদের মধ্যে এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকে।

 বিটকয়েন মাইনিং কি | কিভাবে bitcoin mining করা যায় | Bitcoin mining in Bengali
বিটকয়েন মাইনিং কি

আসলে বিটকয়েন মাইনিং কি, কিভাবে বিটকয়েন মাইনিং করা যায়। এবং বিটকয়েন মাইনিং করার জন্য কি কি প্রয়োজন হয়ে থাকে।

তো আপনি যদি বিটকয়েন মাইনিং সম্পর্কিত এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে চান। তাহলে আপনি একবারে সঠিক জায়গায় চলে এসেছেন।

কারণ আজকের এই আর্টিকেলে আমি বিটকয়েন এবং বিটকয়েন মাইনিং সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় কে স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করব।

তাই অবশ্যই আপনি আজকের আলোচনা টি মনোযোগ সহকারে দেখার চেষ্টা করবেন। যাতে করে আপনার বিটকয়েন মাইনিং সম্পর্কিত কোনো কিছু অজানা না থাকে।

তাহলে আর দেরি না করে চলুন সরাসরি মূল আলোচনায় ফিরে যাওয়া যাক।

বিটকয়েন কি | What is bitcoin ?

বিটকয়েন হলো এক ধরনের ডিজিটাল ক্রিপ্টোকারেন্সি। বর্তমান বিশ্বের প্রতিটা দেশের নিজস্ব কারেন্সি রয়েছে।

যেমন, আমাদের বাংলাদেশের টাকার মাধ্যমে লেনদেন করা হয়। কিন্তু যখন আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করবেন, তখন আপনার কোন প্রকার হ্যান্ড ক্যাশ এর প্রয়োজন পড়বে না।

বরং আপনি অনলাইন একাউন্টের মাধ্যমে এই ধরনের কারেন্সি গুলো কে জমা করে রাখতে পারবেন।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

আপনি যেমন টাকার মাধ্যমে বিভিন্ন রকম পণ্য কিনে থাকেন। ঠিক তেমনিভাবে আপনার কাছে যদি ক্রিপ্টোকারেন্সি থাকে।

তাহলে আপনি ক্রিপ্টোকারেন্সি একাউন্টের মাধ্যমে আপনার বিটকয়েন এর সাহায্য অনলাইনে যে কোনো ধরনের পণ্য কিনে নিতে পারবেন। মূলত এই ধরনের ডিজিটাল কারেন্সি যা একেবারে অদৃশ্য।

মূলত এই ধরনের ডিজিটাল কারেন্সি কে বলা হয়ে থাকে বিটকয়েন।

বিটকয়েন মাইনিং কি? What is Bitcoin Mining?

সবার আগে আপনাকে জেনে নিতে হবে যে বিটকয়েন মাইনিং কি। এই বিষয়টা আসলে সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি বিষয়।

যদি আপনি বিটকয়েন মাইনিং করতে চান। তাহলে আপনার পূর্ব থেকেই বিশেষ ভাবে এই বিটকয়েন মাইনিং সম্পর্কিত ধারণা থাকতে হবে।

সহজ কথায় আমি যদি আপনাকে বলতে চাই যে, বিটকয়েন মাইনিং কি। তাহলে আমি আপনাকে বলব বিটকয়েন  বৃদ্ধি করার পদ্ধতিকে বলা হয়ে থাকে মাইনিং।

যেমন ধরুন, আমাদের ব্যবহার করা টাকার পরিমাণ আমরা আরো বাড়িয়ে নিতে পারবো। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যাকাউন্টে থাকা বিটকয়েন এর পরিমাণ কে বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

কিন্তু যখন আপনি এই বিটকয়েন এর পরিমাণ কে বাড়িয়ে নেয়ার জন্য মাইনিং করবেন। তখন সেই বিটকয়েন আয় করার পদ্ধতিকে বলা হয়ে থাকে বিটকয়েন মাইনিং।

তবে যখন আপনি আপনার বিটকয়েন আয় করার জন্য মাইনিং করবেন। তখন আপনি আরও বেশকিছু মাইনিং করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পারবেন।

কিন্তু সবার আগে আপনাকে একটা বিষয়ে জেনে নেওয়া উচিত যে। বিটকয়েন মাইনিং করার জন্য আপনার নিকট অনেক ভাল মানের একটি কম্পিউটার থাকতে হবে।

কেননা মাইনিং করার সময় একটি ডিভাইসে অনেক বড় বড় সফটওয়্যার ইন্সটল করার প্রয়োজন হয়ে থাকে।

