ব্যাকআপ এর অর্থ কি । Backup এর কাজ কি । Backup meaning in Bengali

ব্যাকআপ এর অর্থ কি : What is Backup meaning in Bengali ? আমরা যারা বিভিন্ন ডিভাইসের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করি।

ব্যাকআপ এর অর্থ কি – Backup meaning in Bengali
ব্যাকআপ এর অর্থ কি

তারা অবশ্যই এই ব্যাকআপ শব্দটির সাথে গভীর ভাবে পরিচিত। কেননা যখন আমরা একটি ডিভাইসের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করি।

তখন আমাদের বিভিন্ন ডাটা স্টোর হয়ে থাকে। আর পরবর্তী সময়ে সেই ডাটা গুলো ব্যবহার করার জন্য সংরক্ষণ করার প্রয়োজন হয়।

আর যখন আপনি এই ধরনের ডেটা গুলো সংরক্ষণ করতে যাবেন। তখন আপনি অবশ্যই ব্যাকআপ শব্দের সাথে পরিচিত হবেন।

তবে আমাদের মধ্যে এমন অনেকে আছেন। যারা মূলত জানেনা যে, Backup এর বাংলা অর্থ কি, Backup অর্থ কি। এর পাশাপাশি আপনি এমন অনেক মানুষ কে খুঁজে পাবেন।

যারা মূলত বলতে পারবে না যে, Backup কি, ব্রেকআপ অর্থ কি এবং Backup কাকে বলে ।

আর আপনি যেন এই বিষয় টি সম্পর্কে সঠিক ভাবে জানতে পারেন। সে জন্য মূলত আজকের এই আর্টিকেল টি লেখা হয়েছে।

কারণ আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাকে ব্যাকআপ সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব।

যেমন, প্রথমত আপনি জানতে পারবেন যে ব্যাকআপ এর অর্থ কি। সেই সাথে Backup মানে কি সে সম্পর্কেও আমি আপনাকে পরিষ্কার ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

আর আপনি যদি ব্যাকআপ সম্পর্কে তো এই সব যাবতীয় বিষয় গুলো একবারে সহজ ভাষায় জেনে নিতে চান।

তাহলে অবশ্যই আপনাকে আজকের পুরো লেখা টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। তো চলুন আর দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক যে ব্যাকআপ এর অর্থ কি।

Backup মানে কি – Backup Meaning in Bengali

আধুনিক বিশ্বে, “ব্যাকআপ” শব্দের বিভিন্ন অর্থ রয়েছে। [su_highlight background=” #ffd4a1″]একটি ব্যাকআপ হল গুরুত্বপূর্ণ ডেটার একটি ডুপ্লিকেট কপি যা মূলটি হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে ফাইলগুলি পুনরুদ্ধার করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।[/su_highlight]

কম্পিউটিং-এ, ব্যাকআপ হল ডেটার একটি অনুলিপি যা ক্ষতি বা ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য তৈরি করা হয়। এবং বাংলায়, “ব্যাকআপ” শব্দের অর্থ “সহায়তা” বা “সহায়তা”।

আপনি যখন কম্পিউটার অথবা মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন। তখন আপনার সেই ডিভাইসের সাহায্য বিভিন্ন প্রকারের ডাটা আদান প্রদান হয়ে থাকবে।

এবং আপনি যদি সেই ডেটা গুলো কে পরবর্তী সময়ে কাজে ব্যবহার করার জন্য সংরক্ষণ করতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ব্যাকআপ রাখতে হবে।

আর যখন আপনি সেই ডেটা গুলো কে ব্যাকআপ রাখতে পারবেন। তখন আপনি পরবর্তী সময়ে সেই ডেটা গুলো কে পুনরায় ব্যবহার করতে পারবেন।

তো আপনি যে আপনার এই ডেটা গুলো কে সংরক্ষণ করে রাখলেন। সেটা কে সহজ ভাষায় বলা হয়ে থাকে, ব্যাকআপ।

