১ লাখ টাকায় ব্যবসা শুরু করার উপায়

১ লাখ টাকায় ব্যবসা : আজকে আমরা একটু ভিন্ন টপিক নিয়ে আলোচনা করবো। হ্যালো ভিয়ার, Bangla it blog এর নতুন একটি এপিসোডে আপনাকে স্বাগতম।

আজকের আর্টিকেলে আমরা ১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার কিছু উপায় সম্পর্কে জানবো ৷ যদি আপনি ১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে এখন থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়বেন।

১ লাখ টাকায় ব্যবসা শুরু করার উপায়
১ লাখ টাকায় ব্যবসা শুরু করার উপায়

💡PRO TIPS: কিভাবে আপনি ১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করবেন। সে নিয়ে আজকে কিছু গোপন তথ্য শেয়ার করবো ৷ 

১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার উপায়

আমরা সবাই জানি যে কোনো একটি ব্যবসা শুরু করার জন্য অবশ্যই আপনার কাছে মুলধন থাকতে হবে ৷ যদি আপনার কাছে পর্যাপ্ত পরিমান মুলধন থাকে। তাহলে আপনি যে কোনো একটি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

আর যদি না থাকে, তাহলে আপনাকে পথিমধ্যে গিয়ে হাল ছেড়ে দিতে হবে।

তবে এই যুক্তি যেমন শতভাগ সত্য ৷ ঠিক ততোটাই সত্য হলো, আমাদের অনেকেরই ব্যবসা করার ইচ্ছে আছে। কিন্তুু এই মুলধন না থাকার কারনে মূলত ব্যবসার শুরু করতে পারে না।

আপনি আরো দেখুন…

যদি আপনিও এই মুলধন বা ইনভেস্টমেন্ট এর সমস্যায় ভুগে থাকেন। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি অনেক হেল্পফুল হতে চলেছে। কারন আজকে আমি আপনাদের এমন কিছু উপায় বলবো।

যার মাধ্যমে আপনি অনেক কম পরিমান ইনভেস্ট দিয়েই ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন। 

💡Look at this: বর্তমান সময়ে ১ লাখ টাকা আমাদের জন্য তেমন কোনো ব্যাপার না। কিন্তুু আপনি যদি এই ১ লাখ টাকায় ব্যবসা সম্পর্কে একবার জানতে পারেন। তাহলে আপনিও রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন। 

কেন আপনি ১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার উপায় গুলো সম্পর্কে জানবেন? 

হয়তবা আপনার জানা আছে যে, বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের ব্যবসা করার পদ্ধতি রয়েছে। আর বিভিন্ন ধরনের মানুষ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করে আসছে।

কেউবা ছোট মুলধন দিয়ে স্বল্প পরিসরে বিজনেস করছে। আবার কেউ বেশি মুলধন ইনভেস্ট করে বেশ বড়সড় পরিসরে ব্যবসা করছে।

কিন্তুু সবার ক্ষেএে কি বেশি মুলধন ইনভেস্ট করা সম্ভব? – উওরে বলবো, না! কারন আমাদের সবার কিন্তুু মোটা অংকের টাকা ইনভেষ্ট করার মতো সামর্থ্য থাকে না।

আবার এমন অনেক ব্যক্তি আছেন। যারা শুরুতে ততোটা রিস্ক নিতে চায় না। যার কারনে তারা অনেক কম পরিমান মুলধন দিয়ে যেকোনো ব্যবসা সম্পর্কে বুঝতে চেস্টা করে।

তবে কে কি করলো সেটা না জানলেও চলবে। আর যদি আপনিও ১ লাখ টাকায় ব্যবসা করতে চান। তাহলে আপনিও মূলত দুই ধরনের বেনিফিট পাবেন। প্রথমত যদি আপনি কম ইনভেষ্ট এর মাধ্যমে কোনো একটি বিজনেস শুরু করতে চান।

তাহলে এই ১ লাখ টাকায় ব্যবসা করা হবে আপনার জন্য অতি বুদ্ধিমানের একটি কাজ।

অপরদিকে আমরা সবাই চাই যে কোনো প্রকার রিস্ক ছাড়াই ব্যবসা করার জন্য। সেক্ষেএে আপনি যদি মাএ ১ লাখ টাকায় ব্যবসা শুরু করেন।

