বারকোড কি | What is barcode in bangla | Barcode meaning in Bengali

বারকোড কি :  আমরা বর্তমানে আধুনিক যুগে বাস করছি, আর এই সময়ে আমরা সবাই বারকোড দেখে থাকি।

কেননা, এখন বিভিন্ন প্রোডাক্ট থেকে শুরু করে নিজের পোশাক আশাক পর্যন্ত প্রায় সব ধরনের পন্যে এখন Barcode এর ব্যবহার করা হয়।

বারকোড কি | What is barcode in bangla | Barcode meaning in Bengali
বারকোড কি | What is barcode in bangla

কিন্তুু আমাদের মধ্যে প্রায় অধিকাংশ মানুষ এখনও জানেনা যে, বারকোড কি ( Barcode ki )। এর পাশাপাশি বারকোড কি জন্য ব্যবহার করা হয়।

সেটাও এখনও অনেক মানুষের কাছে অজানা রয়েছে।

আপনি যদি হুট করে একজন মানুষ কে জিজ্ঞেস করেন যে, বারকোড কি (What is bercode in bangla).

তাহলে হয়তবা সেই মানুষ টা আপনাকে বলবে যে, ঐ কোনো বইয়ের পাতায় কিংবা কোনো পন্যের গায়ে তিনি এই ধরনের Barcode দেখেছেন।

কিন্তুু এই বারকোড কি এবং এর কাজ কি, তা অধিকাংশ মানুষ এর সঠিক উত্তর দিতে পারবে না। তো আজকের আর্টিকেল টি মূলত সেই উদ্দেশ্যেই লেখা হয়েছে।

আপনার জন্য আরো লেখা…

হ্যালো রিডার, Bangla it blog এর নতুন একটি এপিসোডে আপনাকে স্বাগতম। আজকের আর্টিকেলে আপনি বারকোড এর সমস্ত খুটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন ৷

মূলত Barcode কি এবং আমরা কেন এই Barcode ব্যবহার করছি বা বারকোড এর কাজ কি, তার প্রত্যেকটা বিষয় নিয়ে স্টেপ বাই স্টেপ কথা বলবো।

তাহলে আর দেরী কেন, চলুন সরাসরি মূল টপিকে ফিরে যাওয়া যাক। 

বারকোড কি ? | What Is Barcode In Bengali ?

বারকোড হলো সাদা এবং কালো রঙ্গের সম্বন্বয়ে সমান্তরাল কিছু রেখা। যাকে বারকোড বলা হয়ে থাকে। আবার অনেক সময় এই ধরনের Barcode গুলোকে মোর্স কোড বলা হয়ে থাকে।

আইটি ভাষা অনুসারে এই ধরনের সমান্তরাল রেখা গুলোর মধ্যে ভিজ্যুয়াল পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

মূলত এই ধরনের রেখা গুলোকে বিশেষ কিছু তথ্য দেয়া থাকে। যেখানে কালো সমান্তরাল রেখার মধ্যে কিছু সাদা রঙ্গের ও সমান্তরাল রেখা থাকে।

অতীতের দিন গুলো ট্রেন কে শনাক্তকরণে এই ধরনের বারকোড এর ব্যবহার করা হতো ৷

সেই সময়ে অনেক গুলো ট্রেনের মধ্যে নির্দিষ্ট ট্রেন কে শনাক্ত করার উদ্দেশ্যে ট্রেনের পিছনে এই ধরনের Barcode এর ব্যবস্থা করা হতো।

কিন্তুু যখন এই পদ্ধতিটি জনপ্রিয়তা লাভ করছিলো ৷ তখন ট্রেনের পাশাপাশি বিভিন্ন পন্যের প্রোডাক্ট নির্নয় করার জন্য এই ধরনের বারকোড এর ব্যবহার করা হচ্ছে। 

বারকোড এর ইতিহাস | History Of Barcode

এই বারকোড এর সর্বপ্রথম সূচনা হয়েছিলো ১৯৪৮ সালে ৷ উক্ত সময়ে বারনার্ড সিলভার নামের একজন ব্যক্তি ছিলেন, যিনি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ড্রেক্সেল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র  ছিলেন।

আর সেই সময়ে তিনি Barcode এ ধারনা তৈরি করেন ৷ আর সে সময়ে তিনি এই কাজ কে সফল করার জন্য তার এক বন্ধুকে যুক্ত করেন।

আর সেই বন্ধুর নাম হলো, নরম্যান জোসেফক। আর এরা দুজনেই সেই সময়ে এই বারকোড এর বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে কাজ শুরু করেন।

