মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার সেরা ৮টি এন্ড্রয়েড অ্যাপস

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার সেরা এন্ড্রয়েড অ্যাপস : ভিডিও এডিটিং কিভাবে শিখব (Android video editing apps) আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন।

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার সেরা ৮টি এন্ড্রয়েড অ্যাপস
মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার সেরা এন্ড্রয়েড অ্যাপস

যারা মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করতে চান। তো আপনি যখন মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করবেন। আবার অনেকেই আছে টিকটক ভিডিও এডিট করার সফটওয়্যার খুজে থাকে। 

তখন অবশ্যই আপনার নিকট বেশকিছু অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস থাকতে হবে। যার মাধ্যমে এই ধরনের মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন।

তবে আমরা অনেকেই জানিনা যে, মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস কোন গুলো।

আর আপনি যদি এই বিষয় টি সম্পর্কে না জেনে থাকেন। তাহলে আজকের এই আলোচনা টি মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন।

কারণ এবার আমি আপনাকে সেই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব। যে গুলোর সাহায্যে মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করা সম্ভব।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

তো আর দেরি না করে চলুন, সরাসরি মূল আলোচনা তে ফিরে যাওয়া যাক মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার বা ফ্রি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর নাম গুলা কি কি। 

মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার এন্ড্রয়েড অ্যাপস

বর্তমান সময়ে আমরা আমাদের হাতে যে, স্মার্টফোন গুলো ব্যবহার করি। সে গুলো পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি উন্নত হয়েছে।

যার কারণে আমরা এখন চাইলে হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে। বিভিন্ন ধরনের ভিডিও এডিট করতে পারব্। কিন্তু আপনি যদি আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করতে চান।

তাহলে আপনাকে কার্যকরী কিছু ভিডিও এডিট করার অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে। সেজন্য আপনি যদি এখন গুগলের মধ্যে গিয়ে Mobile editing software লিখে সার্চ করেন।

তাহলে আপনি এমন ডজন ডজন আ্যপ এর লিষ্ট দেখতে পারবেন। কিন্তু সেইসব ‍গুলো আ্যপস এর চাইতে, এবার আমি আপনাকে বেশ কয়েক টি ভালো অ্যাপস এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব।

যে গুলোর সাহায্যে আপনি খুব সহজেই মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন।

Best Android Video Editor Apps

বর্তমান সমায়ে এমন অনেক ধরনের মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে। তবে সব ধরনের অ্যাপস দিয়ে আপনি আপনার মনের মত ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন না।

বরং আপনি যদি আপনার মনের মত করে যে কোনো ধরনের ভিডিও এডিটিং করতে চান। তাহলে আপনাকে নিচের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস গুলো ব্যবহার করতে হবে।

যে গুলো বর্তমান সময়ে গোটা বিশ্ব ব্যাপী ভিডিও এডিট করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। আর মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার এন্ড্রোয়েড অ্যাপস গুলো হলঃ 

  1. inshort
  2. VideoShow
  3. PowerDirector 
  4. Quik video editor
  5. Funimate
  6. Magisto
  7. Movie Maker
  8. KineMaster
  9. FilmoraGo Video Editor
  10. Vivavideo

বর্তমান সময়ে এন্ড্রয়েড মোবাইলের জন্য ভিডিও এডিটিং করার ক্ষেত্রে। কোন অ্যাপস গুলো সবচেয়ে ভালো। তার তালিকা উপরে দেখতে পাচ্ছেন।

তবে এই অ্যাপস গুলোর নাম দেখে চলে যাবেন না। বরং আপনাকে উক্ত ভিডিও এডিটিং করার অ্যাপস গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে হবে।

আর এবার আমি আপনাকে জানিয়ে দিবো, উপরে উল্লেখিত কোন এডিটিং অ্যাপস দিয়ে আপনি কেমন ভিডিও এডিট করতে পারবেন। 

Inshot Video Editor

সবার শুৃরুতে আমি আপনার সাথে যে মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার এন্ড্রয়েড অ্যাপস এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব। তার নাম হলো, Inshot video editor.

