কেন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করব । মিউচুয়াল ফান্ডের সুবিধা সমুহ

কেন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করব : Advantages of mutual fund in Bengali বিভিন্ন প্রকারের বিনিয়োগকারীর সঞ্চয় করা অর্থ যখন নির্দিষ্ট একটি ফান্ড এর মধ্যে জমা করে রাখা হয়।

কেন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করব । মিউচুয়াল ফান্ডের সুবিধা সমুহ
কেন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করব

তখন তাকে বলা হয়ে থাকে, মিউচুয়াল ফান্ড। তো আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন। যারা আসলে জানতে চান যে, কেন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করব।

মূলত আপনি যদি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন। সে ক্ষেত্রে কিন্তু আপনি অনেক সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

আর এখন আমি আপনাকে এই বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে দিব।

মিউচুয়াল ফান্ড হল একটি বিনিয়োগের বাহন যা অনেক বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে স্টক, বন্ড, মানি মার্কেট ইনস্ট্রুমেন্ট।

এবং অনুরূপ সম্পদের মতো সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে সংগৃহীত তহবিলের একটি পুল দিয়ে তৈরি।

আপনার জন্য আরোও লেখা আছে…

মিউচুয়াল ফান্ডগুলি পেশাদার মানি ম্যানেজারদের দ্বারা পরিচালিত হয়, যারা ফান্ডের সম্পদ বরাদ্দ করে

এবং ফান্ডের বিনিয়োগকারীদের জন্য মূলধন লাভ বা আয় তৈরি করার চেষ্টা করে।

এই আর্টিকেল থেকে আপনি আরোও জানতে পারবেন মিউচুয়াল ফান্ডের সুবিধা কি, টিপস অফ মিউচুয়াল ফান্ড সহ আরোও বিস্তারিত জনাতে পারবেন।

মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা কতটা নিরাপদ?

যখন আপনি আপনার সঞ্চয় করা অর্থ কোথাও জমা করে রাখতে চাইবেন। তখন অবশ্যই আপনি জেনে নিবেন যে, সেখানে অর্থ বিনিয়োগ করা কতটুকু নিরাপদ।

ঠিক তেমনি ভাবে যখন আপনি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে এই বিষয় টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নিতে হবে।

যে, মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা কতটা নিরাপদ। দেখুন, আপনি যদি আপনার সঞ্চয় করা অর্থ বিনিয়োগ করতে চান।

এবং অন্য কোন ফান্ডে জমা রাখতে চান। তাহলে কিন্তু সব ক্ষেত্রেই আপনি একই বিষয় লক্ষ্য করতে পারবেন।

কেননা সব বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যেমন ঝুঁকি রয়েছে। সেই সাথে নানা প্রকার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, এটা স্বাভাবিক বিষয়।

কিন্তু আপনি যদি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন। সেক্ষেত্রে আপনার এই সম্ভাবনাময় ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমে যাবে।

কারণ মিউচুয়াল ফান্ডে শুধুমাত্র আপনি নয়। বরং আপনার মতন এমন অনেক বিনিয়োগকারী আছেন।

যারা মূলত তাদের সঞ্চয় করা অর্থ গুলো বিনিয়োগ করবে। আর কোন কারনে যদি আপনার ফান্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিংবা কোন ধরনের সমস্যা হয়।

সেক্ষেত্রে কিন্তু আপনার ঝুঁকির পরিমাণ টা অনেকটাই কমে আসবে। আর আপনি তো বেশ ভালো করেই জানেন।

যে, মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার বিনিয়োগকারী তাদের অর্থ বিনিয়োগ করে থাকে। মূলত এই কারণ গুলোর জন্যই মিউচুয়াল ফান্ড কে সবচেয়ে নিরাপদ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।

এর পাশাপাশি আপনি যদি অন্যান্য বিনিয়োগ এর সংস্থা গুলোর দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে তাদের কার্যকলাপ গুলো তুলনা মূলক ভাবে অনেক কঠিন।

অপরদিকে আপনি মিউচুয়াল ফান্ডে খুব সহজে এবং নিরপদে আপনার অর্থ বিনিয়োগ করে রাখতে পারবেন।

মিউচুয়াল ফান্ড এর সুবিধা কি?