তবে শুরুর দিকে এই বারকোড গুলো তৈরি করার জন্য অতিবেগুনি রঙ্গের কালি ব্যবহার করা হতো।

কিন্তুু Bar Code এ এই অতিবেগুনী রঙ্গটি সহজে উঠে যায় এবং খরচের দিক থেকেও অনেক বেশি হয়ে যাচ্ছিল।

যার কারণে, এই ধরনের বারকোড ব্যবহারে বেশ বাধাগ্রস্থ হওয়ার কারনে বারনার্ড সিলভার পুনরায় বারকোড কে আরো বেশি উন্নত করার চেস্টা অবহ্যত রাখেন।

এর পরবর্তী সময়ে অর্থ্যাৎ, ১৯৪৯ সালে বারনার্ড সিলভার “Classifying Apparatus and Method” এর জন্য একটি বিশেষ ধরনের পেন্টেন্ট এর জন্য আবেদন করেন।

এরপর ১৯৫২ সালের ৭ অক্টোবর তাদের আবেদন করা পেটেন্ট কে ইস্যু করা হয়।

এবং তারপর বারনার্ড সিলভার তার তৈরি করা বারকোড কে আরো বেশি উন্নত করতে সক্ষম হয়। যে উন্নত Barcode গুলো আমরা এখনও দেখতে পাচ্ছি। 

তবে এই বার কোড এর ব্যবহার প্রথম দেখা যায় মার্কিন দেশের  রেলপথ সংগঠনে ১৯৬০ সালে।

বারকোড স্ক্যানার বা বারকোড রিডার কি?

উপরের আলোচনা থেকে বারকোড কি এবং Barcode এর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তো এবার আপনাকে আরো একটি বিষয়ে জেনে নিতে হবে।

সেটি হলো, বারকোড স্ক্যানার বা বারকোড রিডার কাকে বলে। কেননা, আপনার জন্য Barcode কি সেটি জানা যেমন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

ঠিক তেমনি ভাবে Barcode Scanner সম্পর্কে জেনে নেয়াটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে চলুন এবার সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

দেখুন, আমরা বিভিন্ন সময়ে নানা রকম পন্যের গায়ের উপরে এই ধরনের সমান্তরাল রেখার বারকোড গুলো দেখতে পাই।

কিন্তুু আপনি যদি এই Code গুলোর মানে বুঝতে চান। তাহলে আপনি কোনো ভাবে এই কোডের ভেতরে থাকা মানেটা কে খুজে পাবেন না।

কারণ এর ভেতরে থাকা মানেটা বুঝতে হলে প্রয়োজন হবে বিশেষ এক ধরনের Scanner এর।

আর যে ধরনের স্ক্যানার দিয়ে এই বারকোড গুলোর মানে বোঝা যায়। তাকেই বলা হয়ে থাকে, Barcode Scanner.

অপরদিকে এই বারকোড স্ক্যানার গুলো কে আবার ভিন্ন নামে ডাকা হয়। সেই নামটি হলো, Price Scanner কিংবা Point of sells scanner.

ভলে রাখা ভালো যে, বিশেষ এই স্ক্যানার গুলো তে এক ধরনের অপটিক্যাল স্ক্যানার কে যুক্ত করা হয়ে থাকে।

এই ধরনের অপটিক্যাল স্ক্যানার গুলো তে থাকা লেন্স এবং আলোর উৎস গুলো বিশেষ ভাবে কাজ করে থাকে।

কেননা, এই লেন্স এবং আলোর উৎসের সমন্বয়ে তা ইলেকট্রিক সিগন্যালে পরিনত হয়। কেননা, বারকোড এর ভেতরে থাকা কালো রংঙ্গের দাগ গুলোতে অনেক কম আলো প্রতিফলিত হয়।

অপরদিকে যে সাদা রংঙ্গের দাগ থাকে, সেগুলো তে অনেক বেশি আলো প্রতিফলিত হয়। যার কারনে এই দাগ গুলোর মধ্যে যখন স্ক্যানার দিয়ে আলো ফেলা হয়।

তখন আলোর কম বেশি হওয়ার কারনে এক ধরনের ইলেকট্রিক সিগন্যালে পরিনত হয়। এবং এই সিগন্যাল কে কম্পিউটার এর মধ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

আর ঠিক এভাবেই আমরা কোনো এক বা একাধিক বার কোড এর ভেতরে থাকা তথ্যকে জেনে নিতে পারি। 

বারকোড কিভাবে কাজ করে ? | How Does Barcode Work ?