তাহলে কিন্তুু এই ব্যবসাতে আপনার তেমন কোনো রিস্ক থাকছে না। কারন এখানে আপনি অনেক কত পরিমান ইনভেস্ট দিয়েই বিজনেস শুরু করে দিতে পারবেন।

💡Read More: সত্যি বলতে আপনার ১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার আরও বেশ কিছু কারন রয়েছে। আমরা সেগুলো এই আর্টিকেলে পর্যায়ক্রমে আলোচনা করবো। 

১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার করার পদ্ধতি গুলো কি কি?

তো শিরোনামে এতো কিছু আলোচনা করার চাইতে আমাদের সরাসরি মুল আলোচনাতে ফিরে যাওয়া হবে অতি বুদ্ধিমানের কাজ। এবার আমরা সেই টপিক নিয়ে আলোচনা করবো।

যার জন্য আপনি এই আর্টিকেলে ক্লিক করেছেন। মূলত এবার আপনি জানবেন যে ১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার উপায় গুলো সম্পর্কে।

বর্তমান প্রেক্ষাপট অনুযায়ী আপনি ১ লাখ টাকায় অনেক ধরনের বিজনেস করতে পারবেন। যেমনঃ

০১| ফুট পাতে কাপরের ব্যবসা

উপরের হেডলাইন দেখার পর অনেকের কাছে এই উপায়টি হাস্যকর মনে হতে পারে। আবার অনেকেই এই ধরনের ব্যবসা করার কথা শুনে নাক ছিটকাতে শুরু করবেন ৷

কিন্তুু একটা কথা জেনে রাখুন, বর্তমানে কিন্তুু এই ব্যবসাটি অনেক বেশি জনপ্রিয় একটি ব্যবসা। যেটা আপনি অনেক কম পরিমান ইনভেষ্ট দিয়ে শুরু করতে পারবেন।

আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা মূলত ব্যবসা করার স্বপ্ন দেখে থাকেন ৷ কিন্তুু তাদের কাছে অধিক পরিমান মুলধন না থাকার কারনে কোনো বিজনেস শুরু করতে পারেন না।

মূলত সেই সব মানুষ গুলোর জন্য ১ লাখ টাকায় ব্যবসা হিসেবে ফুট পাতে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন। 

ফুটপাতে কাপড়ের ব্যবসার জন্য কি কি লাগবে? 

  • যদি আপনি ফুটপাতে কাপড়ের ব্যবসা করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনার কিছু মুলধন এর প্রয়োজন হবে। যেগুলো আপনাকে উক্ত ব্যবসা তে ইনভেস্ট করতে হবে। 
  • এরপর আপনাকে ভালো কোনো গার্মেন্টস বা ডিলার এর কাছ থেকে খুব কম দামে বা পাইকারি রেটে কাপড় কিনতে হবে। কাপড় কেনার সময় অবশ্যই কাস্টমার এর প্রয়োজনের কথা মাথায় রেখে কাপড় কিনবেন। 
  • এরপর আপনার প্রধান কাজ হবে ভালো কোনো প্লেসের খোজ করা। কারন আপনি যদি জনবহুল কোনো স্থানে এই ধরনের বিজনেস করতে না পারেন। তাহলে আপনি আপনার কাপড় বিক্রির কাস্টমার ম্যানেজ করতে পারবেন না। 

ফুটপাতে কাপড়ের ব্যবসা থেকে কত টাকা আয় করা যাবে? 

