ব্লগার (blogger) ব্লগে আর্টিকেল লিখার নিয়ম – বাংলা আইটি ব্লগ

ব্লগে আর্টিকেল লিখার নিয়ম : আপনি কি একজন ব্লগার? আপনার কি গুগল Blogger এ একটি ব্লগ আছে? তাহলে আজকের আর্টিকেল টি আপনার জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

কারন আজকে আমি দেখাবো, “কিভাবে Blogger থেকে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখা সম্ভব “। এছাড়াও ব্লগার ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেস্টা করবো।

ব্লগার ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম
ব্লগার ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম

আমার ওয়েবসাইটে গত পোষ্টেফ্রি ওয়েবসাইট তৈরি করার বেশ কিছু প্লাটফর্ম নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। এবং সেখানে Google Blogger সম্পর্কেও বলেছিলাম।

কারন কোনো প্রকার কোডিং দক্ষতা ছাড়াই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য। সবচেয়ে উপযুক্ত প্লাটফর্ম হলো, ব্লগার (Blogger).

শুধুমাএ একটা জিমেইল দিয়ে লগ ইন করার মাধ্যমে এখানে আপনি খুব সহজেই একটি ব্লগ তৈরি করে নিতে পারবেন। এরপর একটি Domain কিনে অথবা Random Domain দিয়ে সেই ব্লগকে লাইভ করতে পারবেন।

কিন্তুু সমস্যা হলো, অনেকেই ব্লগ তৈরি করে। কিন্তুু ব্লগার ড্যাশবোর্ড থেকে কিভাবে আর্টিকেল লিখতে হয়। বা ব্লগে কিভাবে পোষ্ট লিখতে হয়?

কিভাবে সেই আর্টিকেলকে এসইও ফ্রেন্ডলি করতে হয়। সে সম্পর্কে তেমন বুঝে উঠতে পারে না।

তাই সেই সব মানুষ গুলোর কথা চিন্তা করে আজকের আর্টিকেলটি লেখা হয়েছে। কিভাবে ব্লগারের মাধ্যমে আর্টিকেল লিখতে হয়। এবং সেই আর্টিকেলকে পাবলিশ করতে হয়।

এবং ব্লগার ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে প্রত্যেকটা বিষয় স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করবো।

তাই, আপনার যদি কোনো নতুন ব্লগ থাকে। তাহলে আজকের পুরো আর্টিকেল টি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। তাহলে কথা দিচ্ছি, আজ থেকে আপনার ব্লগার ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে কোনো প্রকার সমস্যা থাকবে না। 

আর্টিকেল কি?

সবার আগে আপনাকে জানতে হবে, আর্টিকেল কি। আসলে কোন বিষয় গুলোকে আমরা Article বলে গন্য করবো? তো চলুন এবার সে সম্পর্কে একটু ধারনা নেয়া যাক।

যদি সংঙ্গায়িত করি তাহলে বলবো, যখন কোনো নির্দিষ্ট একটি বিষয়কে লেখার মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। তখন তাকে বলা হয় আর্টিকেল।

অর্থ্যাৎ, মনে করুন আপনি একজন ব্লগার। এবং আপনার এক বা একাধিক ব্লগ আছে। আপনি সেখানে লেখালেখির কাজ করে থাকেন। এখন আপনি যখন কোনো নির্দিষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে লেখালেখি করবেন।

আপনার জন্য আরো লেখা…

এবং সেই লেখাটিকে আপনার ব্লগে পাবলিশ করবেন। তখন সেই লেখাকেই বলা হবে আর্টিকেল।

তবে লেখালেখি করার টপিকটি যে কোনো বিষয়কে কেন্দ্র করে হতে পারে। যেমন, আপনি টেকনোলজি নিয়ে লিখতে পারবেন, আপনি খেলাধুলা নিয়ে লিখতে পারবেন। কিংবা পড়াশোনার বিষয়েও লিখতে পারবেন।