বিটকয়েন মাইনিং এর পদ্ধতি কি

প্রিয় পাঠক, উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারলেন যে, বিটকয়েন কি এবং বিটকয়েন মাইনিং কাকে বলে

এখন এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

আর সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, বিটকয়েন মাইনিং এর পদ্ধতি গুলো কি কি । কেননা একজন ব্যক্তি বিটকয়েন মাইনিং করার আগে অবশ্যই এই মাইনিং করার পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

যদি আপনি বিটকয়েন মাইনিং করতে চান। তাহলে প্রথমত আপনার নিকট একটি ভালো মানের কম্পিউটার থাকতে হবে।

এবং এর পরে আপনাকে বেশ কিছু সফটওয়্যার সংগ্রহ করতে হবে। যে কম্পিউটার সফটওয়্যার গুলো দিয়ে আপনি বিটকয়েন মাইনিং করতে পারবেন।

আর এই ধরনের বিটকয়েন মাইনিং করার সফটওয়্যার গুলো আপনি গুগলের সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।

যখন আপনি আপনার কম্পিউটার ডিভাইসে বিটকয়েন মাইনিং সফটওয়্যার ইন্সটল করবেন। তখন আপনি উক্ত সফটওয়্যার গুলোর মাধ্যমে বিটকয়েন আয় করতে পারবেন।

তবে এখন জানার বিষয় হল যে, শুধুমাত্র সফটওয়্যার ইন্সটল করলেই বিটকয়েন আয় করা সম্ভব কি না! চলুন এবার তাহলে সেই সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জেনে নেওয়া যাক।

দেখুন আমরা অনেকেই আছি, যারা বিটকয়েন মাইনিং বলতে শুধুমাত্র কিছু সফটওয়্যার কম্পিউটারে ইন্সটল করলেই বিটকয়েন বাড়বে এমনটা ভেবে থাকি।

কিন্তু বিষয়টা আসলে সেরকম নয়! কারণ বিটকয়েন আয় করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু কাজ করতে হবে।

যখন আপনি সেই কাজ গুলো সঠিক ভাবে করতে পারবেন। ঠিক তখনই আপনি আপনার কম্পিউটার ডিভাইস থেকে বিটকয়েন মাইনিং করে বিটকয়েন আয় করতে পারবেন।

সত্যি বলতে আপনি আপনার ক্রিপ্ট কারেন্সি একাউন্ট থেকে যত বেশি লেনদেন করতে পারবেন। আপনার সেই লেনদেন বিটকয়েন মাইনিং এজন্য অনেক বেশি সুবিধা হবে।

কারণ আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি একাউন্টে বিটকয়েন এর পরিমাণ তখনই বেশি হবে। যখন আপনি সেই একাউন্ট দিয়ে বিটকয়েন ট্রানজেকশন করবেন।

এখানে আপনি শুধুমাত্র ট্রানজেকশন করার বিনিময়ে বিটকয়েন আয় করতে পারবেন। আশা করি বিটকয়েন এর কার্যপদ্ধতি সম্পর্কে আপনি একেবারে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

বিটকয়েন মাইনার কাকে বলে? (What is miner in bengali)

আর্টিকেলের এই পর্যন্ত আপনি মূলত তিনটি বিষয় সম্পর্কে জেনেছেন। প্রথম বিষয়টি হলো, বিটকয়েন কি

এর পরবর্তী তে আপনি জানতে পেরেছেন যে, বিটকয়েন মাইনিং কি । এবং সবশেষে আপনি বিটকয়েন মাইনিং এর পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছেন।

আপনি যদি উপরোক্ত বিষয়গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন। তাহলে আমার বিশ্বাস যে, এতক্ষণে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে আপনার মনে আর কোন প্রকার প্রশ্নের অবকাশ নেই।

কিন্তু উপরের বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি আপনাকে জেনে নিতে হবে যে, বিটকয়েন মাইনার কাকে বলে

কারণ যখন একজন মানুষ বিটকয়েন মাইনিং এর কাজ শুরু করে। ঠিক তখনই সেই মানুষটি এই বিটকয়েন মাইনার শব্দটি শুনে থাকবে।

চলুন তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক যে বিটকয়েন মাইনার কাকে বলে।

উপরের আলোচনায় আপনি জানতে পেরেছেন যে, বিটকয়েন আয় করার জন্য আপনাকে বিটকয়েন মাইনিং করতে হবে।

কারণ বিটকয়েন মাইনিং সঠিকভাবে করতে পারলে আপনি আপনার ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যাকাউন্টে থাকা বিটকয়েন এর পরিমাণ বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