আপনার যদি আগে থেকে কোন ধরনের মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করার অভিজ্ঞতা না থাকে। তাহলেও আপনি এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস দিয়ে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই।

আপনার পছন্দ মতো ভিডিও এডিটিং করতে পারবেন। কারণ এই অ্যাপস এর মধ্যে এমন কিছু ফিচার রয়েছে।

যা ভিডিও এডিটিং করার সময় আপনার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগবে। সেই ভালো লাগার মতো ফিচার গুলো হলোঃ

  1. উক্ত ভিডিও এডিটিং অ্যাপস এর মধ্যে আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী টুলস দেখতে পারবেন। যেমন, Cutting Tools, Crop tools, Spilt Tools, Trimming Tools ইত্যাদি।
  2. এর পাশাপাশি এই ভিডিও এডিটিং অ্যাপস এর সাহায্য আপনি অনেক হাই রেজুলেশন এর ভিডিও গুলি এডিট করতে পারবেন।
  3. আপনার ভিডিও এডিট করার সময় প্রয়োজন অনুযায়ী মিউজিক যুক্ত করে দিতে পারবেন।
  4. এখানে আপনি কোন ধরনের ভিডিও এডিটিং করার সীমাবদ্ধতা খুঁজে পাবেন না। বরং আপনার ভিডিও টি যত বড়ই হোক না কেন। আপনি তা এই অ্যাপ দিয়ে এডিট করতে পারবেন।
  5. এই অ্যাপস দিয়ে আপনি আপনার গ্যালারি তে থাকা বিভিন্ন ধরনের ছবি গুলো যুক্ত করে, ভিডিও তে রূপান্তর করতে পারবেন।
  6. কোন একটি ভিডিও কে এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনার ইচ্ছামত Flip and Rotate করে নিতে পারবেন।
  7. এর পাশাপাশি যখন আপনি এই অ্যাপস টি ব্যবহার করবেন। তখন এর মধ্যে থাকা পার্সোনাল লাইব্রেরী তে বিভিন্ন ধরনের মিউজিক দেখতে পারবেন।
  8.  সেই সাথে আপনি আপনার এডিট করা ভিডিও টি, এইচডি কোয়ালিটি তে আপনার মেমোরি কার্ডে সেভ করে রাখতে পারবেন।

আপনি যদি মোবাইলে ভিডিও এডিট করতে চান। এবং ভালো মানের কোন মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার এন্ড্রোয়েড অ্যাপস খুঁজে থাকেন।

তাহলে একবার হলেও Inshot video editor ব্যবহার করে দেখবেন। আশা করি, আপনার কাছে এই ভিডিও এডিটিং অ্যাপস টি অনেক ভালো লাগবে। 

VideoShow

2013 সাল থেকে এখন পর্যন্ত মোবাইলের ভিডিও এডিটিং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস হিসেবে, Video Show  অনেক বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে।

কারন আমরা যারা নতুন হিসেবে মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করি। তারা সবার শুরুতে এডিটিং এর কোনো কিছুই বুঝিনা। তো তাদের জন্য এই ভিডিও এডিট করার অ্যাপস টি তৈরি করা হয়েছে।

কেননা এই অ্যাপ দিয়ে খুব সহজেই মাত্র কয়েক টা ক্লিক করার মাধ্যমে। আপনি অনেক বড় ধরনের ভিডিও গুলো প্রফেশনাল ভাবে এডিট করতে পারবেন।

সেই সাথে এই অ্যাপস এর ভেতরে থাকা এমন অনেক ফিচার রয়েছে। যে গুলো আপনার কাছে অনেক আকর্ষণীয় মনে হবে। যেমনঃ

  1. প্রথমত এই অ্যাপস এর ভিতর আপনি অনেক রেডিমেড টেমপ্লেট দেখতে পারবেন। যে গুলো তে মাত্র কয়েকটা ক্লিক করার মাধ্যমে আপনি ভিডিও এডিট করতে পারবেন।
  2. এছাড়াও আপনি আপনার এডিট করা ভিডিওর ব্রাইটনেস ইচ্ছামত কমিয়ে বাড়িয়ে নিতে পারবেন।
  3. আপনার এডিট করা ভিডিও তে যেকোন ধরনের মিউজিক থাকে। তাহলে আপনি সেগুলো আলাদা আলাদা ভাবে এডিট করে নিতে পারবেন।
  4. এর পাশাপাশি এই অ্যাপস এর সাহায্য অনেক হাইরেজুলেশন এর ভিডিও এডিট করা সম্ভব।
  5. সেই সাথে একটি ভিডিও এডিট করার জন্য যে সকল প্রয়োজনীয় টুলস এর দরকার হয়। তাঁর প্রত্যেক টি  টুলস আপনি এই অ্যাপস এর মধ্যে দেখতে পারবেন।
  6. এই অ্যাপস এর মধ্যে যে সকল ইফেক্ট, ক্লিপ এবং ইমোজি রয়েছে। সে গুলো আপনার ভিডিও তে ব্যবহার করলে। আপনার ভিডিও এর আকর্ষণীয়তা আরো কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে।
  7.  আপনি চাইলে এই অ্যাপস থেকে এডিট করা ভিডিও তে নিজের ভয়েস রেকর্ড করে যুক্ত করে দিতে পারবেন।
  8. এই অ্যাপস এর মধ্যে কোন ধরনের ওয়াটারমার্ক নেই। যার ফলে ভিডিওতে ওয়াটারমার্ক নিয়ে আপনাকে আর বাড়তি কোন চিন্তা করতে হবে না।
  9. উক্ত অ্যাপস এর ভিতরে রয়েছে বিশাল মিউজিক লাইব্রেরি। যে গুলোর বৈধ লাইসেন্স রয়েছে। 
  10. এবং এই ধরনের মিউজিক গুলো আপনার ভিডিও তে অনায়াসেই ব্যবহার করতে পারবেন।