তবে যাই লিখুন না কেন, যদি আপনার লেখার মধ্যে মানসম্মতা বিরাজমান থাকে। তাহলে সেই লেখাকে আর্টিকেল বলে গন্য করা যাবে। 

আর্টিকেল লেখার নিয়ম

এবার আপনাকে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। আমি এই ওয়েবসাইটে বেশ কিছু পোষ্টে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। তাই আজকে শুধুমাএ ছোট্ট করে ধারনা দেয়ার চেস্টা করবো।

তো যখন আপনি আর্টিকেল লিখবেন, তখন আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ের উপর নজর রাখতে হবে। যেমন,

আর্টিকেল টপিকঃ মূলত আপনি যে বিষয়ের উপর নির্ভর করে আর্টিকেল লিখবেন। তাকেই বলা হয়, আর্টিকেল টপিক। তো যখন আপনি আর্টিকেল লিখবেন।

তখন সবার আগে আপনাকে খুজে নিতে হবে যে, আপনি আসলে কোন টপিককে কেন্দ্র করে আর্টিকেল লিখবেন।

ফোকাস কিওয়ার্ডঃ যখন আপনি আর্টিকেল লেখার টপিক খুজে পাবেন। তখন আপনাকে কিওয়ার্ড খুজে নিতে হবে। অর্থ্যাৎ, উক্ত টপিকে মানুষ যেগুলো লিখে সার্চ করে।

সেই সার্চেবল Text গুলোকে সংগ্রহ করতে হবে। এরপর আপনার লেখা আর্টিকেলে এই ফোকাস কিওয়ার্ড গুলোকে বসিয়ে দিতে হবে।

আর্টিকেল শব্দ সংখ্যাঃ একটি আর্টিকেল লেখার আগে আপনাকে মনস্থির করতে হবে যে, আপনি আসলে মোট কত শব্দের আর্টিকেল লিখবেন। তবে এই শব্দের পরিমানটা সঠিকভাবে বলা সম্ভব নয়।

কারন অনেক সময় ২ হাজার শব্দের আর্টিকেল লেখার প্রয়োজন পড়বে, আবার কখনও ৫ হাজার শব্দের আর্টিকেল লেখারও প্রয়োজন পড়বে। 

কেন ব্লগে আর্টিকেল লিখা শিখবেন?

এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, ভাই আর্টিকেল কি, সেটা তো বুঝলাম। কিন্তুু কেন ব্লগে আর্টিকেল লেখা শিখতে হবে? আর না শিখলেই বা সমস্যা কোথায়?

ওয়েল!  যেহুতু আপনি এখনও এই আর্টিকেল পড়ছেন৷ সেহুতু আপনিও আমার মতো একজন ব্লগার৷ এবং আপনারও একটি ব্লগ আছে, তাইনা? আর একজন ব্লগার হিসেবে একটা কথা জেনে রাখা উচিত যে, আর্টিকেল ছাড়া কোনো ব্লগ পূর্নতা পায় না।

কারন আপনি যখন একটি ব্লগ তৈরি করবেন। তখন আপনার ব্লগে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ভিজিটর আসবে। কিন্তুু সেই ভিজিটর গুলো এমনি এমনি আসবে না৷ বরং যখন আপনার ব্লগে কোনো বিষয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করবেন।

ঠিক তখনি আপনার ব্লগে ভিজিটর আসা শুরু করবে।

এছাড়াও আপনি টাকা ইনকাম করার স্বপ্ন দেখেন। তাহলে বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করারও সুযোগ পাবেন। আপনি যে ব্লগে আর্টিকেল লিখবেন, সেই ব্লগ থেকেও বেশ ভালো পরিমানে ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন।

অথবা আপনি যদি Writing Service প্রদান করেন। তাহলেও আপনার অনেক টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।  

কিভাবে ব্লগার ব্লগে আর্টিকেল লিখতে হয়?