তো যারা আসলে জানতে চান যে কেন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করব। তাদের একটা কথা বলব যে, আপনি যদি মিউচুয়াল ফান্ড এর মধ্যে বিনিয়োগ করেন।

তাহলে কিন্তু আপনি বিশেষ কিছু সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। কারণ এই ফান্ড এর মধ্যে আপনার মত এমন অনেক বিনিয়োগকারী আছেন।

যারা তাদের সঞ্চয় করার অর্থ গুলো বিনিয়োগ করবে। এছাড়াও আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মধ্যে আপনি এমন অনেক মিউচুয়াল ফান্ড দেখতে পারবেন।

চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক যে, মিউচুয়াল ফান্ড এর সুবিধা গুলো কি।

পেশাদারী পরিচালনা

দেখুন আপনি উপরের আলোচনা থেকে জানতে পেরেছেন যে। মিউচুয়াল ফান্ড এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের বিনিয়োগকারী তাদের জমা করা অর্থ গুলো বিনিয়োগ করে থাকে।

আর যেহেতু এখানে বিভিন্ন প্রকারের বিনিয়োগকারী যুক্ত থাকে। সেহেতু এটি সম্পূর্ণ ভাবে যোগ্যতা সম্পন্ন এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালনা করা হয়।

সে কারণে আপনি যে ফান্ড এর মধ্যে অর্থ বিনিয়োগ করবেন। সেই ফান্ডের যাবতীয় কার্যকলাপ গুলো একবারে পেশাদার ব্যক্তির মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে।

আর এই বিষয়টি তে আপনি একবারে নিশ্চিত থাকতে পারবেন। এর পাশাপাশি যারা মূলত এই ধরনের ফান্ড পরিচালনা করে।

তারা আপনার মত অর্থ বিনিয়োগকারীদের।

বিভিন্ন প্রকারের কোম্পানি সম্পর্কে তাদের কর্ম ক্ষমতা, সম্ভাবনা বিশ্লেষণ ইত্যাদি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সহায়তা করে থাকে।

বৈচিত্রপূর্ণ পোর্টফোলিও

যখন আপনি একজন বিনিয়োগকারী হিসেবে বিবেচিত হবেন। তখন আপনার বিভিন্ন প্রকারের নিয়ম থাকবে। তবে সেই সকল নিয়ম গুলোর মধ্যে একবারে অন্যতম হলো।

বিনিয়োগকারীদের পোর্টফলিও গুলো কে অনেক বেশি বৈচিত্র পূর্ণ হিসেবে গড়ে তোলা। আর আপনি যদি কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই এই ধরনের বৈচিত্র্যময় পোর্টফলিও করতে চান।

সেক্ষেত্রে আপনাকে মিউচুয়াল ফান্ড অনেক গুণ বেশি সহায়তা করতে পারবে।

কারণ এই ধরনের মিউচুয়াল ফান্ড এর সাহায্যে আপনি অনেক গুলো ইন্ডাস্ট্রি বা কোম্পানির মধ্যে। একবারে উপযুক্ত স্থানে বিনিয়োগ করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি মিউচুয়াল ফান্ডের সাহায্য একজন বিনিয়োগকারী কে তার জমাকৃত অর্থ বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে উৎসাহ প্রদান করে থাকে।

আর সে কারণে মিউচুয়াল ফান্ড কে সবথেকে কম ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। মূলত এই কারণ গুলোর জন্য অবশ্যই আপনার মিউচুয়াল ফান্ড এর মধ্যে বিনিয়োগ করা উচিত।

সুবিধা জনক প্রশাসন

আপনি যদি অন্যান্য কোন কোম্পানি বা সংস্থার মধ্যে আপনার অর্থ বিনিয়োগ করতে চান। তাহলে কিন্তু আপনাকে অনেক গুলো নিয়ম মানতে হবে।

সেই সাথে আপনাকে অনেক কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। কারণ অন্যান্য সংস্থা বা কোম্পানির মধ্যে আপনি বিভিন্ন প্রকারের বিষয় লক্ষ্য করতে পারবেন।