আপনি যদি এন্ড্রয়েড মোবাইল থেকে ভিডিও এডিট করার জন্য এই অ্যাপস টি ব্যবহার করেন। তাহলে আপনি কি কি ফিচার দেখতে পারবেন।

সে গুলো উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। এবং যখন আপনি ভিডিও এডিট করার জন্য এই অ্যাপস টি আপনার মোবাইলে ইন্সটল করবেন। তখন এই বিশেষ ফিচার গুলো লক্ষ্য করতে পারবেন।

PowerDirector

আপনি যদি নিয়মিত মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করে থাকেন। তাহলে অবশ্যই এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস এর নাম শুনে থাকবেন।

কেননা এই অ্যাপস টি সর্বপ্রথম রিলিজ করা হয়েছিল 2014 সালে। এবং সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত এই অ্যাপস টি গুগল প্লে স্টোর থেকে সর্বমোট  10 কোটি এর বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে। যা সত্যিই অবাক করে দেওয়ার মত।

আর এত বেশি ডাউনলোড দেখে এটা সহজেই অনুমান করা যায়। মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস হিসেবে Powerdirector  এর ভূমিকা কতটুকু রাখতে পেরেছে।

চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক, এই  ভিডিও এডিটিং অ্যাপস এর কি কি ফিচার রয়েছে।

  1. এই অ্যাপস এর ভিতর আপনি বিপুল পরিমাণে ফিল্টার, ইফেক্ট এবং কালার চেঞ্জ করার অপশন দেখতে পারবেন।
  2. সেই সাথে এই ভিডিও এডিট করার অ্যাপস এর ভেতরে আকর্ষণীয় সব ট্রানজেকশন রয়েছে। যে গুলো আপনি আপনার ভিডিও তে ব্যবহার করতে পারবেন।
  3. উক্ত অ্যাপস দিয়ে আপনি যে সকল ভিডিও এডিট করবেন। সে গুলো কোয়ালিটির দিক থেকে অনেক হাই রেজুলেশন এর হবে।
  4. সব থেকে ভালো লাগার মত বিষয় হলো, উক্ত ভিডিও এডিট করার অ্যাপস এর ভিতর। আপনি চমৎকার টেক্সট, স্টিকার এবং ইমোজি একবারে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন।
  5. এছাড়াও এর ভিতরে রয়েছে ব্যক্তিগত লাইব্রেরি। যেখানে প্রচুর পরিমাণে মিউজিক মিউজিক ফ্রি ব্যবহার করার সুবিধা রয়েছে।

দেখুন বর্তমানে যারা মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করে। তারা অবশ্যই একবার হলেও এই অ্যাপস টি ব্যবহার করে থাকবে। তো আপনি যদি এর আগে অ্যাপস টি ব্যবহার না করে থাকেন।

আপনার জন্য আরোও লেখা…

তাহলে আপনার ভিডিও গুলো কে পছন্দমত এডিট করার জন্য। এখনই প্লে স্টোর থেকে PowerDirector অ্যাপস টি ডাউনলোড করে নিন।

Quick video editor

এতক্ষণের আলোচনা থেকে আপনি যে সকল মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস সম্পর্কে জেনেছেন।

সে গুলোর তুলনায় অনেক সহজ একটি মোবাইল ভিডিও এডিটর এর নাম হলো, Quick Video editor. যার সাহা্য্য খুব অল্প সময়ের মধ্যে যে কোনো ধরনের ভিডিও এডিট করা যায়।