আর্টিকেল কি এবং কেন আপনি আর্টিকেল লিখবেন। এতোক্ষনে সে সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা পেয়ে গেছেন। তো এবার আমার মূল টপিকে ফিরে আসবো। এবার আমরা জানবো যে, ব্লগার ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে।

দেখুন, আপনি শুধু আর্টিকেল লিখবেন এবং সেটিকে পাবলিশ করবেন। বিষয়টা কিন্তুু এমন সহজ নয়। বরং লেখার সময় আপনাকে SEO Friendly Article লেখার চেস্টা করতে হবে।

কারন যদি আপনি আপনার লেখাকে সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে টপ পজিশনে নিয়ে আসতে চাইবেন। তখন অবশ্যই আপনার লেখা আর্টিকেলকে এসইও ফ্রেন্ডলি করতে হবে।

আর যতক্ষণ না আপনার লেখা আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিন এর টপ পজিশনে আসবে না। ততোক্ষণ আপনার সাইটে আশানুরূপ ভিজিটর পাবেন না।

তো একটি আর্টিকেল কে সঠিকভাবে অপটিমাইজ করার জন্য ব্লগার এর Dashboard এ অনেক ধরনের অপশন দেখতে পারবেন। এবার প্রত্যেকটি Options সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। 

ব্লগার (blogger) ব্লগে আর্টিকেল লিখার নিয়ম

দেখুন যখন আপনি ব্লগার ব্লগে আর্টিকেল লিখবেন। তখন আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ের উপর যথেষ্ট গুরুত্বের সাথে খেয়াল রাখতে হবে। যদি আপনি উক্ত বিষয় গুলোকে স্কিপ করে যান।

তাহলে কিন্তুু আপনার পাবলিশ করা আর্টিকেলটি অসম্পূর্নই থেকে যাবে।

আপনি আরো পড়ুন…

অপরদিকে আপনি যদি কোনো অসম্পূর্ণ আর্টিকেল পাবলিশ করেন। তাহলে কিন্তুু কোনো প্রকার বেনিফিট পাবেন না। যার দরুন আপনি যে ভিজিটরকে টার্গেট করে আর্টিকেল লিখবেন। সে অনুযায়ী আপনার আশানুরূপ ভিজিটর পাবেন না।

তাই ব্লগার ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে। ব্লগের প্রত্যেকটা খুটিনাটি সম্পর্কে ধারনা রাখতে হবে। আর এখন সেই বিষয় গুলো নিয়েই আলোচনা করবো। 

#No-1: আর্টিকেল টাইটেল (Article Title)

যখন আপনি ব্লগার ব্লগে আর্টিকেল লিখবেন ৷ তখন সবার উপরে Title নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন। আপনি যে বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখবেন। সে বিষয়কে কেন্দ্র করে একটি আর্কষনীয় টাইটেল লিখে দিতে হবে। 

মানে ব্লগার ব্লগে পোস্ট লেখার শিরনাম

ব্লগার পোস্ট টাইটেল দেওয়ার নিয়ম
ব্লগার পোস্ট টাইটেল দেওয়ার নিয়ম

তবে হুট করে আপনার ইচ্ছামতো Title প্রদান করলে হবে না। বরং সেটিকে আর্কষনীয় করার চেস্টা করতে হবে। কারন যখন কেউ আপনার Targeted Keyword লিখে সার্চ করবে।

তখন সার্চ রেজাল্টে সবার আগে আপনার দেওয়া Title টি শো করবে। এবং ভিজিটর সেই টাইটেল দেখেই মনস্থির করবে যে, সে আপনার ওয়েবসাইটে আসবে কি না।

[💡PRO TIPS: কোনো আর্টিকেলের টাইটেল কে আর্কষনীয় করার জন্য আপনাকে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।]