যেহুতু আপনি ফুটপাতে কাপড়ের ব্যবসা করবেন। সেহুতু সবার আগে আপনাকে কাপড়ের ব্যবসা করার নিয়ম গুলো জেনে নিতে হবে। তাহলে আপনি সঠিকভাবে এই ব্যবসাটি কে পরিচালনা করতে পারবেন।

এবং এই ব্যবসা থেকে মোটামুটি পর্যায়ের একটা লাভ করতে পারবেন ৷ তো সাধারন ভাবে আপনি যখন এই বিজনেস করার জন্য কাপড় কিনবেন। সেগুলো কিন্তুু আপনি পাইকারি রেটে অনেক কম দামে কিনে নিতে পারবেন।

যেমন আপনি যদি একটি শার্ট পাইকারি রেটে ৮০-১০০/- টাকা দিয়ে কিনে নেন। তাহলে আপনি সেটা ফুটপাত মার্কেটে ১৫০-২০০/- টাকা দিয়ে বিক্রি করতে পারবেন।

ঠিক এভাবে আপনি পাইকারি রেটে কাপড় কিনে সেগুলো কে বেশ ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন। এবং আপনি এভাবে মোটামুটি ভালো পরিমানে ফুটপাতে কাপড়ের ব্যবসা থেকে আয় করতে পারবেন ৷ 

০২| ফুলের ব্যবসা করতে পারবেন

কথিত আছে যে, ভালোবাসার প্রতিক হলো ফুল। আর যার কারনে ফুল আমাদের সবার কাছে প্রিয় একটি বস্তুু। এবং সত্যি বলতে ভালোবাসা প্রকাশের জন্য ফুলের ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কিন্তুু আপনি কি জানেন, এই ফুলের ব্যবসা করেও প্রচুর পরিমান টাকা আয় করা সম্ভব? – হুমমম! বর্তমানে যারা ফুলের ব্যবসা করে৷ তারা কিন্তুু এই ব্যবসা থেকে বেশ ভালো পরিমানে টাকা আয় করে আসছে।

তাই চাইলে আপনিও মাএ ১ লাখ টাকা বা তার থেকেও কম ইনভেষ্ট করে এই ধরনের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন। 

কিভাবে ফুলের ব্যবসা করে অধিক লাভবান হবেন?

যদি আপনি ব্যবসা করার পদ্ধতি হিসেবে ফুলের ব্যবসা করার সিন্ধান্ত নেন৷ তাহলে আপনাকে পূর্বে থেকেই বেশ কিছু বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে। যেমনঃ 

  • সবার আগে আপনাকে জানতে হবে যে কোন সময়ে কোন ধরনের ফুলের চাহিদা থাকে। এছাড়াও আপনাকে এমন ধরনের ফুল গুলো সংগ্রহ করতে হবে। যেগুলো মানুষ অনেক বেশি পছন্দ করে থাকে।
  • এরপর আপনাকে একটি ভালো জায়গা বাছাই করতে হবে। যেখানে মূলত অনেক মানুষের আনাগোনা থাকবে। কেননা, আপনি যদি কাস্টমার এর নিকট পৌঁছাতে না পারেন ৷ তাহলে কিন্তুু এই ধরনের ব্যবসা তে কোনো লাভ করতে পারবেন না। 
  • এরপর আপনার দোকানে থাকা ফুল গুলো কে সঠিকভাবে সংরক্ষন করতে হবে। যেন সেগুলো খুব দ্রুত নষ্ট না হয়। 
  • যেহুতু আপনি ফুলের ব্যবসা করবেন ৷ সেহুতু আপনাকে বিভিন্ন ফুল উৎপাদন করে এমন মালিকের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখতে হবে। যেন তাদের কাছ থেকে আপনি অনেক কম রেটে ফুল কিনে নিতে পারেন। 
  • তবে ফুলের ব্যবসা থেকে অধিক লাভ করতে চাইলে আপনার নিজস্ব ফুলের বাগান থাকলে সেখান থেকে আপনি অধিক টাকা লাভ করে নিতে পারবেন৷ 

০৩| সেলাই (Tailoring ) ব্যবসা

উপরে আপনি যত গুলো ব্যবসা করার পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তার মধ্যে অন্যতম একটি ব্যবসা হলো সেলাই (Tailoring) বিজনেস ৷

যেখানে আপনি অনেক কম পরিমান মুলধন দিয়ে এই ধরনের ব্যবসার শুরু করে দিতে পারবেন ৷

আপনার বাড়িতে যদি কোনো মহিলা থাকে। এবং তাদের হাতে যদি অনেক অবসর সময় থাকে। তাহলে সেই মহিলারা ইচ্ছে করলেই এই ধরনের ব্যবসা করতে পারবেন।

এবং এই টেইলারিং বিজনেস থেকে মোটামুটি ভালো পরিমানে আয় করে নিতে পারবেন। 

কিভাবে আপনি সেলাই ব্যবসা শুরু করার পদ্ধতি ? 