কারণ এই অ্যাপস টি ইন্সটল করার পর যখন আপনি ওপেন করবেন। তখন খুব সহজ একটা ইন্টারফেস দেখতে পারবেন। এর পাশাপাশি এই অ্যাপস এর ভিতরে রয়েছে আকর্ষণীয় সব ফিচার। যেমনঃ

  1. এই অ্যাপস দিয়ে আপনি ভিডিও এডিট করার পাশাপাশি খুব স্বল্প পরিসরে ফটো এডিট করার সুবিধা পাবেন।
  2. এছাড়াও একটি ভিডিও তে একাধিক পিকচার, মিউজিক ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারবেন।
  3. এখানে রয়েছে 100 এর বেশি ভিডিও এফেক্ট। যে গুলো ভিডিও তে ব্যবহার করলে, ভিডিও এর আকর্ষণীয়তা আরো কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।
  4. এর পাশাপাশি একটি ভিডিও এডিট করার জন্য যে সকল প্রয়োজনীয় টুলস এর দরকার হয়।  যেমন, Cropping,Trimming, Split ইত্যাদি। এই সকল ধরনের প্রয়োজনীয় টুলস গুলো এই অ্যাপস এর মধ্যে রয়েছে।
  5. আর এই ভিডিও এডিট করার অ্যাপস এর ভিতর যে সকল ফিচার রয়েছে। সেগুলো আপনি একবারে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করার জন্য Quick Video Editor কতটা উপযুক্ত। সেটা নিয়ে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

এবং আপনি যদি খুব সহজ ইন্টারফেস এর এন্ড্রয়েড ভিডিও এডিটিং অ্যাপস খুঁজে থাকেন। তাহলে এই অ্যাপস টি আপনার জন্য একেবারে উপযুক্ত হবে।

কারণ এই অ্যাপস এর ইন্টারফেস এতটাই সহজ। যার ফলে যে কোনো ব্যক্তি এই অ্যাপস দিয়ে ভিডিও এডিট করতে পারবে। 

Funimate

গুগল প্লে স্টোর থেকে প্রায় 10 মিলিয়ন এর বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে Funimate  নামক অ্যান্ড্রয়েড ভিডিও এডিটর অ্যাপস।

আর এখান থেকে এটা সহজেই অনুমান করা যায়। বর্তমান সময়ে মানুষ মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করার জন্য। কিপরিমান Funimate  নামক ভিডিও এডিটর কে ব্যবহার করে। 

তো এতক্ষণ থেকে আমি যতগুলো মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার এন্ড্রোয়েড অ্যাপস নিয়ে আলোচনা করে|ছি। তার মধ্যে এটি হলো সবচেয়ে উন্নত একটি ভিডিও এডিটর।

আর এর ভেতরে থাকা ফিচার গুলোর কথা জানতে পারলে। আপনিও বলবেন যে, মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করার জন্য এটি হলো সবচেয়ে উপযুক্ত একটি এন্ড্রোয়েড অ্যাপস। 

  1. এই এন্ড্রয়েড ভিডিও এডিটিং অ্যাপস এর ভিতর আপনি Video Mask নামক এক ধরনের টুলস দেখতে পারবেন। যে গুলোর সাহায্য আপনার মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিট করা আরও সহজ হয়ে যাবে।
  2.  সেইসাথে এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস এর ভিতর আপনি এত বেশি ভিডিও ইফেক্ট দেখতে পারবেন। যা দেখে আপনি রীতিমত অবাক হয়ে যাবেন।
  3.  এছাড়াও একটি ভিডিওর শুরুতে ইন্ট্রো এবং শেষে  আউন্ট্রো যুক্ত করার মতো বিশেষ ফিচার রয়েছে এই ভিডিও এডিটিং অ্যাপস এর ভিতর।
  4. এই অ্যাপস এর ভিতর আপনি ভিডিও  যুক্ত করার জন্য টেক্সট অপশন দেখতে পারবেন। সেই গুলোতে প্রচুর পরিমাণে ইফেক্ট রয়েছে।
  5. একটি ভিডিও তে এক বা একাধিক মিউজিক যুক্ত করার মত অপশন রয়েছে।
  6. আপনি চাইলে একটি ভিডিও ভিন্ন ভিন্ন অংশে ভাগ করে নিয়ে। আলাদা আলাদা ভাবে এডিটিং এর কাজ করতে পারবেন।
  7. এছাড়াও উক্ত অ্যাপস দিয়ে ভিডিও এডিট করলে। সে গুলো অনেক হাই রেজুলেশন  এর মাধ্যমে আপনার মেমোরী কার্ডে সেভ করতে পারেন।