যেমনঃ খারাপ ডেলিভারি, বিলম্বিত অর্থ প্রদান ইত্যাদি। তো এই কারণ গুলোর জন্য আপনার লাভ ক্ষতির হিসেব করতে অনেকটা সময় ব্যয় করতে হবে।

সেই সাথে এত বেশি হিসাব একজন মানুষের পক্ষে মনে রাখাও বেশ কষ্টকর। আর এই দিক থেকে আপনি যদি মিউচুয়াল ফান্ড এর ক্ষেত্রে লক্ষ্য করেন।

তাহলে দেখতে পারবেন যে, মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে এত বেশি কাগজ পত্র ফিলাপ করতে হয় না। যার কারণে মিউচুয়াল ফান্ড এর মধ্যে অর্থ বিনিয়োগ করলে।

আপনি কি পরিমান লাভ বা কি পরিমান ক্ষতি হবে। সেটা আপনি সহজেই অনুমান করতে পারবেন। যাকে বলা হয় থাকে, মিউচুয়াল ফান্ড এর সুবিধা জনক প্রশাসন।

উচ্চতর রিটার্ন এর সুবিধা

একজন বিনিয়োগকারী হিসেবে যখন আপনি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে আপনার অর্থ বিনিয়োগ করবেন। তখন আপনি বিশেষ একটি সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।

আর সেই সুবিধা টি হল, উচ্চতর রিটার্ন এর সুবিধা। যার ফলে আপনি মিউচুয়াল ফান্ড এর মধ্যে মাঝারি মেয়াদী কিংবা দীর্ঘমেয়াদি হিসেবে যখন আপনার অর্থ বিনিয়োগ করবেন।

তখন কিন্তু আপনি অনেক বেশি পরিমাণে রিটার্ন এর সুবিধা পাবেন। তবে আপনি যদি এই সুবিধা টি ভোগ করতে চান।

তাহলে অর্থ বিনিয়োগ করার সময় অবশ্যই দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করার চেষ্টা করবেন।

এতে করে আপনি উচ্চতর রিটার্ন এর সুবিধা টি ভোগ করতে পারবেন।

খরচের পরিমাণ কম

যখন আমরা কোথাও আমাদের অর্থ বিনিয়োগ করতে চাই। তখন চেষ্টা করি যেন অর্থ বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে খরচের পরিমাণ টা তুলনামূলক ভাবে কম হয়।

আর আপনি যদি এমনটা চেয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য উপযুক্ত একটি অর্থ বিনিয়োগ করার মাধ্যম হবে, মিউচুয়াল ফান্ড।

কারণ মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে অর্থ বিনিয়োগ করতে খরচের পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে অনেক কম হয়।

কেননা মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে আপনি সহ আপনার মত এমন অনেক বিনিয়োগ কারী আছেন। যারা তাদের অর্থ গুলো বিনিয়োগ করবে।

আর যেহেতু এখানে আপনি যৌথ ভাবে আপনার অর্থ বিনিয়োগ করবেন। সেহেতু এখানে আপনার খরচের পরিমাণ অনেকটাই কমে আসবে।

আর এই সুবিধা টি আপনি অন্যান্য কোথাও না পেলেও, মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে পাবেন। মূলত এর কারণে একজন মানুষের অবশ্যই মিউচুয়াল ফান্ড এ বিনিয়োগ করা উচিত

সর্বনিম্ন লক ইন সময়কাল

আপনি মিউচুয়াল ফান্ডের আরও একটি বিশেষ সুবিধা লক্ষ্য করতে পারবেন। আর সেই সুবিধা টি হল, ট্যাক্স থেকে বাঁচার জন্য মিউচুয়াল ফান্ড এর মধ্যে।

লক ইন সময়কাল শুধুমাত্র তিন বছর করে নির্ধারণ করা হয়েছে। যাতে করে মানুষ তাদের অর্থ বিনিয়োগ করার সময়, এই ট্যাক্স থেকে বাঁচতে পারে।