উপরে আপনি জানতে পারলেন যে, সেলাই ব্যবসা হলো অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় অনেক বেশি লাভজনক। আর আপনি স্বল্প কিছু ইনভেস্ট করার মাধ্যমে এই ধরনের ব্যবসা করতে পারবেন।

তো যদি আপনি নিজেই এই ধরনের বিজনেসে নিযুক্ত করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ের দিকে নজর রাখতে হবে। যেমনঃ

  • সবার আগে আপনাকে একটি ভালো স্থান নির্বাচন করতে হবে। যেখানে আপনি সেলাই জাতীয় কাজ গুলো ভালোভাবে করতে পারবেন। 
  • এরপর আপনাকে সেলাই করার জন্য প্রয়োজনীয় মেশিন সংগ্রহ করতে হবে। এক্ষেএে আপনাকে কিছু পরিমান অর্থ ব্যয় করার প্রয়োজন পড়বে। 
  • যখন আপনি আপনার ব্যবসা করার জন্য স্থান এবং সেলাই মেশিন সংগ্রহ করতে পারবেন৷ তখন আপনি এই ব্যবসার জন্য একেবারে প্রস্তুুত হতে পারবেন। এবং এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন। 

০৪| টিফিন সেবা (Service ) ব্যবসা

যদি আমরা কয়েকবছর অতীতে ফিরে যাই। তাহলে সেই সময়ে আপনি টিফিন সেবা প্রদান করার কোনো ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পারবেন না ৷ কিন্তুু বর্তমান সময়ে এই ধরনের ব্যবসার চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চলেছে ৷

যার কারনে অনেকেই বর্তমানে এই ব্যবসার সাথে নিজেকে নিযুক্ত করে আসছে।

কেননা, আপনি যদি এই ব্যবসাটি করতে চান ৷ তাহলে আপনাকে খুব বেশি একটা ইনভেষ্ট করার প্রয়োজন পড়বে না। বরং আপনার যাতায়াত এর জন্য সু-ব্যবস্থা থাকলেই তা আপনার বিজনেস করার জন্য যথেষ্ট।

এরপর আপনি টিফিন সেবা দেয়ার মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন। 

কিভাবে আপনি টিফিন ব্যবসা শুরু করার উপায় ? 

এই টিফিন ব্যবসার মূল কাজ হলো বিভিন্ন মানুষের খাবারকে তাদের প্রয়োজনীয় স্থানে পৌঁছে দেওয়া।

বর্তমান সময়ে যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি কিংবা স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাএছাএীদের বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে সেগুলো কে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছে দেয়াই হলো এই বিজনেস এর মূল কাজ।

তো যদি আপনি এই ধরনের ব্যবসা করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় এর দিকে নজর রাখতে হবে। যেমনঃ 

  • সবার আগে আপনার যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো থাকতে হবে। সেক্ষেএে আপনার নিজের কোনো বাইক থাকলে আপনি অনেক সহজেই এই কাজটি করতে পারবেন। 
  • আর এই ব্যবসা করার প্রথম এবং প্রধান ধাপ হলো আপনাকে দিয়ে টিফিন পাঠাবে এমন মানুষদের খুজে নিতে হবে। মূলত যাদের টিফিন গুলো তাদের নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে দিবেন। 
  • ব্যবসার শুরুতে আপনাকে অনুমান করতে হবে যে আপনি যে ব্যবসাটি শুরু করতে চাচ্ছেন। সেটি কি আপনি একাই পরিচালনা করতে পারবেন নাকি আরও কোনো লোক নিয়োগ দিতে হবে। 

০৫| মোবাইল ফোন রিপেয়ারিং ব্যবসা

বর্তমান সময়ে অন্যান্য বিজনেস আইডিয়া গুলোর মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম একটি আইডিয়া হলো, মোবাইল ফোন রিপেয়ারিং এর ব্যবসা।