তবে এটি শুধুমাত্র ইন্টারনেট এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। বরং ইন্টারনেট বাদে আরো অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রেও এই ব্যাকআপ এর প্রয়োজন হয়ে থাকে।

মনে করুন, আপনি একজন ভিডিও এডিটর। এবং আপনি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভিডিও এডিট করে থাকেন।

সেক্ষেত্রে একটি ভিডিও এডিট করার সময় ঘন্টার পর ঘন্টা বসে কাজ করতে হয়।

এখন আপনি এ কম্পিউটারের মধ্যে একটি সফটওয়্যারে ভিডিও এডিট করার পরে যদি হুট করে লোডিং হয়।

তাহলে কিন্তু আপনার সফটওয়্যার এর ভেতরে থাকা যাবতীয় ডেটা গুলো একবারে হারিয়ে যাবে।

কিন্তু আপনি যদি সেই ডেটা গুলো কে ব্যাকআপ রেখে দেন।

তাহলে পরবর্তী সময়ে আপনি উক্ত ডাটা গুলো কে ব্যবহার করে পুনরায় আগের অংশ থেকে ভিডিও এডিট করতে পারবেন।

মূলত এভাবে আপনি আপনার যে ডেটা গুলো কে সংরক্ষণ করে রাখছেন। তাকে সহজ ভাষায় বলা হয়ে থাকে ব্যাকআপ।

ব্যাকআপ এর অর্থ কি ? (Meaning of backup)

ব্যাকআপ মানে কি সে সম্পর্কে আপনি উপরে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। তবে এখন যদি আপনাকে প্রশ্ন করা হয় যে, এই ব্যাকআপ এর অর্থ কি।

তাহলে কি আপনি তার সঠিক উত্তর দিতে পারবেন। হয়তো অনেকের কাছে এই প্রশ্নটির সঠিক উত্তর জানা নেই।

আর সে কারণে এবার আমি আপনাকে ব্যাকআপ এর অর্থ কি তা বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করব। চলুন তাহলে এবার সে সম্পর্কে একটু আলোক পাত করা যাক।

এবং ব্যাকআপ এর অর্থ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

যদিওবা এই backup শব্দ টি হলো একটি ইংরেজী শব্দ। তবে যদি আপনি এই ইংরেজি শব্দের বাংলা অর্থ সম্পর্কে জানতে চান।

তাহলে আমি আপনাকে বলব যে। এই ব্যাকআপ এর অর্থ হল বিকল্প ব্যবস্থা। কিন্তু ব্যাকআপ এর বাংলা অর্থ বিকল্প ব্যবস্থা হলেও।

যখন আপনি কম্পিউটার দুনিয়ার মাধ্যমে এই ব্যাকআপ শব্দটির ব্যবহার করবেন। তখন এর অর্থ দাঁড়াবে নির্দিষ্ট কোন ডেটা বা তথ্য কে সংরক্ষণ করে রাখা।

অর্থাৎ আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করার সময় যে ডেটা গুলো আদান প্রদান করি। সেই ডেটা গুলো পরবর্তী সময়ে ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়ে থাকে।

এবং আমরা যেন সেই প্রয়োজন কে সঠিক ভাবে মেটাতে পারি।

সে জন্য উক্ত ডেটা গুলো কে নির্দিষ্ট স্টোরেজ এর মধ্যে সংরক্ষণ করে রাখা হয়। যাকে কম্পিউটার দুনিয়া তে বলা হয়ে থাকে, ব্যাকআপ।

ডাটা ব্যাকআপ কি ?