ছাড়াও আপনি যদি অর্থ বিনিয়োগ করার জন্য অন্যান্য কোন কোম্পানি কিংবা ফান্ড এর দিকে লক্ষ্য করেন।

তাহলে আপনি স্পষ্ট ভাবে দেখতে পারবেন যে। সেই ফান্ড গুলো তে সর্বনিম্ন মেয়াদ থাকে থাকে পাঁচ বছর।

আর আপনি যদি পাঁচ বছর মেয়াদী কোথাও লগ ইন সময়কাল নির্ধারণ করেন। তাহলে কিন্তু আপনি আর এই ট্যাক্স থেকে বাঁচতে পারবেন না।

মূলত সে কারণেই মিউচুয়াল ফান্ড এর লক ইন এর সময়কাল তিন বছর পর্যন্ত করা হয়েছে। যা মূলত মিউচুয়াল ফান্ড এর বিশেষ একটি সুবিধা।

ফান্ড এর মধ্যে স্বচ্ছতা

যখন আপনি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে আপনার অর্থ বিনিয়োগ করবেন। তখন আপনি খুব সহজেই আপনার বিনিয়োগের মূল্য সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন।

এর পাশাপাশি সে সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখতে পারবেন। আর সেক্ষেত্রে আপনাকে কোন প্রকারের অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন হবে না।

কেননা অন্যান্য ফান্ড কিংবা কোম্পানির ক্ষেত্রে যখন আপনি অর্থ সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবেন। তখন সেটির খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য কিছু পরিমাণ টাকা চার্জ দিতে হয়।

অপরদিকে যদি আপনি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বিনিয়োগ করেন। তাহলে কিন্তু আপনি এই ঝামেলা থেকে অনেকটাই রেহাই পাবেন। অর্থাৎ বলা যায়, মিউচুয়াল ফান্ড এর মধ্যে অর্থ বিনিয়োগ করলে।

আপনি সবখানে স্বচ্ছতা লক্ষ্য করতে পারবেন। যা মূলত মিউচুয়াল ফান্ড এর অনেক ভালো একটা দিক।

নমনীয়তা বিরাজমান

মূলত আপনি যখন কোথাও অর্থ বিনিয়োগ করবেন। তখন কিন্তু আপনাকে যথেষ্ট পরিকল্পনা করতে হবে। এবং আপনাকে প্রতিদিনের জন্য কি পরিমাণ লভ্যাংশ আসবে, সেদিকে বিশেষ ভাবে নজর রাখতে হবে।

আর এই বিষয় গুলো আপনি সব গুলোই প্রয়োগ করতে পারবেন। যখন আপনি মিউচুয়াল ফান্ড এর মধ্যে আপনার জমা করা অর্থ বিনিয়োগ করবেন।

কেননা এর মধ্যে অর্থ বিনিয়োগ করলে আপনি আপনার যাবতীয় পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন।

বিভিন্ন ধরনের স্কিম এর সুবিধা

আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন। যারা আসলে জানতে চান, কেন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করবো।

তো তাদের উদ্দেশ্য করেই আমি একটা কথা বলব । যে মিউচুয়াল ফান্ড এর মধ্যে আপনি বিভিন্ন প্রকার স্কিম ব্যবহার করার সুবিধা পাবেন।

অর্থাৎ আপনি কি ধরনের বিনিয়োগ করতে চান। সেই চাহিদা কে মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে থাকা ভিন্ন ভিন্ন স্কিম পূরণ করে দিবে।

এর পাশাপাশি আপনি যখন স্কিম তৈরি করবেন। তখন আপনি যথেষ্ট পরিকল্পনা এবং যাচাই বাছাই করে আপনার চাহিদা অনুযায়ী স্কিম চালু করতে পারবেন।

দক্ষ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা

আপনি একটা কথা বেশ ভালো করেই জেনে থাকবেন। সেই কথা টি হল আপনি যত গুলো মিউচুয়াল ফান্ড দেখতে পারবেন। সেই সব গুলো ফান্ড SEBI দ্বারা নিবন্ধিত।