আজকের দিনে আমরা যতগুলো Barcode কে দেখতে পাই, এই সবগুলোই মূলত এক একটি সাংকেতিক চিহ্নের সমষ্টি।

আর এই সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে নিজের পন্য কে প্রকাশ করার লক্ষ্যে এখন বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই ধরনের Bar Code গুলো কে ব্যবহার করা হয়ে আসছে।

কেননা, এখন যে পরিমানে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আছে। মূলত এই ধরনের প্রতিষ্ঠান গুলো ব্যাপক হারে এই বারকোড এর ব্যবহার করে আসছে।

কেননা, এই ধরনের প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের পন্যের উপরে থাকা এই বারকোড গুলোর মাধ্যমে তাদের পন্যের সেল এবং গুনগত মান কে তাদের নিজস্ব ডাটাবেজ থেকে জেনে নিতে পারে।

আর সেই Barcode গুলোতে থাকা যে সব সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। সেগুলো মূলত পূর্বে থেকেই তাদের ডাটাবেজে জমা করা থাকে।

এবং পরবতী সময়ে খুব সহজেই এই চিহ্ন গুলোর মাধ্যমে তাদের যে কোনো ধরনের পন্যের তথ্য খুজে পাওয়া যায়।

তাই বলা যায়, কোনো একটি বড় প্রতিষ্ঠান তাদের অজস্র পন্যের হিসেব থেকে শুরু করে।

তাদের পন্যের গুনগত মানের উপর ভিত্তি করে পন্য কে আলাদা করার কাজের জন্য Barcode বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

আর সে কারনে আজকের দিনে ব্যাপক হারে এই আধুনিক প্রযুক্তি কে ব্যবহার করা হচ্ছে। 

বারকোডের প্রকারভেদ | Types Of Barcode

বারকোড কি ( what is Barcode in bangla) আশা করি এই বিষয়ে আপনার মনে আর কোনো প্রশ্নের অবকাশ নেই।

কেননা, উপরের সম্পূর্ন আলোচনা তে আমি Barcode কি তা নিয়ে পরিস্কার ভাবে আলোচনা করেছি।

তো এখন আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকতে পারে যে, বারকোড আসলে কত প্রকার ও কি কি। আর সেজন্য এবার আমি Kind of Barcode নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

যেন আপনার এ বিষয়ে কোনো কিছু অজানা না থাকে।

দেখুন, আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে যেসব বারকোড দেখতে পাই। সেগুলো কে মূলত মোট ২ টি ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। সেগুলো হলোঃ 

  1. একমাত্রিক বা 1D বারকোড এবং
  2. দ্বিমাত্রিক বা 2D বারকোড

তবে জানার বিষয় হলো, প্রতিটা Barcode তো দেখতে একই রকমের হয়ে থাকে।

তাহলে কি কারন ভেদে একে ২ টি ভাগে ভাগ করা হলো ? – যদি আপনি এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চান। তাহলে নিচের আলোচিত আলোচনায় নজর দিন। তাহলে সবকিছু বুঝতে পারবেন। 

একমাত্রিক বারকোড বা 1D Barcode কি? 

আজকের দিনের বিভিন্ন ধরনের ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি গুলো এই ধরনের 1D Barcode গুলো ব্যবহার করে থাকে।

তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে উৎপাদিত হওয়া বিভিন্ন ধরনের পন্য যেমন, Cream, Oil, Pen ইত্যাদি পন্যের গায়ের উপরে এই ধরনের একমাত্রিক বারকোড কে ব্যবহার করা হয়।

কারন এই 1D Barcode এর একটা বিশেষ ধরনের গুন আছে। সেটি হলো, এর সাহায্য খুব দ্রুততার সাথে কোনো পন্যের প্যাকেজিং কে ট্রাক করা যায়।

আপনি আরো পড়তে পারেন…

বারকোড আবিস্কার হওয়ার পর থেকে এখন অবধি এই ধরনের 1D Barcode কে শুধুমাত্র লাইন বা স্পেস দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে।

এবং এর মধ্যে যে ধরনের কোড ব্যবহার করা হয়। সেই কোড গুলোর মধ্যে নির্দিষ্ট কোনো পন্যের Colour, Size এর যাবতীয় তথ্য গুলো কে জমা করে রাখা হয়।

যাতে করে পরবর্তী সময়ে ঐ পন্য গুলো কে খুব সহজেই ডিটেক্ট করা যায়। 

দ্বিমাত্রিক বারকোড বা 2D Barcode কি? 