কিন্তু যখন আপনি বিটকয়েন মাইনিং করার জন্য বিটকয়েন ট্রানজেকশন করবেন। তখন আপনাদের এই ট্রানজেকশন গুলো ভেরিফাই করা হয়।

আর যারা মাইনিং করার সময় এই ধরনের বিটকয়েন ট্রানজেকশন গুলো ভেরিফাই করে। তাদেরকে বলা হয়ে থাকে বিটকয়েন মাইনার।

আশা করি এই ছোট্ট আলোচনা থেকে আপনি বুঝতে পেরেছেন যে বিটকয়েন মাইনিং কাকে বলে।

বিটকয়েন মাইনিং কি বাংলাদেশে বৈধ ?

বিটকয়েন মাইনিং কি এবং কিভাবে ব্যবহার করা যায়। এই সম্পর্কে জানার পরে আপনারও বিটকয়েন মাইনিং করার ইচ্ছে জাগতে পারে।

তবে বিটকয়েন মাইনিং করার আগে আপনাকে আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

আর সেই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, বিটকয়েন মাইনিং কি বাংলাদেশে বৈধ নাকি অবৈধ। কারণ বিটকয়েন মাইনিং করার আগে অবশ্যই এই বিষয় সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকতে হবে।

যদি আপনি বিটকয়েন মাইনিং করতে চান। তাহলে আপনাকে একটা কথা বলে রাখব যে, আমাদের বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিটকয়েন এর লেনদেন সম্পূর্ণভাবে অবৈধ।

অর্থাৎ আপনি যদি কোন প্রকারের বিটকয়েন লেনদেন করার সময় প্রশাসনের হাতে ধরা পড়েন। তাহলে কিন্তু আপনার আদালত কর্তৃক জরিমানা ধার্য করা হবে।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

অন্যথায় আপনাকে দণ্ড প্রদান করা হবে।

কিন্তু আপনার লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন যে। আমাদের বাংলাদেশ থেকে বিটকয়েন মাইনিং এবং বিটকয়েন জাতীয় লেনদেন অবৈধ হলেও।

এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা মূলত দীর্ঘদিন থেকে বিটকয়েন মাইনিং করে আসছে। এখন আপনি যদি রিস্ক নিতে পারেন। তাহলে আপনি ও আপনার কম্পিউটার ডিভাইস থেকে বিটকয়েন মাইনিং করতে পারবেন।

তবে কেউ যদি আমার এই আর্টিকেল দেখে বিটকয়েন মাইনিং করতে চান। তাদের কে অবশ্যই একটা মেসেজ দিব যে।

আমাদের বাংলাদেশে যেসব অবৈধ সেসব ব্যবহার না করাই উচিত। কেননা বিটকয়েন কে কোন না কোন সমস্যার  জন্যই অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

এখন আপনি যদি সেই অবৈধ কাজটি করেন। তাহলে একান্তভাবেই নিজ দায়িত্বে এই ধরনের বিটকয়েন মাইনিং করবেন।

মোবাইল দিয়ে বিটকয়েন মাইনিং সম্ভব ?

মোবাইল দিয়ে বিটকয়েন মাইনিং সম্ভব কিনা। এ প্রশ্নের উত্তরে আমি সর্বদাই একটি কথা বলি। যে এমন কোন অনলাইন কাজ নেই, যা মোবাইল দিয়ে করা যাবে না।

কেননা বর্তমান সময়ে একটি কম্পিউটার ডিভাইসের মধ্যে যেসব থাকে। তার অধিকাংশ অংশ গুলো কিন্তু এখনকার দিনের মোবাইল ফোন গুলোতে রয়েছে।

তাই এই দিক থেকে বিবেচনা করলে আমি বলব যে, মোবাইল দিয়ে বিটকয়েন মাইনিং সম্ভব।

তবে হ্যাঁ! আপনি যদি মোবাইল দিয়ে বিটকয়েন মাইনিং করতে চান। তাহলে আপনার বিটকয়েন আয় এর পরিমাণ অনেকাংশে কমে যাবে।

কেননা একটি কম্পিউটার ডিভাইস দিয়ে আপনি যত বড় বড় সফটওয়্যার ইন্সটল করতে পারবেন।

এবং সেই সফটওয়্যার গুলো দিয়ে যত দ্রুত কাজ করতে পারবেন। তত দ্রুত কাজ আপনি কোনো ভাবেই একটি মোবাইল ডিভাইস হতে পারবেন না।