কারন আপনি এখান থেকে একটা মোটা অংকের টাকা আয় করে নিতে পারবেন। সত্যি বলতে বর্তমান সময়ে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা দ্বিগুন হারে বেড়ে গেছে।

আপনি আরো পড়তে পারেন…

আজকের দিনে প্রায় শতকরা ১০০ জনের মধ্যে ৯৯ জন ই মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকে। আর মোবাইল থাকলে থাকলে সেগুলো নস্ট হবে এটা তো স্বাভাবিক বিষয়।

আর কোনো নষ্ট মোবাইলকে ঠিক করার জন্য সার্ভিসিং এর কোনো বিকল্প নেই।

কিন্তুু আপনি যদি একজন দক্ষ মোবাইল টেকনিশিয়ান হতে পারেন। তাহলে আপনি এই ধরনের ব্যবসা থেকে প্রচুর পরিমান টাকা আয় করে নিতে পারবেন। যা ইতিমধ্যেই অনেকে আয় করে আসছে। 

মোবাইল ফোন রিপেয়ারিং এর ব্যবসা করার পদ্ধতি ? 

যদি আপনি ব্যবসা করার পদ্ধতি গুলোর মধ্যে থেকে মোবাইল রিপেয়ারিং করার বিজনেস করতে চান। তাহলে আপনাকে অনেক দিক বিবেচনা করতে হবে। যেমনঃ 

  • যেহুতু আপনি মোবাইল সার্ভিসিং করবেন৷ সেহুতু সবার আগে আপনাকে কোনো ট্রেনিং কোর্স করতে হবে। এবং আপনাকে ভালোভাবে জানতে হবে যে, কিভাবে নষ্ট মোবাইল কে রিপেয়ার করা যায়। 
  • এরপর আপনার বিজনেসটি পরিচালনা করার জন্য নির্দিষ্ট একটি স্থানের প্রয়োজন হবে। যেখানে আপনি এই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারবেন। 
  • মনে রাখতে হবে, আপনাকে সবার আগে মোবাইল এর সমস্ত পার্টস সম্পর্কে যথেষ্ট দক্ষতা সম্পন্ন হতে হবে। অন্যথায় আপনাকে কোনো দক্ষ সার্ভিসিং টেকনিশিয়ান কে হায়ার করে আপনার ব্যবসা তে নিয়োগ দিতে হবে। 

০৬| চা-শিঙাড়ার দোকান

রাস্তাঘাটে চলার পথে আমরা অনেক সময় চা-শিঙাড়ার দোকান দেখে থাকি। আবার কারনে অকারনে আমরা মাঝে মধ্যে সেই দোকান গুলোতে চা বিস্কুটও খেয়ে থাকি।

কিন্তুু কখনও কি আপনি ভেবে দেখেছেন যে, সেই চা শিঙ্গারার দোকান থেকেও ব্যবসা করা সম্ভব? -হুমমম এবার সে নিয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা করবো।

দেখুন যেহুতু আজকের আর্টিকেলটি ১ লাখ টাকায় ব্যবসা নিয়ে। সেহুগু আপনি যদি চা-শিঙাড়ার দোকান এর ব্যবসাটি করতে চান। তাহলে কিন্তুু আপনি এই ১ লাখ টাকায় খুব সুন্দর ভাবে এই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারবেন। 

চা-শিঙাড়ার ব্যবসা করার উপায়? 

যদি আপনি স্বল্প আকারে ইনভেস্ট করে কোনো ব্যবসা করতে চান। সেক্ষেএে আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ের দিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতে হবে। যেমনঃ 

  • এই ধরনের ব্যবসার জন্য মূলত তেমন একটা ইনভেস্ট করার প্রয়োজন হয় না। তবে যদি আপনার নিজস্ব জমির উপরে দোকান থাকে। তাহলে আপনি আরও অনেক কম টাকা দিয়ে এই চা সিঙ্গারার ব্যবসা করতে পারবেন। 
  • মনে রাখবেন এই ধরনের ব্যবসা করতে হলে অনেক কাষ্টমার এর প্রয়োজন হয়ে থাকে। তাই দোকান দেয়ার জন্য মানুষ চলাচল করে এমন কোনো জায়গা নির্বাচন করুন। 
  • আর যথাসম্ভব কাস্টমারদের সাথে নম্র ব্যবহার বজায় রাখবেন। এতে করে কোনো কাস্টমার আপনার কাছে পুনরায় আসার সম্ভাবনা থাকবে। 