সহজ ভাষায় বলতে গেলে, আমরা 1D Barcode কে যতোটা সহজভাবে বুঝতে পারি। তার থেকে একটু কঠিন হলো দ্বিমাত্রিক বারকোড।

 এখানে আপনি শুধু কোনো পন্যের তথ্য নয় বরং আরো বিভিন্ন রকমের পন্যের ডকুমেন্টস জমা করে রাখতে পারবেন।

যেমন, কোনো একটি প্রতিষ্ঠান চাইলে এই 2D Barcode এর মাধ্যমে তাদের কোনো পন্যের Lavel, Price সহো অন্যান্য যেসব পারিপার্শ্বিক বিষয় আছে।

সেগুলোও এই দ্বিমাত্রিক বারকোড এর মাধ্যমে জমা করে রাখতে পারবেন।

এছাড়াও আপনি এই 2D বারকোড এর সাহায্য আপনার কোনো পন্যের ছবি কে জমা করে রাখতে পারবেন।

আর সে কারনে একে আরও একটি ভিন্ন নামে ডাকা হয়। সেটি হলো, QR যার পূর্নরুপ হলো, Quick Response Barcode. অবাক করার মতো বিষয় হলো, এরা প্রায় ২০০ টির মতো সংখ্যা বা ক্যারেক্টার কে মজুদ রাখতে পারে। 

বারকোড কিভাবে তৈরী করে ? | How To Create Barcode?

প্রযুক্তির এই যুগে এসে যেমন বারকোড এর ব্যবহার পর্যায় ক্রমে বাড়তে শুরু করেছে ৷ ঠিক তেমনি ভাবে এটি প্রস্তুত করার মাধ্যমটাও অনেক সহজ থেকে সহজতর হয়ে উঠছে ৷

কেননা, ১৯৪৮ সালে বারনার্ড সিলভার এর মতো আপনাকে আর ভাবতে হবেনা যে, কিভাবে এটিকে তৈরি করতে হবে।

কেননা, এখন এমন অনেক সহজ এবং সরল মাধ্যম প্রস্তুুত করা হয়েছে। যে মাধ্যম গুলো কে কাজে লাগিয়ে আপনি খুব দ্রুততার সাথে আপনার পছন্দের মতো বারকোড তৈরি করে নিতে পারবেন।

তো চলুন এবার সেই মাধ্যম গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়া যাক। 

০১| Barcode Creator Company 

এখনকার দিনে এমন অনেক ধরনের ছোট বড় কোম্পানি আছে। যাদের মূল কাজ হলো মানুষের চাহিদা অনুযায়ী প্রফেশনাল মানের Barcode কে তৈরি করে দেয়া।

এখন আপনি যদি বড় কোনো প্রতিষ্ঠান কে পরিচালনা করে থাকেন। এবং যদি আপনি চান যে, আপনার প্রতিষ্ঠানে তৈরি করা পন্য গুলোতে এই ধরনের প্রফেশনাল মানের বারকোড ব্যবহার করবেন।

তাহলে আপনি সেই Barcode Creator Company গুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই এই কাজ টি করতে পারবেন ৷ 

০২| Barcode Generating Programmes 

আজকের দিনে অনলাইন প্লাটফর্ম আসার পর থেকে আমরা অনেক কিছুকে নিজের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। যার ফলে আমরা অনেক বড় বড় কাজ গুলো কে খুব সহজভাবে করতে পারছি এই অনলাইন প্লাটফর্ম কে কাজে লাগিয়ে।

ঠিক তেমনিভাবে এখনকার দিনে আপনি চাইলে অনলাইনে থাকা বিভিন্ন Barcode Generating Tools এর মাধ্যমে আপনার চাহিদা অনুযায়ী বারকোড তৈরি করে নিতে পারবেন ৷

তবে এক্ষেত্রেও আপনাকে কিছু পরিমান টাকা ব্যয় করার প্রয়োজন হবে। কিন্তুু আপনি চাইলে অনলাইনে থাকা বিভিন্ন ওয়েবসাইট এর মাধ্যমেও কাজটি করতে পারবেন।

তবে বিনামূল্যে তৈরি করা এই বারকোড গুলো তেমন একটা প্রফেশনাল মানের হবে না ৷ 

বারকোড জেনারেটর কিভাবে কাজ করে ?