উপরের আলোচনা থেকে আপনি ব্যাকআপ এর অর্থ কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। তবে এখন অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে।

আর সেই প্রশ্নটি হল যে, ডাটা ব্যাকআপ কি। তো আপনার মনে যদি এই ধরনের প্রশ্ন জেগে থাকে।

তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, বর্তমানে আপনি কোন না কোন একটি ডিভাইসের মাধ্যমে আমার এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন।

এখন আপনি আপনার এই ডিভাইস থেকে ইন্টারনেটের সাহায্য কোন কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছেন। সে ডেটা গুলো আপনি সংরক্ষণ করতে চান।

এবং পরবর্তী সময়ে আপনার সংরক্ষিত সেই ডেটা গুলোর মাধ্যমে পুনরায় আবার সেই ওয়েবসাইট গুলো তে প্রবেশ করতে চান।

এ ক্ষেত্রে আপনার ব্রাউজার এর মধ্যে যে হিস্টরি রয়েছে। সেখানে যাবতীয় সংরক্ষণ করে রাখা আছে। এখন আপনি চাইলে সংরক্ষিত সেই ডেটা গুলোকে নির্দিষ্ট কোন স্টোরেজ এর মধ্যে জমা করে রাখতে পারবেন।

এবং পরবর্তী সময়ে সেই ডেটা গুলোর মাধ্যমে পুনরায় আপনার আগে ভিজিট করা ওয়েবসাইট গুলোতে প্রবেশ করতে পারবেন।

মূলত একেই বলা হয়ে থাকে, ডাটা ব্যাকআপ

ব্যাকআপ এর সংজ্ঞা (Backup Definition)

সহজ কথায় বলতে গেলে ব্যাকআপ হল এমন এক ধরনের বিশেষ প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে আপনি আপনার ডিভাইসের মধ্যে প্রাইমারি ডেটা গুলো কে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।

অপর দিকে আমরা বিভিন্ন বিষয় কে কপি (Copy) করে রাখি। মূলত ব্যাকআপ হলো এই ধরনের বিশেষ একটি প্রক্রিয়া।

যার মাধ্যমে আপনি কোন একটি ডেটা কে স্টোরেজ এর মধ্যে কপি করে রেখে দিতে পারবেন।

এবং পরবর্তী সময়ে সেই ডেটা গুলো কে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারবেন।

যদিও বা আমাদের ব্যবহার করা ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস যেমন, কম্পিউটার অথবা মোবাইল এর মধ্যে সাময়িক সময়ের জন্য এই ধরনের ডেটা গুলো কে সংরক্ষণ করে রাখা হয়।

কিন্তু আপনি যদি স্থায়ী ভাবে আপনার ডেটা গুলো কে সংরক্ষণ করে রাখতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ব্যাকআপ করতে হবে।

তথ্যের ব্যাকআপ রাখা কেন গুরুত্বপূর্ণ ?

উপরের আলোচনা থেকে ব্যাকআপ এর অর্থ কি এবং ব্যাকআপ কাকে বলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পরে।

এবার অনেকের মনে একটি প্রশ্ন জেগে থাকবে। আর সেই প্রশ্ন টি হল যে, তথ্যের ব্যাকআপ রাখা কেন গুরুত্বপূর্ণ।

অর্থাৎ এমন কোন কারণ রয়েছে যে কারণ গুলোর জন্য আমাদের বিভিন্ন ধরনের ডেটা গুলো কে ব্যাকআপ রাখতে হয়।

তো আপনি যদি এই বিষয় টি সম্পর্কে একবারে পরিষ্কার ভাবে জানতে চান।

তাহলে আপনাকে একটু বিস্তারিত আলোচনার মধ্যে প্রবেশ করতে হবেম যাতে করে আপনি একবারে পরিষ্কার ধারণা নিতে পারেন।

যে তথ্যের ব্যাকআপ রাখা কেন গুরুত্বপূর্ণম চলুন এবার তাহলে সেই বিষয় টি সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

মনে করুন, আপনি ভিডিও গান দেখতে অনেক পছন্দ করেন। আর আমরা সবাই জানি যে ইউটিউব এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিডিও রয়েছে।

এখন একটি মানুষের ক্ষেত্রে প্রতিটা বার ইউটিউব এর মধ্যে প্রবেশ করা। এবং ভিডিও গান দেখার সম্ভব নয়। সে কারণে আমরা আমাদের মোবাইলের মধ্যে মেমোরি কার্ড ব্যবহার করি।