যেমন ,

  • আপনি যে কিওয়ার্ডকে টার্গেট করে আর্টিকেল লিখবেন। সেই কিওয়ার্ডকে অন্ততপক্ষে ১ (এক) বার ব্যবহার করতে হবে।
  • আপনার টার্গেট করা Keyword কে একের অধিক বার ব্যবহার না করাই ভাল। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটে নেগেটিভ ইফেক্ট ফেলতে পারে। 
  • টাইটেলকে সর্বদাই ক্লিকবেট (Clickbait) করার চেস্টা করবেন। যেন ভিজিটর আপনার টাইটেল দেখার পর নিজে থেকেই ক্লিক করে। এর ফলে আপনি তুলনামূলক ভাবে বেশি পরিমানে ভিজিটর পাবেন। 
  • চেস্টা করবেন যেন, আপনার লেখা Title টি ৫০ থেকে ৬০ শব্দের মধ্যে হয়। এর থেকে বেশি শব্দের টাইটেল দিলে সার্চ রেজাল্টে (….) এমন দেখাবে। 

 #No-2: এইচটিএমল / কম্পোজিং (Html / Composing)

তো যখন আপনি টাইটেল লেখার পরে একটু নিচের দিকে আসবেন৷ তখন আপনি একটি Pen icon দেখতে পারবেন। যেখানে ক্লিক করলে আরও ২ টি অপশন দেখতে পারবেন।

html মোডে লেখার নিয়ম
html মোডে লেখার নিয়ম

এই দুটি অপশন হলো, 

  1. Html View এবং 
  2. Compose View 
  • html view: এখন এই দুইটি অপশন একসাথে থাকলেও। এ দুটোর কাজ কিন্তুু ভিন্ন রকমের। অর্থ্যাৎ, যখন আপনি এইচটিএমএল কোডিং এর সাহায্য কোনো আর্টিকেল লিখবেন। তখন আপনাকে html view সিলেক্ট করতে হবে।
  • Compose View: আর আপনি যদি এসব কোডিং করার ঝামেলা ছাড়াই আর্টিকেল লিখতে চান। তাহলে আপনাকে Compose view অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে।

[⚠️ Warning: যদি আপনার কোডিং রিলেটেড কোনো প্রকার ধারনা না থাকে৷ তাহলে ভুল করেও কোনো আর্টিকেল লেখা কিংবা ইডিট করার চেস্টা করবেন না। এর ফলে Layout Broken সহো নানাবিধ সমস্যা দেখা দিবে]

#No-3: Undo / Redo /Font Type /Font Size

এবার আপনি একই লে-আউটে আরও কিছু অপশন দেখতে পারবেন। এবার সে সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক।

ব্লগার পোস্টে লেখা বড় করার নিয়ম
ব্লগার পোস্টে লেখা বড় করার নিয়ম
  • #1. Undo / Redo: যখন আপনি আর্টিকেল লিখবেন। তখন ভুল করে কোনো Text বা ইমেজকে ডিলেট করে দিলে। যদি পুনরায় সেগুলোকে ফিরিয়ে নিতে চান৷ সেক্ষেএে আপনাকে Undeo বা Redo নামক আইকন গুলোকে ব্যবহার করতে হবে। 
  • #2. Font Type: এবার আপনি Text কে কাস্টমাইজড করার জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার আর্টিকেল লেখা গুলোকে যেকোনো অন্য ফন্টে রূপান্তরিত করতে পারবেন।
  • #3. Font Size: এই অপশনটি দ্বারা আপনার লেখা গুলোর সাইজ পরিবর্তন করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি যত বড় ইচ্ছা সাইজ তত ইচ্ছা অনুযায়ী এই অপশন দ্বারা বৃদ্ধি করতে পারবেন।

#No-4: Heading TAG / Font Style/ Text Colour Correction

সবার উপরে থাকা লে-আউট এর সবশেষে আপনার চোখে আরও কিছু অপশন ভেসে আসবে ৷ এবার সে সম্পর্কে একটু জেনে নেয়া যাক। 