এই আর্টিকেল এর শুরু থেকে এখন অবধি আপনি বারকোড রিলেটেড অনেক অজানা বিষয়ে জানতে পেরেছেন।

যেমন, সবার শুরুতে আপনি জেনেছেন যে, বারকোড কি, কেন বারকোড ব্যবহার করা হয় এবং Kind Of Barcode সম্পর্কে।

তো এবার আপনার মাথায় একটি প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খেতে পারে। সেটি হলো, এই বারকোড জেনারেটর আসলে কিভাবে কাজ করে। তো চলুন এবার সে বিষয়ব আলোচনা করা যাক। 

  1. কোনো একটি Barcode তৈরি করার প্রথমে যে দিকটি বিশেষ ভাবে নজরে রাখতে হয়। সেটি হলো, ঐ কোডের ভেতরে আসলে কি কি তথ্য প্রবেশ করাতে হবে। সেই তথ্য গুলো কে সংগ্রহ করা।
  2. এবং গুরুত্বপূর্ণ এই তথ্য গুলো মূলত স্ট্রিং আকারে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। 
  3. এরপর স্ট্রিং আকারে সংগ্রহ করা সেই তথ্য গুলো কে Numerical অথবা Binary তে কনভার্ট করে থাকে। 
  4. যখন আপনার দেওয়া তথ্য গুলো বাইনারি তে কনভার্ট হয়ে যাবে। তখন সেই তথ্য গুলো লাইন আর স্পেস এর মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়। 

একটা কথা বলে রাখা ভালো যে, এই ধরনের বারকোড গুলো তে কোনো প্রকার ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা।

তবে আপনি যদি কোনোভাবে এই বারকোড গুলো জেনারেট করতে ভুল করেন।  তাহলে কিন্তুু স্ক্যান করে কোনো প্রকার ফলাফল পাবেন না। 

বারকোড কেন ব্যবহার করা হয় ? | Why Barcode Is Used?

আপনি উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছেন যে, বারকোড এর মধ্যে কোনো প্রকার ভুলভ্রান্তি থাকেনা। আর যদিওবা এরকম কোনো ভুল থাকে, তাহলে আপনি এই কোড কে স্ক্যান করে কোনো প্রকার ফলাফল পাবেন না।

তো এই ত্রুটিবিহীন ফলাফল দেয়ার কারনে একটি প্রতিষ্ঠান তার পন্যের বিভিন্ন তথ্য প্রদান করতে পারে।

এর পাশাপাশি সেই পন্যের ইউজাররা উক্ত পন্যের সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

যেমন, আপনি একটি সাবান কিনতে গেলেন। এখন সেই সাবান কোম্পানি উক্ত সাবানের প্যাকেটে বারকোড এর মাধ্যমে যে দাম নির্ধারন করে দিবে।

দোকানদার আপনার কাছে সেই টাকা নিয়ে সাবান বিক্রি করবে। এর কারণ হলো এই Barcode গুলোকে পরবর্তী সময়ে কেউ এডিট করতে পারবে না।

তো এইসব সুবিধার কারনেই মূলত Barcode কে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

বারকোড নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

এবার আমি কিছু প্রশ্নের উত্তর দিবো, যে প্রশ্ন গুলো মানুষ প্রতিনিয়ত গুগলে Search করে থাকে। কিন্তুু সার্চ করলেও বাংলা ব্লগ গুলোতে এই প্রশ্ন গুলোর তেমন কোনো সঠিক উত্তর নেই।

তাই এবার আমি পর্যায়ক্রমে সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার চেস্টা করবো। তো চলুন এবার সে গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক। 

০১| বারকোড রিডার কাকে বলে ?

বারকোড রিডার হল একটি সফ্টওয়্যার বা হার্ডওয়্যার যা মুদি দোকান গুদাম এবং অন্যান্য খুচরা প্রতিষ্ঠানের পণ্যগুলিতে বারকোড স্ক্যান করতে ব্যবহৃত হয়।

একবার কোডটি ডিভাইস দ্বারা পড়া এবং ডিকোড করা হয়ে গেলে এটি রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে পণ্য সম্পর্কে তথ্য একটি কম্পিউটারে প্রেরণ করবে যা তারপর ইনভেন্টরি পরিচালনার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রথম বারকোড পাঠকরা দূর থেকে বারকোড ক্যাপচার করতে লেজার এবং অপটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিলেন।

এই ডিভাইসগুলি বেশ ভারী এবং ব্যাপক ব্যবহারের জন্য খুব ব্যবহারিক ছিল না।

রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন (RFID) প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য আধুনিক দিনের ইউনিটগুলি অনেক ছোট যা তাদের কার্যকারিতা বা নির্ভুলতার সাথে আপস না করে খুচরা কর্মপ্রবাহে একীভূত করা সহজ করে তোলে।

ছোট করে বললে, একটি বারকোডকে স্ক্যান করার পর সেই কোড এর মধ্যে কি কি তথ্য আছে ৷ সেটি দেখার জন্য বিশেষ কিছু সফটওয়্যার বা অ্যাপস এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।

আর এই ধরনের Apps বা Software কে বলা হয় Barcode Reader.