আর সে কারণে মিউচুয়াল ফান্ড এর মধ্যে যে কার্য কলাপ গুলো সম্পন্ন হয়। তার সব গুলোই SEBI দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা হয়ে থাকে।

এবং SEBI থেকে বিশেষ কিছু নিয়মাবলী দেওয়া হয়েছে। যে নিয়মাবলী গুলো প্রত্যেক টা মিউচুয়াল ফান্ড মেনে চলে। আর সে কারণেই এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যায়।

মিউচুয়াল ফান্ড এর যে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা রয়েছে, সেটি অনেক দক্ষ। আর এ বিষয়ে কোন ধরনের সন্দেহের অবকাশ নেই।

ট্যাক্স বাঁচানোর অন্যতম বিকল্প

আমি শুরুতেই আপনাকে একটা কথা বলেছিলাম। আর সেই কথাটি হল আপনি যদি মিউচুয়াল ফান্ড এর মধ্যে বিনিয়োগ করেন।

তাহলে কিন্তু আপনি ট্যাক্স থেকে বেঁচে যাবেন। কারণ আয়কর আইন এর ধারায় যদি আপনার বাৎসরিক ইনকাম ১.৫ লক্ষ টাকার বেশি হয়।

তাহলে কিন্তু আপনাকে সরকারের নিকট ট্যাক্স প্রদান করতে হবে।

অপরদিকে আপনি যদি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে আপনার সঞ্চিত অর্থ বিনিয়োগ করেন। তাহলে কিন্তু আপনি এই ট্যাক্স থেকে বেঁচে যাবেন।

আপনি আরোও দেখতে পারেন…

এর পাশাপাশি যদি আপনার ট্যাক্স ধার্য করা হয়। তাহলে তার পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে অনেক টা কম থাকবে।

তবে অধিকাংশ সময় মিচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা অর্থের উপর ট্যাক্স দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

কারণ মিউচুয়াল ফান্ড এর মধ্যে অর্থ বিনিয়োগ করলে বাৎসরিক লাভের পরিমাণ অনেকটা কম থাকে।

যার ফলে ট্যাক্স দেওয়া থেকে আপনি বেঁচে যেতে পারেন। আর অবাক করার মত বিষয় হলো, এই সুবিধা টি ভোগ করার জন্য।

আমাদের মধ্যে অনেকেই মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে থাকেন।

বিনিয়োগ এর আগে যাচাই করার সুযোগ

যখন আপনি কোথাও অর্থ বিনিয়োগ করবেন। তখন অবশ্যই আপনাকে যথেষ্ট  যাচাই বাছাই করতে হবে। কেননা আপনি যদি এই কাজ টি না করেন।

তাহলে আপনার বিনিয়োগ করা অর্থ লস এর সম্মুখীন হতে পারে। মূলত মিউচুয়াল ফান্ড এর ক্ষেত্রে আপনি এই বিশেষ সুবিধা টি ভোগ করতে পারবেন।

কারণ যখন আপনি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে আপনার জমা করা অর্থ বিনিয়োগ করবেন। তখন আপনি যাবতীয় বিষয় গুলো সুস্থ মস্তিষ্কে ভাবতে পারবেন এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।

FAQ – Mutual Fund

Q:বাংলাদেশের সেরা মিউচুয়াল ফান্ড কোন গুলো?

A: বর্তমান বিশ্বের প্রায় সব দেশেই মিউচুয়াল ফান্ড এর ব্যবস্থা থাকলেও। আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশ এর দিকে লক্ষ্য করেন। তাহলে দেখতে পারবেন যে, আমাদের বাংলাদেশ এখনো ভালোভাবে মিউচুয়াল ফান্ড এর সাথে পরিচিত নয়। 

আর সে কারণে আমরা অনেকেই বলতে পারি না যে, মিউচুয়াল ফান্ড কি এবং কেন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করবো।

আর আপনি যদি বাংলাদেশের সেরা মিউচুয়াল ফান্ড এর নাম জানতে চান। তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, বাংলাদেশ এর মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ডের সম্ভাবনা এখনো ০ (শূন্য) শতাংশ রয়েছে।

Q:মিউচুয়াল ফান্ডে কিভাবে বিনিয়োগ করব?