ব্লগার পোস্টের ভিতরে হিডিং, বল্ড করার নিয়ম
পোস্টের ভিতরে হিডিং, বল্ড করার নিয়ম
  • #1. Headig TAG: তো এরপর আপনি Normal নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন ৷ মূলত এই অপশন থেকে আপনার লেখা আর্টিকেল এর Heading TAG গুলোকে সিলেক্ট করতে হবে। এখানে আপনাকে আগে কাঙ্ক্ষিত Text কে সিলেক্ট করতে হবে। এরপর সেই অপশনে ক্লিক করলে (H1 Tag থেকে H5) পর্যন্ত পেয়ে যাবেন।
  • #2. Article Font style: এগুলোকে মূলত Text Style Creator বলা হয়ে থাকে। আপনার আর্টিকেলের কোনো অংশ কে হাইলাইট করার জন্য সাধারনত Bold অথবা Etalic অথবা Underline এবং লেখার মাঝে এভাবে এইভাবে Strikethrough পারবেন। 
  • #3. Text Colour: আপনি Text Colour Customize করার এই অপশন ব্যবহার করতে পারবেন ৷ অর্থ্যাৎ আর্টিকেলকে যে কালার দিয়ে লিখতে চান। সে কালার সিলেক্ট করলে আর্টিকেলের ফন্ট কালার চেঞ্জ হয়ে যাবে।
  • #4. Text Background Color: আপনি চাইলে এই অপশন ব্যবহার করে Text এর Background Colour কে পরিবর্তন করতে পারবেন খুব সহজেই।

#No-05: Insert link/ Insert Image/ Insert Video/ Insert Special Character

আমরা যখন আর্টিকেল লিখে তার মাঝে অনেক সময়ে বিভিন্ন রকমের লিংক যুক্ত করার দরকার হয়। ইমেজ/ছবি/ভিডিও যুক্ত করা প্রয়োজন হয়ে থাকে।

ছবি/ভিডিও/লিঙ্ক দেওয়ার নিয়ম
ব্লগার পোস্টের ভিতরে ছবি/ভিডিও/লিঙ্ক দেওয়ার নিয়ম

মাঝে মাঝে স্পেশাল ক্যারেক্টার ইমোজি ব্যবহার করা প্রয়োজন হয়ে থাকে। কোন অপশনটি কি কাজে ব্যবহার করে আর্টিকেল কে আরোও সুন্দররূপে সাজানো যায় এখন তা নিয়ে আলোচনা করব।

  • #1. Insert link:  আমরা যখন আর্টিকেল লেখালেখি করি তার মাঝে অনেক সময় অন্যান্য লিংক যুক্ত করা প্রয়োজন হয়ে থাকে। ইনসার্ট লিংক অপশনে ক্লিক করে আপনার প্রয়োজনীয় লিংকটি যুক্ত করে সাথে সেই লিঙ্কে টাইটেল যুক্ত করতে পারবেন।
  • #2. Insert image: আর্টিকেল লেখার মাঝে মাঝে অনেক সময় আর্টিকেলের ভিতরে টিউটিরিয়াল রিলেটেড স্ক্রিনশট এবং অন্যান্য ইমেজ যুক্ত করা প্রয়োজন হয়। এই অপশন দ্বারা যেকোনো ইমেজ আর্টিকেলে যুক্ত করতে পারবেন।
  • #3. Insert video: যদি মনে করেন আর্টিকেলের ভিতরে কোন ভিডিও থাকা প্রয়োজন তাহলে এই অপশন দ্বারা খুব সহজেই যুক্ত করতে পারবেন। ইউটিউবের ভিডিও অথবা আপনার কম্পিউটার/মোবাইলে থাকা ভিডিও খুব সহজেই যুক্ত করে দিতে পারবেন।
  • #4. Insert special character: আর্টিকেলের ভিতরে আপনি বিভিন্ন প্রকার ইমোজি যুক্ত করতে পারবেন এই অপশন দ্বারা। এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ইমোজি যা আপনার আর্টিকেল কে আরো সুন্দর করে তুলবে।