আর সেজন্যই মূলত আপনাকে অনেক ধীর গতিতে মাইনিং এর কাজ করতে হবে। এর পাশাপাশি আপনি আপনার মোবাইল ফোনে বিটকয়েন মাইনিং করার জন্য যেসব অ্যাপস পাবেন।

সেগুলোর তুলনায় একটি কম্পিউটারে যেসব বিটকয়েন মাইনিং সফটওয়্যার ব্যবহার করা হবে। সেগুলো কিন্তু অনেক বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন হবে।

তো আপনি যদি মোবাইল দিয়ে বিটকয়েন মাইনিং করে খুব কম পরিমাণ বিটকয়েন আয় করতে চান।

তাহলে আপনি মোবাইল দিয়ে বিটকয়েন মাইনিং শুরু করে দিতে পারেন। এবং কম্পিউটারের মত আপনি মোবাইলের ক্ষেত্রেও গুগলের মধ্যে বিভিন্ন রকম বিটকয়েন মাইনিং অ্যাপস পেয়ে যাবেন।

বিটকয়েন মাইনিং এর জন্য কি কি লাগবে (Build Bitcoin Mining PC)

আমি শুরু থেকে এখন পর্যন্ত একটা কথা বলে আসছি যে, আপনি যদি বিটকয়েন মাইনিং করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার নিকট একটি ভালো মানের কম্পিউটার থাকতে হবে।

সত্যি বলতে বিটকয়েন মাইনিং করার ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতা সম্পন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়।

আর এই ধরনের সফটওয়্যার গুলো কে সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্য আপনার নিকট লাখ টাকার উপরে কম্পিউটার থাকতে হবে।

এখন হয়ত বা অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে। এত বেশি টাকা দিয়ে একটি কম্পিউটারের মধ্যে কোন কোন বিষয় গুলো কে আরও উন্নত করতে হবে।

তো আপনি যদি একান্ত ভাবেই বিটকয়েন মাইনিং করার জন্য কম্পিউটার কেনার কথা চিন্তা করেন। তাহলে আপনাকে নিচে উল্লেখিত বিষয় গুলোর দিকে নজর দিতে হবে।

মাদারবোর্ড: 

মাদারবোর্ড এর ক্ষেত্রে আপনি আপনার পছন্দ মত যে কোন একটি মাদারবোর্ড কিনে নিতে পারবেন। তবে সেই মাদারবোর্ড টি কোর আই ফাইভ কিংবা এর থেকে বেশি হলে ভালো হয়।

কেননা আপনার মাদারবোর্ড টি অবশ্যই অনেক ক্ষমতা সম্পন্ন হতে হবে। তাহলে আপনি আপনার কম্পিউটার দিয়ে বিটকয়েন মাইনিং এর কাজটি ভালোভাবে করতে পারবেন।

হার্ডডিক্স:

আপনি আপনার চাহিদামত কম্পিউটারের জন্য হার্ডডিক্স নিতে পারেন। তবে আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আপনার কম্পিউটারের হার্ডডিক্স কমপক্ষে এক টেরাবাইট হওয়া উচিত।

কেননা বর্তমান সময়ে একটি কম্পিউটার ডিভাইস এ থাকার ডাটা গুলোকে জমা করে রাখার জন্য হার্ডডিক্স এর অনেক অংশের প্রয়োজন হয়।

এর পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব কিছু ব্যক্তিগত ডেটা থাকে। যে গুলো হার্ডডিক্সের মধ্যে জমা করে রাখতে হয়।

RAM:

এবার আসা যাক আমাদের কম্পিউটারে ব্যাবহার করা Ram এর কথায়। আপনি চাইলে আপনার ডিভাইসে সর্বনিম্ন চার জিবি পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।

কিন্তু আপনি যদি আপনার কাজের পারফরম্যান্স আরো ভাল পেতে চান।

এবং বিটকয়েন মাইনিং খুব দ্রুত করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে 8gb এর বেশি Ram ব্যবহার করতে হবে।

গ্রাফিক্স কার্ড:

যখন আপনি বিটকয়েন মাইনিং এর জন্য কম্পিউটার সেটআপ করবেন। তখন আপনাকে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করতে হবে গ্রাফিক্স কার্ড এর ক্ষেত্রে।

কেননা এই ধরনের বিটকয়েন মাইনিং করার কম্পিউটার গুলোতে 4 থেকে 6 টি গ্রাফিক্স কার্ড এর প্রয়োজন হয়।