অপর দিকে যদি আপনি কম্পিউটার ব্যবহার করেন। তাহলে অবশ্যই আপনার সেই কম্পিউটারে একটি হার্ডডিস্ক থাকবে। তো এই যে ডিভাইস গুলো রয়েছে।

এগুলো মূলত বিভিন্ন ধরনের ডাটা কে ব্যাকআপ রাখার জন্য কাজ করে থাকে। তবে প্রশ্ন এখানে থেকেই যাচ্ছে যে, তথ্যের ব্যাকআপ রাখা কেন গুরুত্বপূর্ণ।

চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

একটু চিন্তা করে দেখুন, আমরা গুগলের মধ্যে যখন কোন প্রশ্ন লিখে সার্চ করি। তখন গুগল সরাসরি সেই প্রশ্নের উত্তর আমাদের প্রদান করে।

তবে এই গুগল তথ্য গুলো পূর্ব থেকেই তার স্টোরেজ এর মধ্যে ব্যাকআপ করে রেখেছে। যার কারণে আমরা যখন গুগলের মধ্যে কোন কিছু লিখে সার্চ করি।

তখন গুগল তাৎক্ষণিক ভাবে সেই প্রশ্নের সঠিক উত্তর প্রদান করে থাকে। ঠিক একই ভাবে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ডেটা গুলো খুব দ্রুততার সাথে খুঁজে নেয়ার জন্য।

অবশ্যই আপনাকে আপনার সেই ডেটা গুলো কে ব্যাকআপ করে রাখতে হবে। অন্যথায় আপনি আপনার সেই প্রয়োজনীয় ডেটা গুলো একেবারে হারিয়ে ফেলতে পারেন।

ব্যাকআপ কত প্রকার?

ব্যাকআপ এর অর্থ কি এবং ব্যাকআপ কাকে বলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পাশাপাশি। এবার আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ একটি তথ্য সম্পর্কে জানতে হবে।

আর সেই তথ্য টি হলো যে, ব্যাকআপ কিন্তু বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। কেননা প্রযুক্তি উন্নয়নের সাথে সাথে সব কিছুর পরিবর্তন হয়েছে।

আর সে দিক থেকে ব্যাকআপ এর ক্ষেত্রেও আপনি অনেক ভিন্নতা দেখতে পারবেন। তো এবার আমি আপনাকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব যে, ব্যাকআপ কত প্রকার ও কি কি।

সেই সাথে প্রতিটা ব্যাকআপ এর কাজ কি সে সম্পর্কে আপনাকে পরিষ্কার ধারণা দেয়ার চেষ্টা করবো। তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যে, ব্যাকআপ কত প্রকার ও কি কি।

সম্পূর্ণ সিস্টেম ব্যাকআপ

আপনি যদি সবচেয়ে পুরাতন ব্যাকআপ পদ্ধতির কথা জেনে থাকেন। তাহলে এটি হলো ব্যাকআপ এর সনাতন পদ্ধতি। মূলত এর মাধ্যমে আপনি চাইলে একদিনের পুরো ডেটা কে ব্যাকআপ করে রেখে নিতে পারবেন।

সে ক্ষেত্রে আপনাকে বারংবার ব্যাকআপ করার জন্য কাজ করতে হবে না। বরং আপনি নির্দিষ্ট একটি সময় নির্ধারণ করে দিবেন।

এবং সেই সময় আপনার যাবতীয় ডেটা গুলো অটোমেটিক ভাবে সংরক্ষণ করে রেখে দিবে।

আর পরবর্তী সময়ে আপনি সেই সংরক্ষিত ডাটা গুলো কে ব্যবহার করতে পারবেন। আর আপনি যদি এই সনাতন পদ্ধতির ব্যাকআপ পদ্ধতিতে আপনার ডেটা গুলোকে সংরক্ষণ করে রাখতে চান।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

তাহলে আপনার সর্বোচ্চ ৪০ মিনিট থেকে শুরু করে এক ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগবে। আর এই সময়ের মধ্যে আপনার এক দিনের পুরো ডেটা গুলো ব্যাকআপ হয়ে যাবে।