[Pro Note: আপনার আর্টিকেলের শুরুতে যে পিকচার বা ছবি আপলোড দিবেন ঐ ছবিটা ফিচার ইমেজ/পোস্ট থাম্বানাইল হিসাবে কাজ করবে। ]

#No-06: Artical align/Increase Indent/Decrease

Indent

ব্লগার পোস্টে লেখা ডাম বাম করার করার নিয়ম
ব্লগার পোস্টে লেখা ডাম বাম করার করার নিয়ম

ব্লগার আর্টিকেল লেখার ড্যাশবোর্ডে এই অপশনটি দ্বারা আপনার আর্টিকেল এর লেখা গুলোকে খুব সহজেই এলাইন করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার লেখা গুলোকে ডানে-বামে মাঝখানে রাখার জন্য এই অপশন ব্যবহার হয়।

আপনি অবশ্যয় দেখুন…

Increase indent এবং decrease indent দ্বারাও আপনার আর্টিকেল লেখাগুলোকে অন্যরকম স্টাইল করে নিতে পারবেন।

#No-07: Bulleted point list/ Numbered point list/ Quiter Text

 

লেখাতে বুলেট পয়েন্ট যুক্ত করার নিয়ম
লেখাতে বুলেট পয়েন্ট যুক্ত করার নিয়ম

আর্টিকেল লেখা অবস্থায় অনেক সময় বুলেট পয়েন্ট, নাম্বার পয়েন্ট লিস্ট এবং বিভিন্ন রকম স্টাইলিশ আকারে ছোট ছোট প্যারা দেখার জন্য এই ফাংশন গুলো ব্যবহার হয়ে থাকে। কোনটি কি জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে চলুন দেখা যাক।

  • #1. Bulleted point list: আপনার লেখার ভিতরে যদি বুলেট পয়েন্ট যুক্ত করতে চান তাহলে এই আইকন দ্বারা খুব সহজেই আপনার লেখাকে Bulleted point করতে পারবেন।
  1. #2. Numbered point list: বুলেট পয়েন্ট এর পাশাপাশি এই নাম্বার আকারে পয়েন্ট লিস্ট আর্টিকেল এর ভিতরে যুক্ত করতে পারবেন এই ফাংশনটি বা অপশন টি ধারা।
  2. #3.Quiter Text: অনেক সময় লেখাগুলোকে একটি হাইলাইট করার জন্য নোট আকারে লেখার জন্য এই অপশনটি ব্যবহার করে থাকে ঠিক এরকম ভাবে।

Quiter Text: উধাহরণ

যাক, যদি আপনি আর্টিকেলের এই পযন্ত পড়ে থাকেন। তাহলে আশা করা যায় যে, আপনি এতোক্ষনে ব্লগারে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে অনেকখানি ধারনা নিতে পেরেছেন। তো উপরে Blogger এর টুলসবার নিয়ে আলোচনা প্রায় শেষ।

এবার আমরা Blogger Dashboard এর বেশ কিছু SEO Optimize করার অপশন সম্পর্কে জানবো। যেমন, আপনি যখন ব্লগারে আর্টিকেল লিখবেন। তখন সেই আর্টিকেলকে কিভাবে এসইও অপটিমাইজ করবেন। সে সম্পর্কে ধারনা নেয়ার চেস্টা করবো।

ব্লগার আর্টিকেল এসইও সিটিং

ব্লগার পোস্টে হিডিং, বল্ড করার নিয়ম

নিয়ম হিসেবে আপনি বেশ কিছু SEO Optimizer অপশন দেখতে পারবেন। যেমন, 

#No-08: Create Labels Of Your Blogger Article

আমরা সচরাচর যাকে TAG বলে থাকি। গুগল ব্লগারে সেটিকে বলা হয়, লেবেল (Labels). আর্টিকেল কে আলাদা আলাদা ক্যাটাগরিতে ভাগ করার জন্য এই লেভেল অপশনটি ব্যবহার হয়ে থাকে।

তাই সুবিধা বা অসুবিধার কথা না ভেবে আপনাকেও এই অপশনটিকে কাজে লাগানো উচিত। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ভাই কিভাবে আমি এই অপশনকে কাজে লাগাবো?