তো উপরে আপনি যে সকল ফিচার দেখতে পাচ্ছেন। এগুলো ছাড়াও উক্ত ভিডিও এডিটিং অ্যাপস এর ভেতরে আরো অনেক ধরনের ফিচার রয়েছে।

তবে এগুলো আপনি তখনই দেখতে পারবেন, যখন আপনি আপনার মোবাইলের মধ্যে এই অ্যাপস টি ইন্সটল করবেন।

আর আপনি যেন খুব সহজেই এই এন্ড্রয়েড মোবাইল দিয়ে ভিডিও এডিটিং করার অ্যাপস টি ডাউনলোড করতে পারেন। সে কারণে এবার আমি সরাসরি ডাউনলোড লিংক নিচে দিয়ে দিলাম।

Magisto

এবার আমি আপনাকে অনেক সিম্পল একটি মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার এন্ড্রোয়েড অ্যাপস এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব।

মূলত এই ভিডিও এডিটিং অ্যাপস কে সিম্পল বলার বেশকিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত আপনি খুব কম মেগাবাইট এর মাধ্যমে এই ভিডিও এডিটিং অ্যাপস টি ডাউনলোড করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি উক্ত অ্যাপস এর সাহায্য মাত্র কয়েক টি ক্লিক করার মাধ্যমে। আপনি একটি ভিডিও এডিট করে নিতে পারবেন।

তবে এটি খুব সিম্পল হলেও এর ভেতরে রয়েছে ভিডিও এডিট করার আকর্ষণীয় সব ফিচার। যেমনঃ 

  1. এর মাধ্যমে আপনি drag-and-drop এর  সাহায্য আপনার ভিডিও এডিট করতে পারবেন।
  2.  আপনি চাইলে একটি দীর্ঘ সময়ের ভিডিও কে কেটে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে নিতে পারবেন।
  3. এবং পরবর্তী সময়ে ভাগ করে নেওয়া সেই ভিডিওর অংশ গুলো কে এডিট করার সুবিধা পাবেন।
  4. এর পাশাপাশি উক্ত অ্যাপস এর ভিতরে রয়েছে রেডিমেড টেমপ্লেট। যে গুলো দিয়ে অনেক সহজেই ভিডিও এডিট করা সম্ভব।
  5. সেই সাথে একাধিক পিকচার কে একটি ভিডিওর মধ্যে অনেক আকর্ষণীয় স্লাইড শো ব্যবহার করতে পারবেন।
  6. এবং এই অ্যাপস থেকে ভিডিও এডিট করার পর। সেই ভিডিও টি সরাসরি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া তে শেয়ার করতে পারবেন।

মূলত আপনি যদি কোন সিম্পল ভিডিও এডিটিং অ্যাপস খুঁজে থাকেন। তাহলে এটি হবে আপনার জন্য একেবারে উপযুক্ত একটি আ্যপস।

যার মাধ্যমে আপনি কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই। মাত্র কয়েক টা ক্লিক করে আপনার পছন্দের ভিডিও গুলি এডিট করে নিতে পারবেন।

Movie Maker

এবার আমি আপনাকে নতুন একটি মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব।

আর সেই এডিটিং করার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস এর নাম হলো, Movie Maker. মূলত এই অ্যাপস রিলিজ করা হয়েছিল 2016 সালে।

এবং তখন থেকে এখন পর্যন্ত এই ভিডিও এডিটিং অ্যাপস টি এক মিলিয়নের বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে।

আর এই অ্যাপস টি নতুন হলেও এর ভেতরে ভিডিও এডিট করার যে সকল ফিচার রয়েছে। সেগুলো আপনার কাছে অনেক ভালো লাগবে। যেমন,

  1. উক্ত ভিডিও এডিটিং অ্যাপস দিয়ে আপনি বিভিন্ন ফরমেট এর ভিডিও এডিট করতে পারবেন।
  2. এই অ্যাপস এর ভেতর ইন্টারফেস তা তুলনামূলক ভাবে অনেক সহজ।
  3. মাত্র এক মিনিটের মধ্যেই এই অ্যাপস দিয়ে প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিট করা সম্ভব। 
  4. অন্যান্য আ্যপস এর মতো এখানেও আপনি একাধিক মিউজিক, ভিডিও, ছবি যুক্ত করতে পারবেন।
  5. আপনি চাইলে আপনার এডিট করা ভিডিও টি নির্দিষ্ট একটি ব্যাকগ্রাউন্ড এর মধ্যে সেট করে দিতে পারবেন।
  6. এই অ্যাপস থেকে ভিডিও এডিট করার পরে, আপনি তা এইচডি কোয়ালিটি তে আপনার মেমোরী কার্ডে সেভ করে রাখতে পারবেন।