ইনক্রিমেন্টাল ব্যাকআপ

যদি আপনি এই ধরনের ইনক্রিমেন্টাল ব্যাকআপ করতে চান। তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি আলাদা একটা বেনিফিট পাবেন ।কেননা যখন আপনি আপনার কোন ডেটা ব্যাকআপ রাখবেন।

তখন সেই ডেটা গুলোর মধ্যে কিছু না কিছু অবশিষ্ট থেকে যায়। যে গুলো আর ব্যাকআপ করা সম্ভব হয় না।

কিন্তু আপনি যদি ইনক্রিমেন্টাল ব্যাকআপ এর মাধ্যমে আপনার ডেটা গুলো কে সংরক্ষণ করে রাখতে চান। তাহলে আপনার পূর্ববর্তী ডাটা গুলো ব্যাকআপ হওয়ার পাশাপাশি।

যে গুলো ডেটা অবশিষ্ট থাকবে সে গুলো সংরক্ষণ হয়ে যাবে। তবে এই ডেটা গুলো আসলে কি ভাবে সংরক্ষণ হয়েছে।

এবং সংরক্ষণ করার জন্য কতটুকু সময় লেগেছে। তার কোন তথ্য আপনি জানতে পারবেন না।

বরং এটা শুধুমাত্র আপনার অবশিষ্ট ডেটা গুলো কে ব্যাকআপ করে রাখতে সহায়তা প্রদান করবে।

ফুল এন্ড ইনক্রিমেন্টাল বা সম্পূর্ণ এবং বর্ধিত ব্যাকআপ

এটি হলো ব্যাকআপ প্রক্রিয়ার সবচেয়ে উন্নত একটি প্রযুক্তি। যার মাধ্যমে আপনি তাৎক্ষণিক ভাবে আপনার সমস্ত ডেটা গুলো কে সংরক্ষণ করে রেখে দিতে পারবেন।

যেমন, আমরা আমাদের কম্পিউটার অথবা মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকি।

এবং এই কাজ গুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডেটা পরিবর্তন হয়ে থাকে। তবে এই পরিবর্তিত ডেটা গুলো কে সাথে সাথে সংরক্ষণ করা হলো ফুল এন্ড ইনক্রিমেন্টাল বা সম্পূর্ণ এবং বর্ধিত ব্যাকআপ এর মূল কাজ।

তবে আপনার ব্যবহার করা ডিভাইস টি যদি লো কনফিগারেশন এর হয়ে থাকে।

তাহলে এই ধরনের ব্যাকআপ পদ্ধতি মাধ্যমে যেটা সংরক্ষণ করতে অনেকটা সময় ব্যয় করতে হবে। এবং তা আপনার ডিভাইসের উপর বিশেষ প্রভাব ফেলবে।

ব্যাকআপ-এর লাভ এবং সুবিধা

এতক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন যে, ব্যাকআপ এর অর্থ কি। সেই সাথে ব্যাকআপ কত প্রকার ও কি কি।

তার প্রত্যেক টি বিষয় সম্পর্কে আমি বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেছি। তবে এই বিষয় গুলো জানার পাশাপাশি।

আপনাকে ব্যাকআপ এর সুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া টা অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

মূলত আপনি যদি আপনারা ডিভাইসের মধ্যে থাকা ডাটা গুলো কে ব্যাকআপ করে রাখেন।

তাহলে আপনি যে সকল সুবিধা পাবেন। সেই সুবিধা গুলো নিয়ে এবার আমি স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করব।

তো চলুন এবার তাহলে ব্যাকআপ এর সুবিধা গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

দ্রুত ফাইল অ্যাক্সেস করা যায়

আপনি যদি আপনার ডিভাইস এর সকল ডাটা গুলো কে ব্যাকআপ করে রাখেন। তাহলে আপনি বিশেষ একটি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

আর সেই সুবিধা টি হল। আপনি আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল গুলো তে খুব দ্রুততার সাথে এক্সেস করতে পারবেন। যেমন ধরুন, বিভিন্ন সময় আমাদের বেশ কিছু ফাইল খুঁজে নিতে হয়।