বেশ সেজন্য আপনাকে খুজে নিতে হবে যে আপনি আসলে কোন টপিকে আর্টিকেল লিখছেন। এরপর সেই টপিক রিলেটেড ক্যাটাগরি নাম অথবা লেভেল নাম লিখে দিবেন।

[💡NOTE: কোনো একটি আর্টিকেল Rank করার পেছনে অনেক কারন থাকে। গুগল শুধুমাএ সেইসব আর্টিকেল গুলোকে টপ পজিশনে নিয়ে আসে। যে গুলো সব দিক থেকে পরিপূর্ণ থাকে। তাই আপনার কোনো বিষয়ে অবহেলা করা উচিত হবে না]

#No-09: Published On Option for blogger

এই অপশনটি দ্বারা আপনা আর্টিকেল ঠিক কখন পাবলিশ হবে অটোমেটিক ভাবে তা খুব সহজেই সেট করে দিতে পারবেন। এবং পুরনো কোনো আরটিকেল বা পোস্ট যদি আপডেট দেন।

তাহলে হোমপেজে আসার জন্য আপনার রিসেন্ট ডেট এবং সময় চেঞ্জ বা পরিবর্তন করে দিলেই নতুন করে আবার হোমপেজে চলে আসবে।

#No-10: Permalink For Blogger Article 

এবার আপনি পার্মালিংক (Parmalink) নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন। মনে রাখবেন, কোনো একটি আর্টিকেল Rank করার পেছনে পার্মালিংক খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনাকে এই বিষয়টির দিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে। 

যখন আপনি গুগল বা অন্যান্য কোনো সার্চ ইঞ্জিনে কোনো কিছু জানার জন্য সার্চ করবেন ৷ তখন সবার আগে টাইটেল শো করে। আর এরপরেই কিন্তুু আমরা Permalink কে দেখতে পাই।

এছাড়াও আপনার আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তু সমন্ধে সার্চ ইঞ্জিনকে বোঝানোর জন্য Parmalink এর গুরুত্ব অপরিসীম।

এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, ব্লগারে আর্টিকেল লেখার সময় এই পার্মালিংক নামক অপশনে কি লিখবো?

ওয়েল! যখন আপনি ব্লগার ব্লগে আর্টিকেল লিখবেন। তখন আপনার মূল কিওয়ার্ডকে পার্মালিংকে বসিয়ে দেয়ার চেস্টা করবেন। কারন আপনি যে কিওয়ার্ডকে টার্গেট করে আর্টিকেল লিখবেন।

সেই আর্টিকেলের পুরো বিষয়বস্তুকে Parmalink মাএ কয়েকটি শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকে।

[💡PRO TIPS: পার্মালিংক দেয়ার সময় আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে।]

যেমন, 

  • পার্মালিংকে অবশ্যই Focus Keyword থাকতে তবে। 
  • লক্ষ্য রাখতে হবে যেন, আপনার দেয়া পার্মালিংক অনেক বড় না হয়। তাই সর্বদা চেস্টা করবেন যেন ৩ থেকে ৪ শব্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার। 
  • ব্লগার ব্লগে বাংলা ভাষায় Parmalink Support করে না। তাই আপনাকে শুধু ইংরেজি ব্যবহার করতে হবে। 
  • মনে রাখবেন, যখন আপনি কোনো আর্টিকেলের জন্য Parmalink সেট করবেন৷ তখন প্রতিটা শব্দের পরে যেন (-) এই চিহ্নটি থাকে। 
  • পার্মালিংক দেয়ার নময় অবান্তর শব্দ যুক্ত করা থেকে বিরত থাকাই উওম। 

#No-11: Description For Blogger Blog

ব্লগার ব্লগের সবশেষে Description নামক একটি অপশন রয়েছে। তবে ড্যাশবোর্ডে সবার শেষে থাকলেও সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে কিন্তুু টাইটেল এবং পার্মালিংক এর পরেই ডেসস্ক্রিপশন দেখতে পাওয়া যায়।