A: যদি আপনি নতুন মিউচুয়াল ফান্ডে অর্থাৎ বিনিয়োগ করতে চান। তাহলে আপনার মনে প্রশ্ন জেগে থাকবে। যে, মিউচুয়াল ফান্ডে কিভাবে বিনিয়োগ করবো?

তো আপনি যখন মিউচুয়াল ফান্ডে স্কিম চালু করবেন। তখন আপনি অনলাইন এর মাধ্যমে বিনিয়োগ করতে পারবেন।

এর পাশাপাশি আপনি যদি মিউচুয়াল ফান্ডে অনলাইন এ বিনিয়োগ করেন। তাহলে আপনি অনেক কমিশন থেকে বাঁচতে পারবেন।

Q:মিউচুয়াল ফান্ড কি?

A: সহজ কথায় বলতে গেলে মিউচুয়াল ফান্ড হলো এমন এক ধরনের মাধ্যম। যেখানে বিভিন্ন বিনিয়োগকারী তাদের জমা করা অর্থ গুলো বিনিয়োগ করতে পারবে।

আর এই ধরনের ফান্ড এর মধ্যে অর্থ বিনিয়োগ করলে ঝুঁকির পরিমাণ অনেক কম থাকে। কেননা মিউচুয়াল ফান্ডে যৌথভাবে অর্থ বিনিয়োগ করা হয়।

Q:মিউচুয়াল ফান্ডে কিভাবে বিনিয়োগ করব বাংলাদেশ?

A: আমাদের বাংলাদেশে এখনো মিউচুয়াল ফান্ড ততটা স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। তো আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে জানতে চান, মিউচুয়াল ফান্ডে কিভাবে বিনিয়োগ করব।

তাহলে আমি আপনাকে বলব যে, এই বিষয়টি সম্পর্কে বাংলাদেশ এখনো অপরিচিত। তাই আপনি এখন বাংলাদেশের মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারবেন না।

Q: মিউচুয়াল ফান্ড এর প্রকারভেদ গুলো কি কি?

A: আপনি বেশ কয়েক ধরনের মিউচুয়াল ফান্ড দেখতে পারবেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো, লার্জ ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড।

যেখানে মূলত বিশ্বের বড় বড় শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ কারীরা অর্থ বিনিয়োগ করে থাকে।

তবে এর বাইরেও আপনি আরেক প্রকারের মিউচুয়াল ফান্ড দেখতে পারবেন। সেটি হল, মিড ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড। যেখানে মাঝারি মাপের কোম্পানিরা বিনিয়োগ করে।

এবং সর্বশেষ মিউচুয়াল ফান্ড এর নাম হলো, স্মল ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ড। যেখানে ক্ষুদ্র মাপের কোম্পানিরা নিজের অর্থ বিনিয়োগ করে থাকে।

মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা কি ভালো

সংক্ষেপে, হ্যাঁ, মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা ভালো হতে পারে। তবে, এটি নির্ভর করে আপনার আর্থিক লক্ষ্য, ঝুঁকি সহনশীলতা এবং বিনিয়োগের সময়সীমার উপর।

মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ে কিছু কথা

প্রিয় পাঠক, আপনি যদি মিউচুয়াল ফান্ড সম্পর্কে প্রথম শুনে থাকেন। তাহলে আপনার মনে একটি প্রশ্ন জাগবে।

আর সেটি হল, কেন মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করব। তো আজকে আমি আপনাকে জানিয়ে দিয়েছি যে, কেন আপনি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করবেন।

আপনি আরোও পড়তে পারেন…

আর আশা করি আজকের আলোচনা থেকে আপনি এই বিষয় টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পেয়ে গেছেন।

তো এই ধরনের ব্যাংকিং রিলেটেড অজানা বিষয় গুলো খুব সহজ ভাষায় জানতে হলে। নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন।

সেই সাথে আমাদের লেখা সম্পর্কে যদি আপনার কোন মতামত বা অভিযোগ থাকে। তাহলে সেটি কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। ধন্যবাদ! এতক্ষণ ধরে এই লেখা টি পড়ার জন্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top