০৭| কম্পিউটার রিপেয়ারিং সার্ভিস

যতোই দিন অতিবাহিত হচ্ছে, আমরা ঠিক ততোটাই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছি। আর সেই সুবাদে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটা কম্পিউটার থাকাটা অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।

আর বর্তমান সময়ে প্রতি ঘরে ঘরে কম্পিউটার না থাকলেও শতকরা ১০০ ভাগের মধ্যে ৩০ ভাগ মানুষ এখন কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকে।

কিন্তুু অবাক করার মতো বিষয় হলো যে, এতো বেশি কম্পিউটার ব্যবহারকারী হওয়ার পরেও এই ডিভাইস গুলোর টেকনিশিয়ান এর অনেক অভাব রয়েছে।

আপনি শহরের আনাচে কানাচে অনেক ধরনের মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার দেখতে পারবেন। কিন্তুু আপনার হাতের নাগালে শুধুমাএ হাতে গোনা কয়েকটা কম্পিউটার টেকনিশিয়ান কে খুজে পাবেন।

এ থেকে বোঝাই যাচ্ছে যে, বর্তমান সময়ে দক্ষ কম্পিউটার টেকনিশিয়ান এর অনেক অভাব রয়েছে। আর এই অভাববোধ কে পূ্রন করার উদ্দেশ্যে আপনি যদি কম্পিউটার রিপেয়ার এর ব্যবসা শুরু করেন।

তাহলে ধরে নিন যে আপনি খুব দ্রুত ব্যবসা থেকে সফলতা অর্জন করে নিতে পারবেন। 

কম্পিউটার রিপেয়ারিং সার্ভিস এর ব্যবসা করার পদ্ধতি

যাক এটা জেনে খুব ভালো লাগলো যে আপনি কম্পিউটার রিপেয়ার করার ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এসেছেন। তাহলে শুনুন… যদি আপনি এই ধরনের পুজি ছাড়া ব্যবসা করতে চান।

সেক্ষেএে আপনাকে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমনঃ 

  • এই ধরনের ব্যবসা শুরু করার জন্য সবচেয়ে প্রথম ধাপ হলো আপনি কি নিজেই এই ব্যবসাটি করবেন, নাকি আরও অন্য কাউকে দিয়ে করিয়ে নিবেন? – সে সম্পর্কে জেনে নিবেন। 
  • কারন যেহুতু আপনি কম্পিউটার রিপেয়ার করবেন। সেহুতু আপনার দোকানে এমন একজনকে থাকতে হবে। যে আসলে কম্পিউটার টেকনিশিয়ান হিসেবে একেবারে দক্ষ। 
  • তো আপনি নিজেই করতে চাইলে আপনাকে কোনো ট্রেনিং সেন্টার থেকে কোর্সের মাধ্যমে কম্পিউটার টেকনিশিয়ান এর কাজ গুলো হাতে কলমে শিখতে হবে। 
  • যখন আপনি নিজেকে দক্ষ টেকনিশিয়ান হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন। তখন আপনাকে শহর কিংবা তার আশেপাশে একটি জায়গা নির্বাচন করতে হবে। যেখানে আপনি মানুষের কম্পিউটার সার্ভিসিং করবেন। 
  • আর এই সার্ভিসিং থেকে আপনি অনেক টাকা আয় করে নিতে পারবেন। 

০৮| দুধের সাপ্লাই ব্যবসা 

আমরা সবাই জানি যে দুধ হলো আমাদের জন্য অনেক ভিটামিন সমৃদ্ধ একটি তরল জাতীয় খাদ্য। আমাদের শরীর কে সুস্থ এবং সবল রাখার জন্য পুষ্টিযুক্ত বিশুদ্ধ দুধ খাওয়া উচিত।