০২| বারকোড রিডার এর কাজ কি ?

বারকোড স্ক্যানার হল একটি হ্যান্ডহেল্ড ডিভাইস যা মূলত আপনাকে আপনার পণ্যগুলির বারকোডগুলি স্ক্যান করতে দেয়।

একটি বারকোড রিডার হল একটি সফ্টওয়্যার উপাদান যা অন্ধকার এবং হালকা লাইনের প্যাটার্ন পড়তে এবং চিনতে পারে যা সাধারণত সংখ্যা অক্ষর বা অন্যান্য ডেটা উপস্থাপন করে।

এটি বারকোডের চিত্রটিকে তার আসল তথ্যে (যেমন একটি পণ্য আইডি নম্বর) ডিকোড করে। এই প্রক্রিয়াটিকে অপটিক্যাল ক্যারেক্টার রিকগনিশন (OCR) বলা হয়।

Barcode এ থাকা সমস্ত তথ্য কে স্ক্যান করে সেই তথ্য গুলো প্রদর্শন করাই হলো বারকোড রিডার এর মূল কাজ। 

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের জন্য বারকোড স্ক্যানার কীভাবে ব্যবহার করবেন ?

বারকোড স্ক্যানার হল একটি অ্যাপ যা বারকোড স্ক্যান করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই অ্যাপটি পণ্যের দাম উপাদান এবং পর্যালোচনার মতো তথ্য পেতে পণ্যের বারকোড স্ক্যান করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।

বারকোড স্ক্যানারটি QR কোডগুলি স্ক্যান করতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

আপনি এই এপ দ্বারা খুব সহজেই মোবাইল থেকে বারকোড স্ক্যান করতে পারবেন QR & Barcode Scanner.

০৩| বারকোড কি নকল করা যায় ? 

বারকোডগুলি আধুনিক বিশ্বের একটি অপরিহার্য অংশ এবং তারা খুচরা এবং উত্পাদন শিল্প উভয় ক্ষেত্রেই একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে ৷

বারকোডগুলি কীভাবে কাজ করে এবং কী সেগুলিকে অনন্য করে তোলে তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনি আপনার বারকোড ডেটার যথার্থতা নিশ্চিত করতে পারেন ৷

দেখুন, যখন আপনি ত্রুটিবিহীন ভাবে কোনো একটি বারকোড তৈরি করবেন ৷ এরপরে সেই কোড গুলোকে এডিট করার কোনো প্রকার সুযোগ থাকে না।

যার কারণে আমার দৃষ্টিকোণ থেকে বারকোডকে নকল করা সম্ভব নয় ৷ 

০৪| বারকোড কোথায় দেখা যায় ? 

 পূর্বের দিন গুলোতে ট্রেনকে শনাক্ত করার জন্য বারকোডের ব্যবহার করা হতো। কিন্তুু বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার পন্যের উপর বারকোড দেখতে পাওয়া যায়। 

আপনি বারকোড স্ক্যানার অনলাইন এ খুঁজে পেতে পারেন। কখনও কখনও বারকোডগুলি ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা হয় এবং আপনি বিজ্ঞাপনের একটি স্ক্রিনশট নিয়ে এই বারকোডগুলি দেখতে পারেন ৷

আপনি আরো দেখতে পারেন…

বারকোড কি নিয়ে কিছুকথা 

প্রযুক্তির এই যুগে Barcode এর ব্যবহার ক্রমাগত ভাবে বেড়ে উঠছে। তাই এই সময়ে এসে Barcode কি, তা জেনে নেয়াটা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

আর আজকে আমি বারকোড কি, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

এরপরও যদি আপনার মনে বারকোড নিয়ে কোনো প্রকার প্রশ্ন থাকে। তাহলে নিচে কমেন্ট করুন।

আর এমন সব অজানা বিষয় সহজ ভাষায় জানতে হলে Bangla it blog এর সাথে থাকুন। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top