এবং সেই ফাইল গুলো কে ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু আপনি যদি আপনার ফাইল গুলো কে ব্যাকআপ রেখে দেন।

তাহলে আপনাকে এই খোঁজার জন্য আর সময় ব্যয় করতে হবে না। বরং আপনি অতি দ্রুততার সাথে সেই ফাইল গুলোর মধ্যে এক্সেস করতে পারবেন।

পাওয়ার ব্যর্থতার বিরুদ্ধে সুরক্ষা

দেখুন আপনি যদি কোন একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করেন। তাহলে আপনি কোন ভাবেই গ্যারান্টি দিতে পারবেন না।

যে আপনার সেই ডিভাইস টি নষ্ট হবে না। বরং এই ধরনের ডিভাইস গুলো হুট করেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আবার যখন লোডশেডিং হয় তখন আমাদের প্রয়োজনীয় ডেটা গুলো হারিয়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে।

আর আপনি যদি কোন প্রয়োজনীয় ডেটা গুলো কে ব্যাকআপ করে রাখেন। তাহলে আপনার কম্পিউটার এর মধ্যে থাকা হার্ডডিস্ক নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরেও।

আপনি সেই তথ্য গুলো কে ফিরে পাবেন। কিংবা যদি লোডশেডিং এর কারণে আপনার কম্পিউটার থেকে প্রয়োজনীয় ডেটা গুলো হারিয়ে যায়।

তাহলে কিন্তু আপনাকে বিপাকে পড়তে হবে। অপর দিকে ডেটা গুলো ব্যাকআপ রাখলে আপনার এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।

অ্যান্টি-ভাইরাসের পাশাপাশি তথ্য সংরক্ষণের সেরা প্রক্রিয়া

আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি। তারা বেশ ভালো করে জানে যে, ইন্টারনেটের মধ্যে থেকে আমাদের ডিভাইসের ভাইরাস প্রবেশ করার একটা প্রবণতা রয়েছে।

আর যখন কোন একটি ডিভাইসের মধ্যে ভাইরাস প্রবেশ করে। তখন সেই ডিভাইসের সকল নিয়ন্ত্রণ আমরা একবারে হারিয়ে ফেলি।

সেইসাথে আমরা আমাদের উক্ত ডিভাইস গুলোর মধ্যে যে প্রয়োজনীয় ডেটা গুলো রাখি। সেই ডেটা গুলো চুরি হয়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে।

কিন্তু আপনি যদি আপনার প্রয়োজনীয় ডেটা গুলো কে ব্যাকআপ করে রেখে দেন।

সে ক্ষেত্রে আপনার ডিভাইসের মধ্যে ভাইরাস দ্বারা আক্রমণ হওয়ার পরেও।

আপনি পরবর্তী সময়ে আপনার সেই ডেটা গুলোকে ফিরে পাবেন। এবং পরে আপনি সেই ডেটা গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।

ত্রুটিপূর্ণ হার্ড ড্রাইভের বিরুদ্ধে সুরক্ষা

আমাদের ব্যবহার করা কম্পিউটার ডিভাইস গুলোর মধ্যে যে হার্ড ড্রাইভ রয়েছে। সেই হার্ড ড্রাইভ কখন নষ্ট হয়ে যাবে সেই সম্পর্কে আমরা কোন নিশ্চয়তা দিতে পারব না।

আবার দীর্ঘদিন ব্যবহার করার ফলে এই হার্ড ড্রাইভ গুলো যে কোনো সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কিন্তু যদি কোন কারনে এই ডিভাইস গুলো একবারে নষ্ট হয়ে যায়।

তাহলে কিন্তু আপনার ডেটা গুলো একবারে হারিয়ে যাবে। কিন্তু ব্যাকআপ রাখার মাধ্যমে আপনি আপনার এই ডেটা গুলো কে খুব সহজেই সংরক্ষণ করতে পারবেন।