সচারাচর যখন একজন ভিজিটর কোনো কিছু জানার জন্য গুগলে সার্চ করে ৷ তখন সবার আগে টাইটেল কে দেখে৷ যখন টাইটেল পড়ে তার ভালো লাগে।

তখন সে আপনার দেওয়া Description পড়ে বুঝে নিতে চায় যে আসলে সে যে সম্পর্কে জানতে চায় ৷ সেটি কি আপনার ওয়েবসাইটে আছে কিনা।

আর যখন সেই ভিজিটর আপনার Description পড়ে আকৃষ্ট হবে ৷ ঠিক তখনি কিন্তুু সেই ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে। তাই আপনাকে এমন একটি ডেসস্ক্রিপশন লিখতে হবে। যেন ভিজিটর সেটি দেখামাএই ক্লিক করে বসে। 

[💡PRO TIPS: আপনার লেখা আর্টিকেলের Description কে আর্কষনীয় করার জন্য বেশ কিছু কৌশল আছে৷ চাইলে আপনি সেই কৌশল গুলোকে অনুসরন করতে পারেন।]

যেমন, 

  • ডেসস্ক্রিপশনে সেই সব শব্দ গুলোকে ব্যবহার করবেন। যেগুলো আপনার Focus Keyword এর সামন্জস্যপূর্ন। 
  • আপনার আর্টিকেলের সবচেয়ে আর্কষনীয় শব্দ গুলোকে এখানে ব্যবহার করার চেস্টা করবেন৷ 
  • মনে রাখবেন, আপনার লেখা Description যেন ১৫০ শব্দের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে৷ যদি এর থেকে বেশি শব্দের আর্টিকেল লেখেন তাহলে অনেক সময় সার্চ রেজাল্টে (…..) এমন শো করবে। 

আমাদের শেষকথা

আশা করি ব্লগার ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আর আপনি যদি পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন।

তাহলে আমার বিশ্বাস আপনার ব্লগার ব্লগে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।

আপনি আরো দেখতে পাড়েন…

এরপরও যদি আপনার কোনো সমস্যা হয়। কিংবা কোনো বিষয়ে জানার থাকে। তাহলে আপনার জন্য কমেন্ট বক্স সর্বদাই উন্মুক্ত রয়েছে। বাংলা আইটি ব্লগের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ

10 thoughts on “ব্লগার (blogger) ব্লগে আর্টিকেল লিখার নিয়ম – বাংলা আইটি ব্লগ”

  1. নিলয় ভাই আমি blog Side এ Artcal লিখতে চাই, এখন User Name Or Gmail এখানে দিলাম নাম অথবা জিমেল কিন্তু passwad এই খানে কি দিব জিমেল এর পাসওয়াড না অন্য কিছু । ভাই জানাবেন দয়া করে———–

    1. আপনি যদি blogger.com থেকে বানানো ব্লগে লিখতে চান তাহলে আপনার জিমেইল এবং জিমেইলের পাস লাগবে । আর বাকি সব ব্লগে আপনার নামে বা ব্লগের দেওয়া নামের সাথে আলাদা পাস থাকে । ফেসবুকে মেসেজ দিন না বুঝলে ফেসবুকে আমরা

  2. গল্প ভান্ডার

    আমার ওয়েবসাইট আছে। ওখানে আমি লিখছি। বাট ওইখানে আমি এড সোকরাবো কি ভাবে?

    1. আপনার ব্লগার ব্লগে পোস্ট অনেক কম । আপনাকে কম পক্ষে ৩০ টা আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে তার পর গুগল এডসেন্সে এ আবেদন করতে হবে।
      গুগল এডসেন্স কি জানতে এই আর্টিকেল পড়ুন।

  3. মোঃ শাকিল

    আপনার ব্লগার এর টেমপ্লেট এর নাম কি?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top