কিন্তুু আজকের দিনে আপনার আনাচে কানাচে দুধ তো পাওয়া যায়। কিন্তুু বিশুদ্ধ দুধ পাওয়া যেন একটা বড় চ্যালেন্জ হয়ে দাড়িয়েছে।

আর এ থেকে সহজেই অনুমান করা যায় যে, বর্তমান সময়ে শহর কিংবা বন্দরে বিশুদ্ধ দুধের চাহিদা অনেক গুন বেড়ে গিয়েছে। এখন আপনি যদি সেই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে দুধ সাপ্লাই এর বিজনেস শুরু করেন।

তাহলে কিন্তুু আপনার কাস্টমার এর অভাব হবে না।

আর যদি আপনি মানুষের চাহিদা মতো একেবারে খাটি ভেজাল বিহীন দুধ সাপ্লাই দিতে পারেন। তাহলে আপনি এই ধরনের ব্যবসা থেকে বেশ ভালো পরিমানে মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। 

দুধের সাপ্লাই ব্যবসা করার পদ্ধতি 

উপরে আমরা জানলাম যে দুধের ব্যবসা থেকে প্রচুর পরিমান আয় করা যায়। কিন্তুু আপনি যদি নিজেকে এই ধরনের লাভজনক ব্যবসার সাথে যুক্ত করতে চান।

তাহলে কিন্তুু আপনাকে এমন বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমনঃ 

  • যেহুতু আপনি কাষ্টমারদের কে খাঁটি বিশুদ্ধ দুধ দিবেন। সেহুগু আপনার নিজস্ব গরু থাকতে হবে। এবং সেই গরু থেকে আপনি কাস্টমার কে একেবারে ভেজালবিহীন দুধ দিতে সক্ষম হবেন। 
  • তবে প্রাথমিক অবস্থাতে এতো বেশি গরু কেনা আপনার পক্ষে অনেক কঠিন মনে হতে পারে। তাই আপনি অন্য একটি উপায় অবলম্বন করতে পারবেন। সেটা হলো কোনো বিশ্বস্ত খামারির থেকে দুধ সংগ্রহ করতে পারবেন। 
  • যখন আপনি দুধের উৎস তৈরি করতে পারবেন৷ তখন আপনার প্রধান টার্গেট হবে কাস্টমার ম্যানেজ করা। 
  • আর সেজন্য আপনাকে সেই কাস্টমারদের খুজে নিতে হবে। মূলত যাদের দুধের চাহিদা অনেক বেশি পরিমানে রয়েছে। 

০৯| জলের সাপ্লাই এর ব্যবসা 

আমরা সবাই জানি যে যতোই দিন যাচ্ছে। আমাদের পরিবেশ ঠিক ততোটাই মানুষের জন্য হুমকির মুখে পড়ছে। আর পরিবেশের এই বিরুপ পরিস্থিতির জন্য দায়ী আমরা নিজেই।

আমরা মানুষরাই নিজের হাতে এই পরিবেশকে হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছি।

আর পরিবেশ যতোটা খারাপ এর দিকে যাচ্ছে। ততোই বিশুদ্ধ জলের চাহিদা বেড়েই চলছে। আর তার বাস্তব প্রমান আপনি দেশের বড় বড় শহর গুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন।

এই শহর গুলো জল তো আছে, কিন্তুু সেগুলো পান করার মতো যোগ্য নয়।

তাই আপনি এই মানুষ গুলোর চাহিদা মেটানোর জন্য বিশুদ্ধ জলের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন। এবং এই বিশুদ্ধ জলের ব্যবসা থেকে আপনি অনেক কম ইনভেষ্ট থেকে বেশি পরিমান টাকা আয় করে নিতে পারবেন। 

জল সাপ্লাই ব্যবসা করার উপায় কি? 