এর ফলে আপনাকে আর ডেটা হারিয়ে যাওয়ার ভয় করতে হবে না।

অপারেটিং সিস্টেম ব্যর্থ হলে পুনরুদ্ধারের সুবিধা

আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি। তারা অবশ্যই বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার কম্পিউটারের মধ্যে রাখি। এবং সেই সফটওয়্যার গুলোর মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় কাজ গুলো করি।

কিন্তু বলে রাখা ভালো যে, আমাদের প্রত্যেক টা কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ এর মধ্যে একটি করে অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে।

এবং এই অপারেটিং সিস্টেমের কারণে আমাদের কম্পিউটারে থাকা যাবতীয় তথ্য গুলো একবারে হারিয়ে যেতে পারে। কিন্তু আপনি যদি ব্যাকআপ পদ্ধতি অনুসরণ করেন।

তাহলে আপনার এই ডেটা গুলো হারিয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকবে না।

ব্যাকআপ-এর অসুবিধা

উপরের আলোচনা তে আপনি ব্যাকআপের বেশ কিছু সুবিধা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে সব সুবিধার মূল উদ্দেশ্য হলো যে, আপনার প্রয়োজনীয় ডেটা গুলো যেন হারিয়ে না যায়।

এবং সেই ডেটা গুলো কে সংরক্ষণ করার জন্য ব্যাকআপ করা হয়ে থাকে।

তবে যখন আপনি আপনার ডিভাইসের মধ্যে এই ব্যাকআপ প্রক্রিয়া চালু করবেন। তখন আপনি বেশ কিছু অসুবিধা লক্ষ্য করতে পারবেন।

আর ব্যাকআপ এর অসুবিধা গুলো সম্পর্কে এবার আমি আপনার সাথে বিস্তারিত আলোচনা করব। যাতে করে আপনি ব্যাকআপ এর অসুবিধা গুলো সম্পর্কে পরিষ্কার ভাবে জানতে পারেন।

চলুন এবার তাহলে সে সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

সময়সাপেক্ষ

যখন আপনি আপনার ডিভাইসের মধ্যে এই ব্যাকআপ প্রক্রিয়া চালু করে রাখবেন। তখন এই ব্যাকআপ হওয়ার জন্য অনেকটা সময় অপেক্ষা করতে হয়।

সেক্ষেত্রে আপনার ডাটা এর সাইজ যদি অনেক বেশি হয়। তাহলে আপনাকে আরো বেশি সময় ধরে অপেক্ষা করতে হবে।

কেননা এই ধরনের বড় বড় ফাইল গুলো কে ব্যাকআপ করতে অনেক প্রসেসিং সম্পন্ন করতে হয়। তারপরে এই ডেটা গুলো সংরক্ষণ হয়।

বারবার একই তথ্যের পুনরাবৃত্তি হয়

যদিও বা আমাদের ডিভাইসের মধ্যে থাকা ডেটা গুলো বারংবার পরিবর্তন হয় না। সেক্ষেত্রে উক্ত ডিভাইসের মধ্যে ব্যাকআপ প্রক্রিয়া চালু থাকার কারণে।

একই ফাইল বারবার সংরক্ষণ হতে থাকে। এর ফলে সংরক্ষিত হওয়া ফাইল এর পরিমাণ অনেক বেশি হয়ে যায়।

তথ্য সুরক্ষায় ঘাটতি

আপনি হয়তোবা জেনে থাকবেন যে, আমরা যখন আমাদের ডিভাইসের মধ্যে থেকে কোন ফাইল ব্যাকআপ রাখি।

তখন অবশ্যই অনলাইন এর প্রয়োজন হয়। আর অনলাইন মানে হলো হ্যাকারদের আস্তানা।

সে কারণে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো চুরি হয়ে যাওয়ার একটা ভয় অবশ্যই থাকবে।