এবং এই ধরনের গ্রাফিক্স কার্ডগুলো মূলত 20 থেকে 40 হাজার টাকা দিয়ে কিনে নিতে হয়।

 সে দিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যাবে যে, বিটকয়েন মাইনিং করার জন্য কম্পিউটারে গ্রাফিক্স কার্ড এর জন্যই এক থেকে দেড় লাখ টাকা ব্যয় করতে হবে।

পাওয়ার সাপ্লাই:

বিটকয়েন মাইনিং করার জন্য কম্পিউটারে উপর অনেক গুলো প্রোগ্রামটি রান করতে হয়। সে জন্য মূলত আপনার পিসিতে থাকা পাওয়ার সাপ্লাই টি একটু ক্ষমতা সম্পন্ন হতে হবে।

আপনি চাইলে একটি পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করতে পারবেন। অথবা আপনি চাইলে দুইটি পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করতে পারবেন।

তবে লক্ষ রাখবেন যেন, সেই পাওয়ার সাপ্লাই গুলো 30 থেকে 50 হাজার টাকার মধ্যে হয়।

মনিটর:

যেহেতু আপনি একটি কম্পিউটার ডিভাইস দিয়ে কাজ করবেন। সেহুতু অবশ্যই আপনার সেই কাজ গুলো দেখার প্রয়োজন হবে।

আর যখন আপনি আপনার কম্পিউটারে সংঘটিত কাজ গুলো দেখতে চাইবেন। তখন আপনার একটি মনিটর এর দরকার হবে।

তবে বিটকয়েন মাইনিং করার ক্ষেত্রে মনিটর এর জন্য তেমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

বরং আপনি আপনার প্রয়োজন অনুসারে আপনার কম্পিউটারে ব্যবহার করার জন্য একটি মনিটর কিনে নিতে পারবেন।

কারা কারা Mining করতে পারবে?

সত্যি কথা বললে বিটকয়েন মাইনিং যে কোন ব্যক্তি করতে পারবে। কারণ বিটকয়েন মাইনিং করার ক্ষেত্রে আপনার নিকট একটি ভালো মানের কম্পিউটার থাকলেই যথেষ্ট।

তবে সবার ক্ষেত্রে এত বেশি উন্নত মানের কম্পিউটার ব্যবহার করা সম্ভব হয় না বলেই সবাই বিটকয়েন মাইনিং করতে পারে না।

কিন্তু যদি আপনার নিকট পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকার মধ্যে একটি উন্নত মানের কম্পিউটার থাকে। তাহলে আপনি নিশ্চিন্তে বিটকয়েন মাইনিং করতে পারবেন।

বিটকয়েন কিভাবে তৈরি হয়?

যখন আপনি আপনার ক্রিপ্টো কারেন্সি একাউন্ট থেকে বিটকয়েন আদান প্রদান করবেন। তখন এই ধরনের ট্রানসলেশন গুলো বিটকয়েন মাইনার এর সাহায্য ভেরিফাই করা হয়।

এরপর ভার্চুয়ালি একটি বিটকয়েন ব্লক তৈরি হয়। এবং এভাবে একটি ব্লকের সাথে আরেকটি ব্লক চেনের মত করে যুক্ত থাকে।

যাকে বলা হয়, বিটকয়েন ব্লক চেইন। মূলত এই বিটকয়েন মাইনিং এর মাধ্যমেই পুনরায় বিটকয়েন তৈরি হয়।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

বিটকয়েন এর দাম ?

বিটকয়েনের নির্দিষ্ট কোন দাম থাকে না, অর্থাৎ এটি সর্বদাই পরিবর্তনশীল। কেননা আজকের দিনে আপনি বিটকয়েনের যে দাম দেখতে পারবেন।

আজ থেকে একদিন অথবা সাতদিন পরে আপনি এই বিটকয়েন এর দামের ক্ষেত্রে অনেকটা পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।

2022 সাল এর জুলাই মাসের 1 বিটকয়েন সমান 1,965,296.59 BDT. 

বিটকয়েন মাইনিং নিয়ে শেষ কথা

যদিওবা আমাদের বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিটকয়েন মাইনিং এবং বিটকয়েন লেনদেন করা সম্পূর্ণ অবৈধ কাজ।

কিন্তু এরপরও যদি আপনি মাইনিং এর কাজ গুলো করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই বিষয় সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য জেনে নিতে হবে।

আর আজকের আর্টিকেলে আমি সেই কারণেই মূলত বিটকয়েন মাইনিং কি এবং কিভাবে আপনি বিটকয়েন মাইনিং করবেন।

সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনি বিটকয়েন মাইনিং সম্পর্কিত আরো কোন কিছু জানতে চান। তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top