মূলত আপনি যদি মোবাইল থেকে প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিট করতে চান। তাহলে এই অ্যাপস টি ডাউনলোড করে আপনার প্রয়োজনীয় ভিডিও গুলো এডিট করা শুরু করে দিন।

আর নিচের লিঙ্ক থেকে আপনি সরাসরি গুগল প্লে স্টোর থেকে। এই জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং অ্যাপস টি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। 

KineMaster

আজকের আলোচিত সর্বশেষ এবং সবথেকে বেশি জনপ্রিয় মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস এর নাম হলো, Kinemaster.

যদি আপনার আগে থেকেই ভিডিও এডিট করার দক্ষতা থাকে। তাহলে এই এন্ড্রোয়েড অ্যাপস টি কে কাজে লাগিয়ে।

আপনি এত বেশি প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিট করতে পারবেন। যা আসলে সত্যি অবাক করে দেওয়ার মতন। কারণ একটি কম্পিউটারে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এর মধ্যে।

যে সকল ফিচার গুলো থাকে। তার প্রত্যেকটি ফিচার এই ভিডিও এডিটিং অ্যাপস এর ভিতরে দেখতে পারবেন। যেমন, 

  1. প্রথমত এই অ্যাপস এর ভিতর আপনি অনেক রেডিমেড টেমপ্লেট দেখতে পারবেন।
  2. এছাড়া রয়েছে ভিডিও জন্য বিভিন্ন টুলস। যেমন, Cut, Crop, Flip, Zoom, Rotate  ইত্যাদি।
  3. এই অ্যাপস এর ভিতর আপনি Chroma Key  ব্যবহার করতে পারবেন।
  4. সেই সাথে এই অ্যাপস টি দিয়ে ভিডিও তে বিভিন্ন ধরনের অ্যানিমেশন যুক্ত করা যায়।
  5. এছাড়া  রয়েছে বিভিন্ন ফন্ট ও স্টাইলিশ টেক্সট ব্যবহার করার সুবিধা।
  6. আপনি চাইলে ভিডিওর নির্দিষ্ট একটি অংশ কে রিমুভ করে দিতে পারবেন। কারন এখানে বেকগ্রাউন্ড রিমুভ করার মতো সুবিধা আছে।
  7. এর পাশাপাশ আলাদা ভাবে ভিডিও তে থাকা মিউজিক গুলো কে এডিট করতে পারবেন।
  8. ভিডিও এডিট করার জন্য অনেক ধরনের ফরম্যাট রয়েছে।
  9. এইচডি কোয়ালিটি তে ভিডিও সেভ করার মতো সুবিধা আছে।

বর্তমান সময়ে আপনি যদি মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস খুঁজে থাকেন। তাহলে আমি বলব, আপনি একবার হলেও Kinemaster আ্যপস টি ট্রাই করে দেখবেন।

আপনি আরোও জানতে পারেন…

তবে এর মাধ্যমে ভিডিও এডিটিং করতে হলে। অবশ্যই আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। না হলে, আপনি এই অ্যাপস টি ব্যবহার করে ভিডিও এডিটিং এর ক্ষেত্রে তেমন কোন সুবিধা পাবেন না।

আমাদের শেষ কথা

আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে আমি আপনাকে। মোবাইলে ভিডিও এডিটিং করার অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি।

তো আজকের আলোচিত এই অ্যাপস গুলো দিয়ে। আপনি যদি ভিডিও এডিট করতে চান। তাহলে আপনাকে কোন ধরনের পেইড সাবস্ক্রিপশন নেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।

কারণ আজকে আমি একবারে বিনামূল্যে মোবাইলে ভিডিও এডিট করার এন্ড্রোয়েড অ্যাপস গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।

তবে আপনি যদি আরো ভালো মোবাইল ভিডিও এডিট আ্যপস খুজে থাকেন। তাহলে অবশ্যই তা নিচে কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন।

সেই সাথে এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো সবার আগে পেতে চাইলে, আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ। 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top