কিছু সাধারণ ধরণের ব্যাকআপের পদ্ধতি

আমরা সচরাচর অনলাইন এর মাধ্যমে বিভিন্ন সার্ভার বা ডাটাবেজ এর সাহায্য আমাদের প্রয়োজনীয় ডেটা গুলো কে ব্যাকআপ রাখি।

তবে আপনি চাইলে একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারী হিসেবে। আরো বিভিন্ন পদ্ধতি তে আপনার প্রয়োজনীয় ডেটা গুলো ব্যাকআপ রাখতে পারবেন।

যেমন, আপনি চাইলে usb stick এর মাধ্যমে আপনার প্রয়োজনীয় ডাটা গুলো কে ব্যাকআপ রাখতে পারবেন।

এর পাশাপাশি এখন ব্যক্তি চাইলে তার external hard drive এর মাধ্যমেও তার প্রয়োজনীয় ডেটা গুলো ব্যাকআপ রাখতে পারবে।

তবে আমার দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি আপনার সুবিধা মতো যে কোনো একটি পদ্ধতি অনুসরণ করে।

আপনার ডিভাইসের প্রয়োজনীয় তথ্য গুলো কে সংরক্ষণ করে রেখে দিতে পারবেন।

ব্যাকআপ নিয়ে কিছু এক্সট্রা টিপস

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি ব্যাকআপ এর অর্থ কি। এবং ব্যাকআপ এর গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে এসব বিষয় গুলো সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি।

এবার আমি আপনার সাথে চমৎকার সব ব্যাকআপ নিয়ে এক্সট্রা কিছু টিপস শেয়ার করব। যে গুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া টা আপনার জন্য অতি প্রয়োজনীয়। যেমন:

  1. আপনি সর্বদাই একটি প্রাথমিক ব্যাকআপ রাখার চেষ্টা করবেন। এবং তার জন্য যে সকল নিয়ম আছে তা অবশ্যই অনুসরণ করবেন।
  2. আপনি যদি আপনার ব্যাকআপ হওয়ার পরে সংরক্ষিত ফাইল গুলো আরো অন্যান্য মিডিয়া তে জমা করেন। এতে করে আপনার সেই ফাইল গুলো আরো বেশি সুরক্ষিত থাকবে।
  3. তবে সবচেয়ে ভালো হয় আপনি যদি অফলাইনের মধ্যে থেকে আপনার প্রয়োজনীয় ডেটা গুলো কে ব্যাকআপ রাখেন। যেমন, আপনি যদি ইউএসবি স্টিক এর মাধ্যমে ব্যাকআপ রাখেন। তাহলে আরো বেশি সুরক্ষা ভোগ করতে পারবেন।

তো আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল গুলো ব্যাকআপ এর ক্ষেত্রে যে সকল এক্সট্রা টিপস রয়েছে। তা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। এবং আপনি অবশ্যই এই টিপস গুলো অনুসরণ করে কাজ করার চেষ্টা করবেন।

ব্যাকআপ নিয়ে আমাদের কিছু কথা

আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি। তারা কারণে কিংবা অকারণে এই ব্যাকআপ শব্দের সাথে পরিচিত।

আর আপনার যাতে এই বিষয় টি সম্পর্কে একবারে পরিষ্কার ধারণা চলে আসে। সেজন্য আজকের আলোচনা তে আমি আপনাকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি যে, ব্যাকআপ এর অর্থ কি।

এবং ব্যাকআপ কত প্রকার ও কি কি। সেই সাথে আপনি যদি ব্যাকআপ করেন। তাহলে কি কি সুবিধা ভোগ করবেন। তার প্রতিটি বিষয় কে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করা হয়েছে।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

তো আমার দীর্ঘ বিশ্বাস যে আলোচিত এই আলোচনা থেকে আপনার ব্যাকআপ সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় গুলো জানা হয়ে গেছে।

আর আপনি যদি এই ধরনের টেকনোলজি রিলেটেড অজানা তথ্য গুলো কে সহজ ভাষায় জেনে নিতে চান। তাহলে অবশ্যই আমাদের সাথে থাকবেন।

পুরো আর্টিকেল টি পড়ার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top