জল সাপ্লাই ব্যবসা করার জন্য একজন নতুন উদ্যোক্তার বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। যেমনঃ 

  • আপনি যদি জল সাপ্লাই করার ব্যবসা করতে চান। তাহলে সবার আগে আপনার কাছে বিশুদ্ধ জলের উৎস থাকতে হবে। কেননা আপনার কাছেই যদি শুদ্ধ জল না থাকে। তাহলে আপনি অন্যের চাহিদা কিভাবে মেটাবেন?
  • মনে রাখবেন, জল ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। তাই আপনি এই ব্যবসাতে কখনই নোংরা জলকে বিশুদ্ধ জলের কথা বলে বিক্রি করবেন না। 
  • যদি আপনার কাছেও বিশুদ্ধ জল এর উৎস না থাকে। তাহলে আপনি পার্শ্ববর্তী কোনো বিশুদ্ধ জলের উৎস থেকেও সংগ্রহ করতে পারবেন। 
  • এরপর আপনাকে সেই জল গুলো বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দিতে হবে। যেখানে মূলত শুদ্ধ জলের অনেক অভাব রয়েছে। 
  • এবং সবশেষে আপনি এই জলের ব্যবসা থেকে তেমন কোনো ইনভেষ্ট ছাড়াই আয় করে নিতে পারবেন। 

১০| চা- সিগারেট এর দোকান ব্যবসা 

অন্যান্য ব্যবসার থেকে সবচেয়ে লাভজনক হলো চা সিগারেট এর ব্যবসা করা। কারন আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন যে, বর্তমান সময়ে উঠতি তরুনরা তিনবেলা ভাত না খেয়ে থাকতে পারবে।

কিন্তুু তারা সিগারেট আর চায়ের কাপে চুমুক না দিলে থাকতে পারবে না। (সবাই নয়, বরং কিছু সংখ্যক তরুন বাদে)। আপনাকে আমি এমন অনেক মানুষের উদাহরন দিতে পারবো।

যারা মূলত ছোট্ট একটা ঘরে চা আর সিগারেট বিক্রি করে। অথচ সে ৫-৬ তলা বাড়ি দিয়ে বসে আছে। আর তার বাস্তব উদাহরন পাবেন যদি আপনি স্কুল কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কোনো চা সিগারেটের দোকানের চিএ দেখেন।

আপনার জন্য আরো লেখা…

হুমমম তবে এটা সত্যে যে, এই ব্যবসা থেকে অনেক খুচরো খুচরো করে আয় করতে হয়। কিন্তুু আপনার এটা ভুলে গেলে চলবে না যে, ক্ষুদ্র মাটিকনা থেকেও বড় মাপের পাহাড় তৈরি করা সম্ভব।

তাই চাইলে আপনি কোনোদিক চিন্তা ভাবনা না করে, সরাসরি এই ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারবেন। 

চা সিগারেট এর ব্যবসা করার পদ্ধতি 

যদি আপনি এই ধরনের ব্যবসার সাথে নিজেকে যুক্ত করতে চান। তাহলে আপনাকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। যেমনঃ 

  • সর্বপ্রথম আপনার দোকানটি কোথায় দিবেন সেটি নির্নয় করতে হবে। তবে আপনাকে এমন একটি জায়গা নির্বাচন করতে হবে। যেখানে প্রচুর মানুষের সমাগম রয়েছে। 
  • যখন আপনি ভালো একটি জায়গা নির্বাচন করবেন। তখন আপনার কাজ হবে মানুষ যেসব পন্য ধোয়ায় টানতে পছন্দ করে ৷ সেগুলোর সব গুলোকে দোকানে রাখতে হবে। 
  • এরপর আর তেমন কিছুই করতে হবে না। বরং আপনি শুধু পন্য সেল করবেন। আর আপনার আয় ছোট থেকে একদিন বড় আকার ধারন করবে। 

আমাদের শেষকথা 

উপরের আর্টিকেল টি পড়লে আশা নয় বরং বিশ্বাস করবো যে আপনি ১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা পেয়েছেন।

তবে এরপরও যদি আপনি ১ লাখ টাকায় ব্যবসা করার উপায় সম্পর্কে আরও কিছু জানতে চান। তাহলে আপনার জন্য কমেন্ট বক্স উন্মুক্ত রয়েছে।

এছাড়াও ব্যবসা রিলেটেড আমাদের ব্লগে আরো আর্টিকেল চাইলে বিজনেস আইডিয়া ক্যাটাগরি থেকে পরে নিবেন।

বাংলা আইটি ব্লগের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top